বিদ্যুতের শক খেলে করনিয়? বাচতে হলে জানতে হবে

বিদ্যুতের শক খেলে করনিয়? বাচতে হলে জানতে হবে।

বিদ্যুতের শক খেলে করনিয়? বাচতে হলে জানতে হবে

১. যদি শক খাওয়া ব্যক্তির গায়ে বিদ্যুতের তারে লেগে থাকে তবে ভারী সেন্ডেল পায়ে দিয়ে শুকনা বাঁশ বা কাঠ এর দ্বারা সেটা সাবধানে তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিতে হবে। সাবধান বিদ্যুতায়িত অবস্থায় সরাসরি তাকে ধরতে শুতে যাবেন না  নইলে আপনিও বিপদে পড়বেন।

২. যত দ্রুত পারেন শক খাওয়া ব্যক্তিকে বালিশ ছাড়া, কাপড় খুলে (যত দ্রুত সম্ভব) মাটিতে শুইয়ে দিন। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ মাটিতে চলে যাবে এবং দ্রুত সুস্থ্য হবে।

৩. মুখে, নাকে কোন ময়লা, থু থু আছে কিনা আথবা জিহ্বা উলটে গিয়েছে কিনা ভালো ভাবে দেখে দেখে নিন। থাকলে

বিদ্যুতের শক খেলে করনিয়? বাচতে হলে জানতে হবে
বিদ্যুতের শক খেলে করনিয়? বাচতে হলে জানতে হবে

হাতের কাছে যাই পান (কাপড়) দিয়ে পরিস্কার করে দিন, জিহ্বা উল্টে থাকলে তাড়াতাড়ি মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে তা সোজা করে দিন।

তারপর দুই চোয়ালের মাঝখানের দুই দিকে চাপ দিয়ে মুখ খোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে ফু দিতে থাকুন যাকে বলে (আর্টিফিসিয়াল ব্রিদিং=মাউথ টু মাউথ)।

৪. একই সাথে বুকের ঠিক মাঝখানে একটু বায়ে (যেখানে হার্ট আছে) হাতের তালুর গোড়ালি দিয়ে একটু ধাক্কা বা ব্লো দিন। এরপর ডান হাতের উপর বা হাত রেখে ১-২-৩…. ১-২-৩ এভাবে আসতে আসতে চাপ দিতে থাকুন। মনে রাখবেন এটা মিনিটে ৭২ বারের মত করতে হয়। অর্থাৎ ঘড়ির কাটার সেকেন্ট কাটা টিক টিক এর চেয়ে একটু বেশি।

৫. ৩নং এবং ৪নং পদ্ধতি ৫/৭ মিনিটের মত করে পালস, হার্ট সাউন্ড (যদি সম্ভব হয়),এবং শ্বাস প্রশ্বাস দেখুন। যদি ফিরে আসে তবে বন্ধ করুন। আর ফিরে না এলে আবার ৩নং, এবং ৪নং রিপিট করুন।
৬. হাত, পা, শরীর হালকা মেসেজ করে দেওয়া যেতে পারে।

৭. সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে “হার্টসোল স্যালাইন 1000 মিলি – Hartsol Saline 1000 ml” ২৫/৩০ ফোটা প্রতি মিনিটে দিতে পারেন। খেতে পারলে পানি, খাবার স্যালাইন, দুধ, ডাবের পানি এসব অল্পো অল্পো করে খেতে দিন।

নিজে জানুন নিরাপদ থাকুন, সুস্থ্ থাকুন! বন্ধুদের জানাতে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

 

আরও পড়ুন:- স্বাভাবিক যৌ’নমিলনের স্থায়িত্বকাল কতক্ষণ? এবং নারী ও পুরুষ তার যৌ’নসঙ্গীর কাছে কি আশা করে ?

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment