যৌন মিলনের সুখ যেমন মহিলাকে তৃপ্ত করে, তেমনই নতুন উন্মা’দনা জাগায় পুরুষদের তবে, এই যৌ’নক্রিয়া সুখকর শুধু তখনই হবে যদি আপনি সতর্কতা অবলম্বন করবেন’। বাচতে হলে এই যৌ’নরোগ গুলো থেকে সাবধান
‘যৌ’নক্রিয়া নিরাপদ না হলে, তার ফল খারাপ থেকে খুব খারাপ হতে পারে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। নিরাপদ যৌ’নক্রিয়া না হলে যে শুধু অযাচিত প্রেগন্যান্সি আসতে পারে তাই নয়, একাধিক যৌন রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক বেশি’।
>>> এই ধরণের যৌ’ন রোগকে বলা হয় সে’ক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেট ডিজিজ বা STD। মূলত আপনার সঙ্গীর মুখের লালা, রক্ত, এবং যৌ’নাঙ্গের তরলে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের প্রকোপে এই ধরণের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সে জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো কন্ডোমের ব্যবহার, একাধিক সঙ্গীর বদলে নির্দিষ্ট সঙ্গীর সঙ্গে যৌ’নমিলনে আবদ্ধ হওয়া, নিয়মিত বিরতি মেনে আপনার এবং আপনার সঙ্গীর STD পরীক্ষা করানো ইত্যাদি।

তাই আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন ৭ ধরণের যৌন রোগ থেকে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত এবং এই রোগগুলির উপসর্গ কী।
১. ক্ল্যামিডিয়া
‘এই ক্ল্যামিডিয়া হল ব্যাকটেরিয়ার ফলে হওয়া এক ধরণের যৌ’ন রোগ। এই রোগের উপসর্গ হল, পেটের নিচে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া’, প্রস্রাবের সময় যন্ত্রণা হওয়া, যৌ’নাঙ্গ থেকে ক্রমাগত স্রা’ব নির্গত হওয়া, যৌ’নক্রিয়ার সময় যৌ’নাঙ্গে যন্ত্রণা হওয়া ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ স্বাভাবিক যৌ’নমিলনের স্থায়িত্বকাল কতক্ষণ? এবং নারী ও পুরুষ তার যৌ’নসঙ্গীর কাছে কি আশা করে ?
২. গনোরিয়া
‘এটিও (গনোরিয়া) হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারনে হওয়া যৌ’ন রোগ। যা যৌ’নাঙ্গ, মুখ, চোখ, গলা এবং অন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উপসর্গ বেদনাদায়ক অন্ত্র, যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ , প্রস্রাবের সময় জ্বালা এবং ব্যথা করা’। মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা ক্ষেত্রে ইত্যাদি ।
৩. জেনিটাল হারপিস
‘জেনিটাল হারপিস’ এমন একটি রোগ যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।‘ জেনিটাল হারপিস’ একটি ছোঁয়াচে রোগ। ‘এই রোগের উপসর্গ হল, নিতম্বে লাল লাল দাগ চর্মরোগবিশেষ ভরে যায়’। যৌ’নাঙ্গে একাধিক লাল লাল দাগ দেখা দেয়, যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং সংক্রমণ হয়ে থাকে।
৪. জেনিটাল ওয়ার্ট
‘মুলত ভাইরাসের কাররনেই বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই যৌনরোগের আধিক্য হয়। তবে পুরষদেরও এই রোগ হতে পারে’। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ ‘ক্রমেই সার্ভিকাল ক্যান্সারে পরিণত’ হতে পারে। এটির কারনে মূলত, যৌ’নাঙ্গ ফুলে যাওয়া, যৌ’নাঙ্গে বহুমাত্রায় উপমাংস বা আছুল জন্মানো, মিলনের সময় রক্তপাত, যৌ’নাঙ্গে অস্বস্তি ইত্যাদির মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।
৫. হেপাটাইটিস
মানুষ ভাবে হয়তো হেপাটাইটিস লিভারের রোগ, ‘এটি যৌনরোগ নয়’। কিন্তু আসলে এটি ভাইরাস বাহিত একটি যৌ’ন রোগ। এই রোগ সবক্ষেত্রে না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছোঁয়াচেও হয়ে থাকে। এই রোগের উপসর্গ বলতে প্রচন্ড ক্লান্তি, বমি বমি ভাব হোয়া, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, এছাড়াও জ্বর, গাঁটের ব্যথা এবং ত্বকের অ্যালার্জিও দেখা যায়।
৬. সাইফিলিস
ব্যাকটিরিয়া প্রভাব সাইফিলিস নামে একটি ‘যৌনরোগ ছড়িয়ে দেয়’ । এই রোগ যৌনাঙ্গে, ত্বক এবং শ্লেষ্মা উত্পাদনকারী গ্রন্থিগুলিকে প্রভাবিত করে।এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ত্বকের কালো দাগ, অ্যালার্জি, ধীরে ধীরে নিদ্রাহীনতা, বর্ধিত লিম্ফ নোড। । এই রোগের অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারে , বা দেহকে আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্থ হতে পারে মনে করা হয়।
৭. এইচআইভি ও এইডস
‘সর্বশেষ ও সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যৌ’নরোগ হল এইচআইভি/এইডস’। ‘এই রোগের তেমন কোন চিকিৎসাও নেই’। এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ‘উপসর্গ বলতে ক্লান্তি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, চূড়ান্তে পেটের সমস্যা হওয়া, মাথাব্যথা, সংক্রমণ, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হ্রাস’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ ১ম শারীরীক মিলনে রক্তপাত হয় কি? সুস্থ যৌনজীবনের জন্য যা জানা জরুরী।