রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম:
নাম আরবী উচ্চারণ
খাদিজা خَدِيْجَةُ
সাওদা سَوْدَةُ
আয়েশা عَائِشَةُ
হাফসা حَفْصَةُ
যয়নব زَيْنَبُ
উম্মে সালামা أُمِّ سَلَمَة
উম্মে হাবিবা أُمِّ حَبِيْبَة
জুওয়াইরিয়া جُوَيْرِيَةُ
সাফিয়্যা صَفِيَّةُ
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাবর্গের নাম:
নাম আরবী উচ্চারণ
ফাতেমা فَاطِمَةُ
রোকেয়া رُقَيَّةُ
উম্মে কুলসুম أُمُّ كلْثُوْم
আরো কিছু নেককার নারীর নাম-
নাম আরবী উচ্চারণ
সারা سَارَة
হাজেরা هَاجِر
মরিয়ম
مَرْيَم
আসুন আমরা চেষ্টা করি আমাদের সন্তান যারা পৃথীবিতে এসেছে বা আসছে তাদের নাম গুলো কি নিয়মে রাখা যায় এবং রাসূল (সা.) কেমন নাম পছন্দ করতে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কেন ইসলামী নাম রাখা উচিৎ ?
‘ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য’ এ জন্য শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর নাম খুঁজে বের করা প্রয়োজন। ‘ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও দেখা যায়’। আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হয়ে নবজাতকের জন্য নাম নির্বাচনে সরণাপন্ন হন। ‘ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমন কিছু নাম পছন্দ করে ফেলি যেগুলো কোন ভাবেই ইসলামী নামের তালিকায় পড়ে না কারণ টা হলো আমরা এ বিষয়ে খুব এটা ভালো বুঝি না বা এ বিষয়ে আমাদের পড়া শুনা কম’।
‘আরও ভালো ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় কুরআনুল কারিমে কিছু পাপি ও কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে নিশ্চই এই রকমের নাম রাখলে সেই নামটি ইসলাকি নাম হবে না’। যেমনঃ ‘আবু লাহাব, ফেরাউন, হামান, ইবলিস, কারুন, ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে; তাই বলে কী এসব নামে নাম বা উপনাম রাখা ঠিক হবে?’
বলা হয় যে কোনও ব্যক্তির নাম তার চরিত্রের উপর ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শেখ বকর আবু জায়েদ বলেছেন, “ঘটনাক্রমে একজন ব্যক্তির নাম তার ব্যক্তিত্ব এবং বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রয়েছে। এটাই আল্লাহর তা‘আলার হেকমতের দাবী। যে ব্যক্তির নামের অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়। মন্দ নামের ব্যক্তিদের চরিত্রও মন্দ হয়ে থাকে। ভাল নামের ব্যক্তির চরিত্রও ভাল হয়ে থাকে।”
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারও ভালো নাম শুনলেই আশাবাদী হয়ে থাকতেন। হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় সুহাইল ইবনে আমর নামে এক ব্যক্তি মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে কাফেরদের প্রতিনিধিত্ব করতে এগিয়ে আসেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুহাইল নামে আশাবাদী হয়ে বলেন:“সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে এসেছেন।
সুহাইল শব্দটি সাহলুন (সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতানির্দেশক রূপ। যার অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী।”
বিভিন্ন কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশাবাদী হওয়ার নজির আছে। তিনি বলেছেন:“গিফার (ক্ষমা করা) কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম (আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়) কবিলা বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ শান্তি দিন।”