সম্মান—একটি এমন শব্দ, যার মধ্যে লুকিয়ে আছে মানুষের আসল মূল্য। আমরা যতই ধনী হই বা যত বড়ো পদে পৌঁছাই না কেন, সম্মান ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব অসম্পূর্ণ। অর্থ-সম্পদ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু সম্মান এমন এক ধন যা একবার অর্জন করলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রেখেও যেতে পারে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে—পরিবারে, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কে—সম্মানের ভূমিকা অপরিসীম।
ভূমিকা: সম্মানের মূল্য ও মানব জীবনে এর গুরুত্ব

যেমন ধরুন, যদি কেউ অর্থবান হয় কিন্তু অন্যকে সম্মান দিতে না জানে, তবে তার ধনসম্পদের কোনো মূল্য নেই। আবার একজন সাধারণ মানুষ, যিনি বিনয়ী, ভদ্র এবং অন্যকে সম্মান করতে জানেন, তিনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন খুব সহজেই। সম্মান আমাদের চরিত্রকে গড়ে তোলে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, এবং সমাজে আমাদের মর্যাদা স্থাপন করে।
সম্মানকে বোঝানো যায় একটি আয়নার মতো—আপনি যদি অন্যকে সম্মান দেন, তা প্রতিফলিত হয়ে আপনার কাছেই ফিরে আসে। তাই জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সম্মানের প্রয়োজনীয়তা বোঝা জরুরি। এ কারণেই এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো সম্মান নিয়ে বিখ্যাত উক্তি, ফেসবুক স্ট্যাটাস, আত্মসম্মান গড়ার উপায়, এবং আরও অনেক কিছু, যা আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবে।
“সম্মান চাওয়ার আগে নিজেকে
এমন কিছুতে গড়ে তোলো,
যাতে তা আপনাআপনি আসে।”
“টাকা দিয়ে সব কেনা যায়,
কিন্তু সম্মান কখনোই নয়—
এটা অর্জন করতে হয়।”
“যাকে তুমি সম্মান দাও না,
তার ভালোবাসাও
একদিন দূরে সরে যায়।”
“সম্মান কখনো চিৎকারে আসে না,
এটা আসে নীরব ব্যক্তিত্ব
আর ব্যবহার থেকে।”
“সব সম্পর্ক টিকে থাকে ভালোবাসায় নয়,
বরং পারস্পরিক সম্মানে।”
“মানুষ ভুল করলে ক্ষমা করো,
কিন্তু যদি বারবার সম্মান ভাঙে,
দূরে সরে যাও।”
“সম্মান এমন এক আয়না—
একবার ভেঙে গেলে মাফ
চাইলেও দাগ থেকে যায়।”
“যার নিজের সম্মানের দাম নেই,
সে অন্যকে সম্মান দিতেও শেখে না।”
“কথায় নয়, আচরণে বোঝা যায়
কে কাকে সত্যিকারে সম্মান করে।”
“যে মানুষটা তোমায় সামনে সম্মান করে,
আর পেছনে অপমান—
সে কখনো আপন নয়।”
“যে নিজেকে সম্মান করতে জানে না,
সে অন্যকেও সম্মান দিতে পারে না।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (অনুপ্রাণিত)
“সম্মান পাওয়ার আগে নিজেকে
যোগ্য করে তুলতে হয়।”
— চাণক্য নীতি (ভাবনায় অনুপ্রাণিত)
“সম্মান কখনো জোর করে আদায় করা যায় না,
এটি অর্জন করতে হয়।”
— মহাত্মা গান্ধী
“মানুষ বড় হয় পদবিতে নয়,
বরং সে কেমন সম্মান অর্জন করেছে তাতে।”
— রেদোয়ান মাসুদ
“অন্যকে ছোট করলে নিজের সম্মান বড় হয় না, ব
রং নিজেই ছোট হয়ে পড়ে।”
— অজ্ঞাত
“যে বিনয়ী, সে সব সময়
বেশি সম্মান পায়।”
— ইমাম আলী (রহ.)
“সম্মান এমন একটি সম্পদ,
যা একবার হারালে ফিরে পাওয়া কঠিন।”
— উইলিয়াম শেক্সপিয়র (অনুপ্রাণিত)
“অন্যকে সম্মান দিলে তুমি নিজের
আত্মমর্যাদাকেই উচ্চতর করো।”
— স্বামী বিবেকানন্দ
“সম্মান এমন একটি ছায়া,
যা ততক্ষণই সাথে থাকে যতক্ষণ
তুমি সূর্যের মুখোমুখি হাঁটো।”
— অলীক মনীষা
“সম্মান অর্থ বিত্তের নয়,
চরিত্র আর আচরণের ফল।”
— হুমায়ুন আহমেদ (অনুপ্রাণিত)
সম্মান নিয়ে বিখ্যাত উক্তি

ইতিহাস জুড়ে অসংখ্য দার্শনিক, কবি, লেখক এবং চিন্তাবিদ সম্মান নিয়ে অসাধারণ কিছু উক্তি করেছেন। এই উক্তিগুলো শুধু আমাদের অনুপ্রাণিতই করে না, বরং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে দিকনির্দেশনা দেয়।
- মহাত্মা গান্ধী বলেছেন: “আপনি যদি সম্মান চান, তবে প্রথমে অন্যকে সম্মান দিতে শিখুন।”
- সক্রেটিসের মতে: “সম্মান হারানো মৃত্যু থেকেও ভয়ঙ্কর।”
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন: “সম্মান এমন কিছু, যা কেবল অর্জন করা যায়, দাবি করে নয়।”
- আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন: “মানুষকে বুদ্ধির জন্য নয়, বরং চরিত্রের জন্য সম্মান করা উচিত।”
এসব উক্তি আমাদের শেখায় যে, সম্মান কোনো বাহ্যিক জিনিস নয় বরং অন্তরের প্রকাশ। জীবনে কতটা সম্মান অর্জন করতে পেরেছি, সেটিই আসল সাফল্যের মাপকাঠি।
সম্মান নিয়ে স্ট্যাটাস
যেখানে সম্মান নেই,
সেখানে ভালোবাসা থাকলেও তা টিকতে পারে না।
কারণ হৃদয় অপমানের ভার বহন করতে পারে না।
সবাই ভালোবাসতে পারে,
কিন্তু সবাই সম্মান দিতে জানে না।
আর ভালোবাসা তখনই টিকে থাকে,
যখন সঙ্গে থাকে সম্মান।
সম্মান চাইলে আগে সম্মান দিতে শিখো—
কারণ মানুষের মন যতটা নরম,
তার আত্মমর্যাদা ততটাই স্পর্শকাতর।
ভুল মানুষকে ভালোবাসা দিলে কষ্ট হয়,
কিন্তু ভুল মানুষকে সম্মান
দিলে নিজের সম্মানও হারিয়ে যায়।
যে সম্পর্ক সম্মানের ভিত্তিতে দাঁড়ায় না,
সে সম্পর্ক কেবল সময়ের অপচয়।
সম্মান অর্জন করতে সময় লাগে,
কিন্তু হারাতে সময় লাগে না এক মুহূর্তও।
তুমি যদি কাউকে সম্মান না দাও,
তাহলে তুমি কখনো তার হৃদয়ে স্থান পাবে না।
একজন মানুষ কেমন তা বোঝা যায়
সে কিভাবে নিচু পদের কাউকে সম্মান করে।
অপমানকে সহ্য করা নয়,
সম্মানের জন্য নিজেকে বদলে ফেলা
-ই আত্মসম্মান।
নিজের সম্মানের জন্য চুপ
থাকা ভুল নয়, বরং তা-
ই প্রমাণ করে তুমি কতটা শক্ত।
সম্মান নিয়ে ক্যাপশন
🧠 ভালোবাসার চেয়ে আগে চাই সম্মান,
কারণ ভালোবাসা ছাড়া টিকে থাকা যায়,
অপমান নিয়ে নয়। 💔
🔕 চুপ করে থাকা মানেই দুর্বল না…
মাঝে মাঝে তা সম্মানের জন্য লড়াই। 🤫
💭 যে আমাকে সম্মান দিতে জানে না,
আমি তাকে ভালোবাসতে জানি না। 🚫❤️
📖 সম্মান হলো এমন এক পাঠ,
যা শেখানো যায় না
—শুধু আচরণে বোঝা যায়। ✍️
👑 সম্মান কিনে পাওয়া যায় না,
এটা অর্জনের জিনিস। 💵❌
💢 আত্মসম্মান হারিয়ে যাওয়া মানে,
নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলা। 🕳️
🤝 সব সম্পর্ক ভালোবাসা দিয়ে টিকে না,
কিছু সম্পর্ক শুধু সম্মানেই বেঁচে থাকে। 💫
🎭 সম্মান করতে না জানলে,
সম্পর্কের মুখোশ খুব দ্রুত খুলে যায়। 🪞
🚪 যে ঘরে সম্মান নেই,
সে ঘরে ফিরে যাওয়াটাই অপমান। 🧳
💎 সম্মান হলো নীরব অস্ত্র
—যা দিয়ে আপনি নিজেকেই
অপরাজেয় করে তুলতে পারেন। 🗡️
বড়দের সম্মান নিয়ে উক্তি

“বয়সের ভার নয়,
অভিজ্ঞতার ওজনেই একজন
বড় মানুষ সম্মানের যোগ্য হন।”
“যে বড়দের সম্মান করতে জানে না,
সে জীবনে ছোট হয়েই থেকে যায়।”
“বড়দের প্রতি সম্মান দেখানো শুধু সৌজন্য নয়,
এটা আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পরিচয়।”
“বৃদ্ধ মানুষরা ধন নয়,
তারা জীবনের জীবন্ত পাঠশালা
তাদের সম্মান করা মানে জ্ঞানকে সম্মান করা।”
“সময় যতই বদলাক,
বড়দের সম্মানের স্থান কখনো কমে না
বরং সে হয়ে ওঠে আগামীর দিশা।”
“যে পরিবারে বড়দের সম্মান করা হয় না,
সেখানে শান্তি আর আর্শীবাদ থাকে না।”
“বড়দের কাছ থেকে শিখতে না পারলে,
ছোটরা কখনোই বড় হতে পারে না।”
“সম্মান কেবল স্নেহ নয়—
বড়দের প্রতিটি কথায় লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের আলো।”
“একজন বৃদ্ধের নীরবতা মানে অভিজ্ঞতার গর্জন,
যার সম্মান করাই মানবিকতা।”
“যত ব্যস্তই হই,
বড়দের জন্য সময় বের করাই
আমাদের চরিত্রের প্রকৃত পরিচয়।”
নিজের সম্মান নিয়ে উক্তি

“নিজের সম্মান নিজেকেই রক্ষা করতে হয়,
কারণ মানুষ শুধু সুযোগ খোঁজে অপমান করার।”
“যে নিজের সম্মান বজায় রাখতে জানে না,
সে অন্যের সম্মান দিতেও শেখে না।”
“নিজেকে ভালোবাসো এমনভাবে,
যেন কেউ তোমার Sonman নিয়ে খেলতে না পারে।”
“নিজের আত্মমর্যাদা যেখানে হারিয়ে যায়,
সেখানে আর ভালোবাসা টিকে না।”
“চুপ থাকা দুর্বলতা নয়—
তা নিজের সম্মান রক্ষার এক প্রকার সাহস।”
“নিজের সম্মান কখনো কারো হাতে তুলে দিও না,
কারণ সেটা ফেরত আসে না অপমানে ভাঙার পর।”
“তুমি যদি নিজেকে ছোট মনে করো,
তবে কেউ তোমাকে বড় করে সম্মান দেবে না।”
“মানুষের আগে নিজেকে সম্মান করতে শিখো—
তবেই অন্যরাও তোমাকে সম্মান করবে।”
“নিজের সম্মান রক্ষার জন্য একা চললেও চলবে,
কিন্তু আপোষ করে বাঁচা যাবে না।”
“ভুল মানুষদের সুযোগ দিলে তারা শুধু বিশ্বাস ভাঙে না,
নিজের সম্মানও টেনে নামায়।”
সম্মান নিয়ে উক্তি ইংরেজিতে

“Respect is not something you demand —
it’s something you earn through your character.”🔸
সম্মান চাওয়া যায় না,
এটা অর্জন করতে হয় নিজের চরিত্রের মাধ্যমে।
“When love fades, respect can still hold a relationship together.
Without respect, nothing can.”🔸
ভালোবাসা ফিকে হলেও সম্পর্ক টিকতে পারে যদি সম্মান থাকে,
কিন্তু সম্মান না থাকলে কিছুই টিকে না।
“You don’t lose people when you speak the truth —
you lose those who never respected you to begin with.”
🔸 তুমি সত্য বললে কেউ হারায় না, হারায় শুধুই তারা,
যারা কখনো তোমাকে সম্মানই করেনি।
“A person who respects you in your absence is someone who truly values you.”
🔸 যে ব্যক্তি তোমার অনুপস্থিতিতেও তোমাকে সম্মান করে, সে-ই তোমার প্রকৃত মূল্য বোঝে।
“Respect begins where ego ends. Learn the difference.”
🔸 সম্মান সেখানে শুরু হয়, যেখানে অহংকার শেষ হয়। এই পার্থক্যটা শেখা জরুরি।
“You can’t force anyone to respect you,
but you can stop giving them access to disrespect you.”
🔸 কাউকে জোর করে সম্মান করানো যায় না, তবে তাকে অপমান করার সুযোগ বন্ধ করা যায়।
“The way you treat those who can do nothing for you —
that’s where true respect lies.”🔸
যারা তোমার কিছুই করতে পারবে না, তাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করো—
সেখানেই তোমার আসল সম্মান লুকিয়ে আছে।
“Respect isn’t shown in words; it’s felt in the way someone listens,
responds, and values your presence.”
🔸 সম্মান মুখের কথা নয়—
তুমি কেমন করে শোনো, বোঝো আর পাশে থাকো,
সেখানেই তা বোঝা যায়।
“Losing money hurts less than losing self-
respect. Guard it like treasure.”
🔸 টাকা হারালে কষ্ট হয়, কিন্তু আত্মসম্মান হারালে আত্মা পোড়ে।
একে রত্নের মতো আগলে রাখো।
“Never chase respect. Live with integrity,
and it will find you on its own.”
🔸 সম্মানের পেছনে ছুটো না, নিজের সৎ পথে থেকো—
সম্মান নিজেই এসে পাশে দাঁড়াবে।
সম্মান কী এবং কেন এটি অপরিবর্তনীয় সম্পদ

সম্মানকে বলা যায় এক প্রকার অমূল্য সম্পদ। এটি এমন কিছু নয় যা টাকায় কেনা যায়, বরং অর্জন করতে হয় ব্যক্তিত্ব, আচরণ ও নীতিবোধের মাধ্যমে। সম্মানের দুটি দিক আছে—আত্মসম্মান এবং অন্যের সম্মান।
আত্মসম্মান হলো নিজের প্রতি সেই মূল্যবোধ, যা আপনাকে বলে দেয় আপনি কে এবং আপনার মূল্য কতটা। আত্মসম্মান হারালে মানুষ ভেঙে পড়ে, জীবনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আবার অন্যের সম্মান হলো সমাজে আপনার অবস্থান। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিই আপনার সম্মানের প্রতিফলন।
ধরুন, একজন শিক্ষক যদি সবসময় সৎ থাকেন এবং ছাত্রদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন, তবে তিনি ছাত্রদের কাছ থেকে সম্মান পাবেন। আবার একজন কর্মচারী যদি অফিসে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন, তবে সহকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা করবে। কিন্তু একবার যদি মিথ্যা, প্রতারণা বা অন্যায়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন, তবে সম্মান হারাতে সময় লাগবে না।
সম্মান হারানো অনেকটা ভাঙা কাঁচের মতো—যতই চেষ্টা করুন না কেন, আবার আগের মতো জোড়া লাগানো যায় না। তাই জীবনে অর্থ, ক্ষমতা কিংবা খ্যাতির চাইতে সম্মান ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন এবং অনেক বেশি মূল্যবান।
সম্মান নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
বর্তমান সময়ে ফেসবুক এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করি। সম্মান নিয়ে কিছু সুন্দর স্ট্যাটাস আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করার পাশাপাশি অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে পারে।
সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসের উদাহরণ
- “সম্মান কেবল পাওয়া যায়, দাবি করে নয়।”
- “অর্থ দিয়ে মর্যাদা কেনা যায় না, সম্মান দিয়ে যায়।”
- “যে অন্যকে সম্মান করে, সেই আসল মানুষ।”
আবেগময় স্ট্যাটাসের উদাহরণ
- “ভালোবাসা হয়তো একদিন ম্লান হতে পারে, কিন্তু সম্মান একবার হারালে আর ফিরে আসে না।”
- “সম্মান হলো সম্পর্কের অক্সিজেন। এটা ছাড়া কোনো সম্পর্ক বাঁচতে পারে না।”
- “সম্মান ছাড়া ভালোবাসা অনেকটা ফুলের গন্ধহীনতার মতো।”
অনুপ্রেরণামূলক স্ট্যাটাসের উদাহরণ
- “সম্মান এমন একটি আয়না, যা আপনি অন্যকে দিলে আপনার কাছেই ফিরে আসে।”
- “কখনো অর্থের জন্য নয়, সম্মানের জন্য বাঁচুন।”
- “সফল হতে চাইলে প্রথমে সম্মান অর্জন করুন।”
এই স্ট্যাটাসগুলো কেবল সামাজিক মাধ্যমে নয়, বরং বাস্তব জীবনেও অন্যদের কাছে আপনার পরিচয়ের প্রতিফলন ঘটাবে।

যে নিজের অবস্থান বোঝে না,
সে সবসময় অন্যের ছায়ায় বেঁচে থাকে
—আর শেষ পর্যন্ত নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে।
তুমি যদি নিজের অবস্থানকে গুরুত্ব না দাও,
তাহলে অন্যরা তোমাকে পাপোষের মতো ব্যবহার করবেই।
নিজের অবস্থান ধরে রাখো
—যারা বারবার তোমাকে নিচে নামাতে চায়,
তারা কখনোই তোমার পাশে হাঁটতে সাহস পাবে না।
মানুষ তখনই প্রকৃত শক্তিশালী হয়,
যখন সে নিজের মূল্য নিজেই নির্ধারণ করে,
বাইরের স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করে না।
নিজেকে ছোট ভাবলে,
সারা দুনিয়াই তোমাকে অবহেলা করবে।
নিজের অবস্থান আগে নিজেকে বুঝতে হবে।
সবাই তোমাকে সম্মান করবে না,
কিন্তু তুমি যদি নিজের অবস্থান ছেড়ে দাও,
তাহলে কেউই করবে না।
নিজের অবস্থানে দৃঢ় থাকার মানে অহংকার নয়,
এটা আত্মসম্মান
—যা শুধু সাহসী মানুষরা ধরে রাখতে পারে।
ভালোবাসা, সম্পর্ক কিংবা সাফল্য
—সব কিছুর আগে তোমার নিজের আত্মমর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ,
সেটাই তোমার আসল পরিচয়।
যখন তুমি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলো,
তখন কিছু মানুষ কষ্ট পায়
—কিন্তু সেটা তাদের সমস্যা, তোমার নয়।
নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখো এমনভাবে,
যাতে কেউ তোমাকে ভাঙতে না পারে
—কারণ হারিয়ে গেলে খোঁজ পড়ে,
কিন্তু মর্যাদা গেলে আর ফেরে না।
“অন্য কেউ তোমাকে গুরুত্ব না দিলেও,
নিজের অবস্থান তুমি নিজে জানো
—এটাই সবচেয়ে বড় শক্তি।”
“নিজের অবস্থান ধরে রাখো,
কারণ যেখান থেকে তুমি উঠেছো,
সেটাই তোমার শ্রেষ্ঠ পরিচয়।”
“সময় খারাপ হতে পারে,
পরিস্থিতি বদলাতে পারে,
কিন্তু নিজের অবস্থানকে সম্মানের সাথে ধরে রাখাটাই জীবনের বড় অর্জন।”
“লোকে যতই ছোট ভাবুক,
নিজের ভিতরের মূল্যবোধ যদি অটুট থাকে,
তবে তোমার অবস্থান কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।”
“নিজেকে কখনো এতটা সস্তা করে দিও না,
যাতে কেউ তোমার অবস্থান ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার সাহস পায়।”
“তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছো,
সেটা যদি নিজে জানো
—তাহলে দুনিয়ার কেউ তোমাকে দিশাহীন করতে পারবে না।”
“নিজের অবস্থান এমনভাবে গড়ে তুলো,
যাতে কারো কাছে মাথা নত করতে না হয়,
আর কেউ তোমাকে নিয়ন্ত্রণও করতে না পারে।”
“নিজের অবস্থান কখনো দান নয়,
এটা অর্জন—যা সময়,
ধৈর্য আর পরিশ্রম দিয়ে গড়ে তুলতে হয়।”
“মানুষ যখন নিজের অবস্থান ভুলে যায়,
তখন সে নিজের আত্মসম্মানও হারিয়ে ফেলে
—সাবধান হও, নিজের জায়গাটা চিনে রাখো।”
“আসলে, জীবন তো একটা নদীর মতো।
স্রোতের তালে তাল মিলিয়ে চলতে হয়,
কিন্তু মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে নিজের ভেতরের
গভীরতাটাও মেপে নেওয়া দরকার।”
“বিশ্বাস করো, অন্যের চোখে নিজেকে বিচার
করার চেয়ে নিজের মতো করে বাঁচাটা অনেক শান্তির।
নিজের অবস্থানটা নিজের কাছে পরিষ্কার থাকলেই হলো।”
“কষ্টটা তখন হয়, যখন তুমি বুঝতে
পারো তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছো,
সেটা তোমার আসল জায়গা নয়। তখন
একটা অস্থিরতা কাজ করে ভেতরে।”
“আমি হয়তো অন্যদের মতো দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারছি না,
কিন্তু নিজের গতিতে হেঁটেও একটা নিজস্ব স্থান তৈরি করা যায়।
সেটাই আমার বিশ্বাস।”
“মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি কি ঠিক পথে এগোচ্ছি?
আমার বর্তমান অবস্থান কি আমার ভবিষ্যতের
জন্য সঠিক ভিত্তি তৈরি করছে?”
“আসলে, নিজের অবস্থান শুধু ভৌগোলিক নয়,
এটা মানসিক এবং আত্মিকও।
তুমি ভেতরে কতটা স্থির আর সন্তুষ্ট,
সেটাই আসল কথা।”
“আমার আজকের অবস্থান হয়তো আমার স্বপ্নের শেষ ঠিকানা নয়,
তবে এটা সেই পথের একটা গুরুত্বপূর্ণ বাঁক।
এখান থেকেই নতুন দিগন্তের শুরু হতে পারে।”
“মনে রেখো, অন্যের সাফল্যের দিকে
তাকিয়ে নিজের অবস্থানকে ছোট মনে করার কোনো মানে নেই।
প্রত্যেকের পথ আলাদা, আর প্রত্যেকের লড়াইও ভিন্ন।”
“তাই বলি, নিজের অবস্থানটাকে সম্মান করো। নিজের strengths
এবং weaknesses গুলো ভালোভাবে জানো।
আর সেই অনুযায়ী নিজের জীবনের পথ তৈরি করো।”
আত্মসম্মান গড়ে তোলার উপায়

আত্মসম্মান এমন একটি শক্তি, যা আপনাকে জীবনের প্রতিটি বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেকেই জানেন না কীভাবে আত্মসম্মান তৈরি করতে হয়।
প্রথমত, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি নিজেকে বিশ্বাস না করেন, তবে অন্যরাও করবে না।
দ্বিতীয়ত, সীমারেখা তৈরি করা জরুরি। জীবনে সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করবেন না। যারা আপনার সীমা লঙ্ঘন করে, তাদেরকে না বলতে শিখুন।
তৃতীয়ত, ইতিবাচক চিন্তা করুন। প্রতিটি ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে নিন, আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
যেমন একজন শিল্পী তার কাজের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গড়ে তোলে, তেমনি আত্মসম্মানও আপনার জীবনে এক বিশেষ পরিচয় তৈরি করে। মনে রাখবেন, আত্মসম্মান হলো সেই ভিত্তি, যার ওপর দাঁড়িয়ে আপনার সম্মান ও মর্যাদা গড়ে ওঠে।
অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব
সম্মান শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের প্রতিও সমানভাবে প্রযোজ্য। মানুষ হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো, আমরা অন্যকে কেমন আচরণ দিচ্ছি। পৃথিবীতে যদি প্রতিটি মানুষ একে অপরকে সম্মান দিতে শিখে, তবে সমাজ হবে আরো সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও মানবিক।
পরিবারে সম্মান হলো সম্পর্কের ভিত। বাবা-মাকে সম্মান করা, ভাইবোনকে মর্যাদা দেওয়া, দাম্পত্য সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা—এসবই একটি পরিবারকে সুখের নীড়ে পরিণত করে। যেখানে সম্মান নেই, সেখানে ভালোবাসা থাকলেও তা টিকতে পারে না।
বন্ধুত্বে সম্মান অপরিহার্য। সত্যিকারের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কেবল তখনই, যখন বন্ধুরা একে অপরকে সম্মান করে। বন্ধুত্বে ছোট-বড় ভেদাভেদ থাকে না, থাকে কেবল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস।
কর্মক্ষেত্রে সম্মান মানুষের পেশাগত জীবনে বড় ভূমিকা রাখে। সহকর্মী কিংবা কর্মচারীদের প্রতি সম্মান না থাকলে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, একটি প্রতিষ্ঠানে যদি সবাই একে অপরকে সম্মান করে, তবে কাজের মান বাড়ে এবং সাফল্যও দ্রুত আসে।
সত্যি বলতে কী, সম্মান হলো এমন এক মধুর আচরণ যা মানুষের অন্তরে অমর হয়ে থাকে। আপনি যদি অন্যকে সম্মান দেন, সে আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে। তাই জীবনের প্রতিটি সম্পর্কের মূলে সম্মানকে রাখুন।
সম্মান ও ভালোবাসার সম্পর্ক

ভালোবাসা ও সম্মান—দুটো শব্দ আলাদা হলেও একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ভালোবাসা ছাড়া সম্মান অসম্পূর্ণ, আবার সম্মান ছাড়া ভালোবাসা শূন্য।
ধরুন, কোনো দাম্পত্য সম্পর্ক। সেখানে যদি ভালোবাসা থাকে কিন্তু সম্মান না থাকে, তবে সম্পর্ক টিকবে না। কারণ ভালোবাসা একসময় কমে আসতে পারে, কিন্তু সম্মান যদি থাকে, তবে সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার শক্তি তৈরি হয়।
আবার বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বন্ধুকে কেবল ভালোবাসা নয়, তার মতামত, সিদ্ধান্ত ও অনুভূতিকে সম্মান করাও জরুরি।
ভালোবাসা হৃদয়ের বিষয়, আর সম্মান আত্মার। যদি একটি সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করতে চান, তবে ভালোবাসার পাশাপাশি সম্মানকে অগ্রাধিকার দিন। যেমন ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক আর সুগন্ধে পূর্ণ হয়, তেমনি ভালোবাসা সম্মানের ছোঁয়ায় পূর্ণতা পায়।
সম্মান হারালে জীবন কেমন হয়
সম্মান হারানো যেন জীবনের সবচেয়ে বড়ো দুঃখ। এটি শুধু বাইরের সমাজে নয়, ভেতর থেকেও মানুষকে ভেঙে দেয়।
সামাজিক প্রভাব: একজন মানুষ একবার সম্মান হারালে সমাজে তার অবস্থান নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ তাকে আর আগের মতো মর্যাদা দেয় না। সে ধীরে ধীরে একাকী হয়ে পড়ে।
মানসিক ক্ষতি: সম্মান হারানো মানে আত্মবিশ্বাস হারানো। তখন মানুষ মনে করে তার আর কোনো মূল্য নেই। হতাশা, বিষণ্ণতা, এমনকি জীবন নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাও এসে যায়।
সম্মান হারানো অনেকটা পাখির ভাঙা ডানার মতো। যেমন ডানা ভাঙা পাখি উড়তে পারে না, তেমনি সম্মানহীন মানুষও জীবনের আকাশে ডানা মেলতে পারে না। তাই জীবনকে সুন্দর ও গৌরবময় করতে হলে সম্মান রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
সম্মান অর্জনের বাস্তব উপায়

সম্মান অর্জন করতে কোনো যাদু লাগে না, লাগে কেবল নীতিবোধ, চরিত্র এবং সঠিক ব্যবহার।
- কথাবার্তায় ভদ্রতা: কথা হলো মানুষের আয়না। ভদ্রভাবে কথা বলা, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসবই আপনাকে সম্মান এনে দেবে।
- সততা বজায় রাখা: অসৎ মানুষ কখনো স্থায়ী সম্মান পায় না। সততা এমন এক গুণ, যা আপনাকে মানুষের কাছে চিরদিন সম্মানিত করে রাখবে।
- সহানুভূতিশীল হওয়া: অন্যের কষ্টকে অনুভব করতে পারা, সাহায্যের হাত বাড়ানো, মানবিক আচরণ করা—এসবই মানুষের হৃদয়ে আপনার জন্য সম্মান তৈরি করে।
“সম্মান হল ভালবাসার সর্বশ্রেষ্ঠ
অভিব্যক্তিগুলির মধ্যে একটি।”
–ডন মিগুয়েল রুইজ
“সম্মান হল ভালবাসার সর্বশ্রেষ্ঠ
অভিব্যক্তিগুলির মধ্যে একটি।”
–ডন মিগুয়েল রুইজ
“সম্মানের সবচেয়ে আন্তরিক রূপগুলির মধ্যে
একটি হল আসলে অন্যের কথায় মনোযোগ দেওয়া।”
–ব্রায়ান্ট এইচ ম্যাকগিল
“সম্মানের সবচেয়ে আন্তরিক রূপগুলির মধ্যে
একটি হল আসলে অন্যের কথায় মনোযোগ দেওয়া।”
–ব্রায়ান্ট এইচ ম্যাকগিল
“সম্মান ছাড়া সাফল্য অর্থহীন।”
-নাচ্ছিম নিকোলাস
“সম্মান ছাড়া সাফল্য অর্থহীন।”
-নাচ্ছিম নিকোলাস
“আমি মৃত্যুকে যতটা ভয় করি ঠিক
ততটাই সম্মানকে ভালোবাসি।”
–উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
“সম্মান হলো আপনার আচরণের একটি প্রতীক যা
দেখায় আপনি অন্যদের শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা করেন।”
–ফেরদৌসি মঞ্জিরা
“সম্মান হলো আপনার আচরণের একটি প্রতীক যা
দেখায় আপনি অন্যদের শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা করেন।”
–ফেরদৌসি মঞ্জিরা
সম্মান হলো আপনার আচরণের
একটি প্রতীক যা দেখায় আপনি অন্যদের
শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা করেন
“মানুষের সম্মান তার মানবতাবোধের মাঝেই
লুকিয়ে থাকে যা সঠিক সময় বেরিয়ে আসে।” -রবার্ট গ্রসিস্টি
“মানুষের সম্মান তার মানবতাবোধের মাঝেই
লুকিয়ে থাকে যা সঠিক সময় বেরিয়ে আসে।”
..রবার্ট গ্রসিস্টি
“জীবনের সবথেকে বড় অর্জন এর নাম হলো সম্মান,
কারণ অন্য সব বড় বড় অর্জনের মাধ্যমে এটি অর্জিত হয়।”
–উইলিয়াম ডেভিড
“জীবনের সবথেকে বড় অর্জন এর নাম হলো সম্মান,
কারণ অন্য সব বড় বড় অর্জনের মাধ্যমে এটি অর্জিত হয়।”
–উইলিয়াম ডেভিড
“যদি কেউ সম্মান নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে, তবেই সে স্বার্থক।”
– জন নিভেল
“যদি কেউ সম্মান নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং মৃত্যুর
আগে পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে, তবেই সে স্বার্থক।”
– জন নিভেল
“তুমি যদি উচ্চ সন্মান লাভ করতে চাও,
তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে নিজের মতাে দেখতে অভ্যাস করো।
তাকে সামান্য মনে না করে বরং তাকে সম্মান করো।”
– শেখ সাদী
“তুমি যদি উচ্চ সন্মান লাভ করতে চাও,
তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে নিজের মতাে দেখতে অভ্যাস করো।
তাকে সামান্য মনে না করে বরং তাকে সম্মান করো।”
– শেখ সাদী
“আপনি সৌজন্য দাবি করতে পারেন
তবে আপনাকে সম্মান অর্জন করতে হবে।”
– লরেন্স গোল্ডস্টোন
“আপনি সৌজন্য দাবি করতে পারেন তবে
আপনাকে সম্মান অর্জন করতে হবে।”
– লরেন্স গোল্ডস্টোন
“কাউকে সম্মান করা আপনার
ব্যক্তিত্বের গুণমান নির্দেশ করে।”
– মোহাম্মদ রিশাদ সখী
“কাউকে সম্মান করা আপনার
ব্যক্তিত্বের গুণমান নির্দেশ করে।”
– মোহাম্মদ রিশাদ সখী
“কর্তৃত্বের প্রতি অচিন্তিত
শ্রদ্ধা সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
–আলবার্ট আইনস্টাইন
“কর্তৃত্বের প্রতি অচিন্তিত শ্রদ্ধা
সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।”
– আলবার্ট আইনস্টাইন
“যখন আপনি কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করেন,
তখন অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে।”
–দালাই লামা
“যখন আপনি কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করেন,
তখন অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে।”
– দালাই লামা
“এমন মানুষদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হও
যারা তোমাকে সম্মান করে
এবং অনুপ্রাণিত করে।”
“এমন মানুষদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হও যারা
তোমাকে সম্মান করে এবং অনুপ্রাণিত করে।”
“সম্মানহানি মানব জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি।”
“সম্মান অর্জিত হয়,
সততা প্রশংসা করা হয়,
বিশ্বাস অর্জিত হয়।
আনুগত্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”
“সম্মান অর্জিত হয়,
সততা প্রশংসা করা হয়,
বিশ্বাস অর্জিত হয়।
আনুগত্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়।”
যেমন একটি বীজকে যত্ন করে লাগালে একদিন বড় গাছে পরিণত হয়, তেমনি ছোট ছোট ভালো কাজই আপনাকে সম্মান অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। সম্মান আসে ধীরে ধীরে, কিন্তু একবার এলে তা আপনাকে অমর করে তোলে।
সম্মান নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামে সম্মানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হিসেবে দেখা হয়েছে। কুরআন ও হাদিসে বারবার বলা হয়েছে, মানুষকে মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া আল্লাহর কাছে প্রিয় কাজ।
কুরআনে বলা হয়েছে:
“আমি তো আদম সন্তানকে সম্মানিত করেছি।” (সূরা ইসরা: ৭০)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (তিরমিজি)
সম্মান নিয়ে ইসলামিক উক্তি
সম্মান (ইজ্জত) নিয়ে ১০টি ইসলামিক উক্তি দেওয়া হলো

“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে নম্র হয়,
আল্লাহ তাকে মানুষের চোখে সম্মানিত করেন।”
— [সহীহ মুসলিম]
“সম্মান কেবল আল্লাহ,
তাঁর রাসূল এবং মুমিনদের জন্য।”
— [সূরা মুনাফিকুন: ৮]
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন,
আর যাকে ইচ্ছা অপমান করেন।”
— [সূরা আলে ইমরান: ২৬]
“মানুষের সম্মান আল্লাহর দৃষ্টিতে
তার তাকওয়ার মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়।”
— [সূরা হুজুরাত: ১৩]
“কাউকে ছোট করে দেখো না,
কারণ আল্লাহ যাকে চান তাকে ইজ্জত দেন,
আর যাকে চান তাকে হীন করেন।”
“যে নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষা করে,
আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।”
“তুমি অন্যকে যেমন সম্মান দিবে,
আল্লাহ তোমাকে তেমন সম্মান দান করবেন।”
“আসল সম্মান দুনিয়ার পদ-পদবিতে নয়,
বরং আল্লাহর কাছে মকবুল হওয়াতে।”
“তুমি যদি আল্লাহর জন্য কাজ করো,
তবে মানুষ তোমাকে সম্মান করবে
— এমনকি যদি তাৎক্ষণিক না করে।”
“যে ব্যক্তি নিজের সম্মান রক্ষা করতে চায়,
সে যেন গুনাহ থেকে দূরে থাকে
— কারণ গুনাহ সম্মান নষ্ট করে।”
এ থেকেই বোঝা যায়, ইসলাম শুধু আল্লাহর ইবাদত নয়, মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছে।
আজকের সমাজে যদি আমরা ইসলামী মূল্যবোধ মেনে চলি, তবে পরিবার, সমাজ এবং জাতি—সব ক্ষেত্রেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সম্মান হলো সেই চাবি, যা দিয়ে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার দরজা খোলা যায়।
সম্মান নিয়ে সাহিত্য ও কবিতার ছোঁয়া
বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় সম্মানের বিষয়টি গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের মহাকবি, সাহিত্যিক ও দার্শনিকরা তাঁদের লেখনীতে সম্মানের গুরুত্বকে অসংখ্যবার তুলে ধরেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বারবার বলেছেন, মানুষের আসল মূল্য তার সম্মানে। তাঁর কবিতা ও গানে আমরা পাই আত্মসম্মান ও মানবিক মর্যাদার প্রতিচ্ছবি। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষ যদি নিজেকে সম্মান করতে শেখে, তবে সে অন্যকেও মর্যাদা দিতে পারবে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: “নিজেকে ছোট করলে পৃথিবীও ছোট হয়ে যায়, নিজেকে বড় করলে পৃথিবীও বড় হয়।” এই কথার ভেতরে লুকিয়ে আছে আত্মসম্মানের শক্তি।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। তিনি শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেননি, বরং মানুষের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর কবিতায় শোষিত, নিপীড়িত মানুষের সম্মান প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট। নজরুল বলেছিলেন: “মানুষের উপর মানুষের অধিকার চাই না, চাই মানুষের উপর মানুষের সম্মান।”
এছাড়াও জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্যসহ অনেক কবির লেখায় সম্মান ও মর্যাদার ছায়া পাওয়া যায়। কবিতার ছন্দে, গদ্যের গভীরতায় সম্মান এমনভাবে গেঁথে আছে, যেন তা ছাড়া সাহিত্য অপূর্ণ থেকে যায়।
সম্মান নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক গল্প
সম্মানের শক্তি বোঝাতে ইতিহাস ও বর্তমান সময়ে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
ঐতিহাসিক চরিত্র:
আব্রাহাম লিংকনকে বলা হয় সম্মানের প্রতীক। তিনি জীবনের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সৎভাবে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তিনি সবসময় বিশ্বাস করতেন, “মানুষের আসল পরিচয় তার সততা ও সম্মানে।” তাঁর চরিত্রই প্রমাণ করে, সম্মান দিয়ে কিভাবে একজন মানুষ অমর হতে পারে।
সমসাময়িক উদাহরণ:
একজন সাধারণ রিকশাচালকের কথা বলা যেতে পারে, যিনি একদিন যাত্রীর ফেলে যাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে সারা শহরে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি অর্থে ধনী ছিলেন না, কিন্তু তাঁর সততা ও সম্মান তাঁকে মানুষের হৃদয়ে স্থান দিয়েছে।
এই গল্পগুলো আমাদের শেখায়—সম্মান অর্জনের জন্য ধনী বা ক্ষমতাবান হওয়া জরুরি নয়। প্রয়োজন কেবল সৎ থাকা, অন্যকে সম্মান দেওয়া, এবং নিজের নীতিতে অবিচল থাকা।
সম্মান নিয়ে ছোট ছোট স্ট্যাটাস সংগ্রহ (কপি-পেস্টের উপযোগী)
আজকের ডিজিটাল যুগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রতিদিনই স্ট্যাটাস দিই। সম্মান নিয়ে কিছু ছোট কিন্তু গভীর অর্থবহ স্ট্যাটাস আপনার চিন্তাভাবনা ও ব্যক্তিত্বকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারে।
সংক্ষিপ্ত উক্তি
- “সম্মান হলো চরিত্রের সবচেয়ে বড় অলংকার।”
- “যে অন্যকে সম্মান করে না, সে কখনো সত্যিকারের বড় হতে পারে না।”
- “অর্থ শেষ হয়ে যেতে পারে, সম্মান নয়।”
আবেগময় লাইন
- “সম্মান হলো সম্পর্কের প্রাণ। প্রাণহীন সম্পর্ক বাঁচে না।”
- “একবার সম্মান হারালে, তা ফিরে পাওয়া আকাশের তারার মতো দুর্লভ।”
- “যে সম্মান দেয়, সে ভালোবাসা দ্বিগুণ ফিরে পায়।”
যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ী হয়,
আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।
—মিশকাত
কর্তৃত্বের প্রতি অচিন্তিত শ্রদ্ধা
সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।
– আলবার্ট আইনস্টাইন
শুধু সম্মানের বিনিময়ে সম্মান করাকে সম্মান বলে না,
সেটাকে বলে প্রতিদান।
সম্মান তাকেই বলে যেখানে বিনয়ের
সাথে নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে মর্যাদা দেওয়া হয়।
–রেদোয়ান মাসুদ
সম্মান অর্জনের জন্য আলাদা কিছু করার প্রয়োজন নেই,
শুধু নিজের দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করাই যথেষ্ট।
— পোপ ফ্রান্সিস
নিজের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের নৈতিকতাকে নির্দেশ করে,
অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের আচরণকে নির্দেশ করে।
– লরেন্স স্টার্ন
যে শুধু সম্মান পাওয়ার আশায় কাজ করে
সে সবচেয়ে বেশি অসমম্মানিত হয়।
– রেদোয়ান মাসুদ
মানুষ তখনই প্রকৃতভাবে বাঁচতে
পারে যখন তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়।
— ওভিড
আমাদের জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ
সম্মান অর্জন যা বাকি উদ্দেশ্যগুলোকেও পূরণ করতে সক্ষম।
— ইমানুয়েল ম্যাক্রো
সম্মান ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ এবং
এটি মানুষকে নিজের যোগ্যতার পরিচয়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়।
— বামিগবয়ে ওলুরতিমি
নম্রতা এবং সম্মান আপনার ব্যক্তিত্বের চেয়ে
আপনার পটভূমি সম্পর্কে আরও অনেক কিছু বলে।
– কেট ইরোগবু
সম্মানিত হওয়া যায় না,
সম্মানিত হয়।
– রেদোয়ান মাসুদ
একজন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড়
ও সম্মানের বিষয় হলো তার নিজ দেশের
জন্য কিছু করে দেখানো।
— ক্লিওপেট্রা
আপনি সৌজন্য দাবি করতে পারেন
তবে আপনাকে সম্মান অর্জন করতে হবে।
– লরেন্স গোল্ডস্টোন
তুমি যদি উচ্চ সন্মান লাভ করতে চাও,
তবে অধীনস্থ ব্যক্তিকে নিজের মতাে
দেখতে অভ্যাস করো। তাকে সামান্য
মনে না করে বরং তাকে সম্মান করো।
– শেখ সাদী
উন্নতি করুন, অজুহাত নয়।
সম্মান সন্ধান করুন, মনোযোগ নয়।
– রয় টি. বেনেট
যখন আপনি কৃতজ্ঞতা অনুশীলন করেন,
তখন অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে।
– দালাই লামা
যদি কেউ সম্মান নিয়ে জন্মগ্রহণ করে
এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার সেই সম্মান
ধরে রাখতে পারে, তবেই সে সার্থক।
—জন নিভেল (সম্মান নিয়ে স্ট্যাটাস)
মানুষের সম্মান তার মানবতাবোদের মাঝেই
লুকিয়ে থাকে যা সঠিক সময়ে বেরিয়ে আসে।
— রবার্ট গ্রসিস্টি
সম্মান হল ভালবাসার
সর্বশ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তিগুলির মধ্যে একটি।
– ডন মিগুয়েল রুইজ
কাউকে সম্মান করতে না পারলে না করুন,
দরকার হলে তার থেকে কেটে পড়ুন তারপরেও অসম্মান করবেন না।
অন্যকে অসম্মান করলে নিজের ইমেজ তো নষ্ট
হয়ই পাশাপাশি নিজের কালো মুখোশটিও উন্মোচিত হয়ে যায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
জীবনের সবথেকে বড় অর্জন এর নাম হলো সম্মান,
কারণ অন্য সব বড় বড় অর্জনের মাধ্যমে এটি অর্জিত হয়।
– উইলিয়াম ডেভিড
মানুষকে সম্মান দিতে শেখো,
এতে করেই নিজেও সম্মান পাবে।
— এরিস্টটল
সম্মান ছাড়া সাফল্য অর্থহীন।
– নাচ্ছিম নিকোলাস
যদি কেউ সম্মান নিয়ে জন্মগ্রহণ করে
এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে, তবেই সে স্বার্থক।
– জন নিভেল
আমি মৃত্যুকে যতটা ভয় করি
ঠিক ততটাই সম্মানকে ভালোবাসি।
– উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
যে শৃঙ্খলা ব্যতিরেকে জীবনযাপন করে
সে কোন সম্মান ছাড়াই মারা যায়।
— সক্রেটিস
মানুষের সম্মান তার মানবতাবোধের মাঝেই
লুকিয়ে থাকে যা সঠিক সময় বেরিয়ে আসে।
– রবার্ট গ্রসিস্টি
প্রতারণা করে কোন কিছু জেতার
চেয়ে সম্মানের সাথে হেরে যাওয়াই ভালো।
— সোফোক্লস
সম্মানের সবচেয়ে আন্তরিক রূপগুলির মধ্যে
একটি হল আসলে অন্যের কথায় মনোযোগ দেওয়া।
–ব্রায়ান্ট এইচ ম্যাকগিল
জীবনের সবথেকে বড় অর্জনের নাম হলো সম্মান,
কারণ অন্য সব বড় বড় অর্জনের মাধ্যমেই এটি অর্জিত হয়।
—উইলিয়াম ডেভিড
আমাদের জীবন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত এবং সীমিত।
তাই আমাদের উচিৎ এই ছোট্ট জীবনকে প্রকৃত সম্মান
দেওয়া যা সম্ভব আমদের কাজের মাধ্যমে।
—ওসাকা লেভিনহো
তুমি তোমার উপর স্তরের মানুষদের সম্মান করলে
তোমার নিম্ন স্তরের মানুষেরাও তোমাকে সম্মান করবে।
— সুবর্ণ মুস্তফা
এসব স্ট্যাটাস সহজ হলেও অর্থে গভীর। এগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে কেবল মানুষকে অনুপ্রাণিতই করবে না, বরং আপনার সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তিও তৈরি করবে।
সম্মান বজায় রাখার আধুনিক চ্যালেঞ্জ
বর্তমান বিশ্বে সম্মান ধরে রাখা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন হয়ে গেছে। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে মানুষের চরিত্র, মূল্যবোধ ও সম্মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সম্মুখীন হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্মান:
আজকাল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মে মানুষ খুব সহজেই অন্যকে হেয় করতে পারে। একটি ভুল মন্তব্য বা ছবি মুহূর্তেই সম্মান নষ্ট করে দিতে পারে। তাই অনলাইনে নিজের ভাষা ও আচরণ নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
ডিজিটাল দুনিয়ায় আচরণবিধি:
ইন্টারনেটে আমরা প্রায়শই মুখোমুখি না হয়েও যোগাযোগ করি। তাই এখানে সম্মান দেখানো আরও জরুরি। অনলাইনে ভদ্র আচরণ, মিথ্যা খবর না ছড়ানো, এবং কাউকে ছোট না করা—এসবের মাধ্যমে নিজের সম্মানও রক্ষা করা যায়।
সমাজে যেমন, তেমনি ডিজিটাল দুনিয়াতেও সম্মান হলো আসল পরিচয়। প্রযুক্তি বদলেছে, সময় বদলেছে, কিন্তু সম্মানের গুরুত্ব একই আছে, বরং আরও বেড়েছে।
উপসংহার
সম্মান হলো এমন এক সম্পদ, যা টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা যায় না, কিন্তু সঠিক আচরণ ও নীতিবোধ দিয়ে অর্জন করা যায়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ও মানবিক সম্পর্কের ভিত্তি। ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায় সম্মান থাকলেই সেগুলো টিকে থাকে।
আমরা যদি চাই, পৃথিবী আরও সুন্দর হোক, তবে আমাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত সম্মানকে অগ্রাধিকার দেওয়া। আত্মসম্মান রক্ষা করা যেমন জরুরি, তেমনি অন্যকে সম্মান দেওয়াও সমান প্রয়োজনীয়। মনে রাখবেন, সম্মান হারালে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আর সম্মান অর্জন করলে, মৃত্যুর পরেও মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।
FAQs
কারণ সম্মান মানুষকে মর্যাদা, আত্মবিশ্বাস এবং সমাজে আসল পরিচয় দেয়।
আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে, সীমারেখা তৈরি করে এবং ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে আত্মসম্মান গড়ে তোলা যায়।
ভালোবাসা ও সম্মান আলাদা হলেও দুটোই প্রয়োজন। তবে সম্মান ছাড়া ভালোবাসা টেকে না।
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে, চরিত্র ঠিক করতে হবে এবং ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
ভদ্র ভাষা ব্যবহার করা, মিথ্যা খবর না ছড়ানো এবং কাউকে ছোট না করা হলো সম্মান রক্ষার উপায়।