গর্ভাবস্থায় আপনি ৮তম মাসে যে অভিজ্ঞতা ও সমস্য গুলির সম্মুখীন দেখে নিন।

শুরুতেই বলে রাখি মনে রাখবেন যে গর্ভাবস্থায় সব রোগই কিন্তু গুরুতর নয়। যেহেতু আপনার মধ্যে অন্য একটি জীবন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই সময়ে আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যার কারণে আপনি অনুভব করতে পারেন যে আপনি অসুস্থ। কিন্তু তা নাও হতে পারে। তাই আপনার যদি কোন সন্দেহ হয় তবে না জেনে কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। প্রয়োজনে প্রথমে 16222 নম্বরে কল করুন এবং একজন অভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন। তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন। এবার চলুল মূল আলোচনা দিকে যাওয়া যাক।

পোস্ট বিভাগস্বাস্থ্য
বিষয়বস্তুগর্ভাবস্থা

অষ্টম মাসের গর্ভাবস্থায়

গর্ভাবস্থায় আপনি  ৮তম মাসে যে অভিজ্ঞতা

আপনি যে যে অভিজ্ঞতা গুলির সম্মুখীন হবেন সেগুলি হলো নিম্নরূপ

১. ওজন বৃদ্ধি: এটি নির্ভর করে মূলত বি.এম.আই  এর ওপর

২. শ্বাসকষ্ট:  ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছদার উপর জরায়ুর চাপ শ্বাস-প্রশ্বাস কে কঠিন করে তোলতে পারে।

৩. ক্লান্তি:  গর্ভের ভ্রূণের আকার বাড়াতে শুরু করলে খুব শীঘ্রই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়।

৪. নাক বন্ধ:  ইস্টোজেন ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধিতে নাসিকা ঝিল্লি বৃদ্ধি পায়। ফলে বেশি মিউকাস নাসারন্ধ্র দিয়ে নাসিকা গহ্বরে প্রবেশ করে।এবং নাক বন্ধ ভাব অনুভূতি হয়।

৫. বুক জ্বালা বা হার্ট বার্ন : ক্রমবর্দ্ধমান জরায়ু পাকস্থলীকে ওপরের দিকে ঠেলে তোলে। ফলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড ইসোফেগাসের মধ্যে প্রবেশ করে এবং একটা অস্বস্তিকর জ্বালাভাব অনুভূত আনে।

৬. ফোলা ভাব বা ব্লটিং: এই সময় প্রজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে পরিপাক বা হজম প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে যায় এবং পেট ফেঁপে বা ফোলে যায় আর পেটে গ্যাসীয় পদার্থ ভরে যেতে পারে।

৭. কোষ্ঠ্য কাঠিন্য হজম: প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে যাওয়ার ফলে অন্ত্রে খাদ্য দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে। যার ফলে স্বরূপ কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দেখা যায়।
  ৮. ব্র্যাক্সটন হিক্স সংকোচন – তলপেটে অনূভূতি হওয়া একটা ব্যথাহীন সংকোচন। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা লক্ষণ যা প্রসবের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে তোলতে সহায়তা করে।

  ৯. অর্শ রোগ : ক্রমবর্দ্ধমান জরায়ুর চাপে ভেনা কাভা (শরীরের বৃহত্তম শিরা) রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে তোলার ফলে শিরায় রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যা মলদ্বার অঞ্চলের কাছাকাছি রক্তনালীর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ ব্যথা যন্ত্রনা ও চুলকুনির সৃষ্টি হয়।

  ১০. বর্দ্ধিত শিরা:  প্রসারিত জরায়ুগুলির কারণে, ভেনা কাভাতে রক্ত প্রবাহের চাপ রয়েছে। এটি পায়ে শিরাগুলিতে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয় এবং রক্তনালীগুলি dilates করে। এটি বর্দ্ধিত শিরা নামে পরিচিত।

  ১১. এডিমা বা শোথ: শরীরের জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় গোড়ালি এবং পা ফুলে যায়।

  ১২. পিঠ ব্যথা: ক্রমবর্দ্ধমান জরায়ু শরীরের নীচের দিকে চাপ সৃষ্টি করে ফলে  পিঠের ব্যথা দেখা যায়।

  ১৩. অনিদ্রা: বার বার শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য এবং একটা শারীরিক অস্বস্তির ফলে শান্তির ঘুমের বিঘ্নিত ঘটে।


১৪. পায়ে খিঁচ  ওজন বৃদ্ধি
, শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি, অতিরিক্ত সক্রিয় এবং নিস্ক্রিয় শরীর পা খিঁচ ধরার জন্য মুলত দায়ী।

  ১৫. যোনিস্রাব বৃদ্ধি: গর্ভবস্থায় জরায়ু এবং যোনীর দেওয়াল নরম হয়। যার ফলে সাদা স্রাব নিঃসৃত হয়। এই সাদা স্রাব যোনীপথে জরায়ুতে সব ধরনের ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশে বাধা দিয়ে থাকে।

  ১৬. তলপেটে চাপ:  এই সময় গর্ভস্থ ভ্রুণের আয়তন বৃদ্ধির ফলে তলপেটে অতিরিক্ত চাপের অনুভতি হয়।

পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করুন

আরও পড়ুনঃ

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment