ইসবগুলের ভুষি উপকারীতা ও অপকারীতা কি?-Isabgoler Bhusi

ইসবগুলের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আজ আলোচনা করতে যাচ্ছি।  আসুন জেনে নেই ইসপগুলের ভূষি সম্পর্কে বিস্তারিত

1-হজমক্রিয়ার উন্নতিতে ইসবগুলের ভুষি 2-ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুষি, 3-পেট পরিষ্কারে ইসবগুলের ভুষি, 4- ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি, 5-পাইলস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি, 6- ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি, 7- অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি, 8- কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুলের ভুষি, 9- হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায় ইসবগুলের ভুষি , 10-রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে ইসবগুলের ভুষি, 11-গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিরাপদ, ইসবগুলের ভুষি উপকারীতা ও অপকারীতা কি?-Isabgoler Bhusi

ইসুপগুলের ভূষি কিভাবে তৈরী হয়?

Isabgoler Bhusi বা ইসপগুলের ভূষি আথবা Ispaghula husk যে নামেই বলি এটি আমাদের দেশে  ‘কনস্টিপেশনের চিকিৎসায় একটি সর্বাধিক ব্যবহৃত অসুধি ফসল’। মুসলিমরা অনেকেই বিশেষ করে রোযার মাসে ইফতারের সময় শরবতের সাথেও এটি খাই। কিন্তু আমরা কি জানি  এটি পাওয়া যায়? বা  কি থেকে পাওয়া যায়? তাই আসুন জানি সেই গাছের কথা যা থেকে আমরা পাই ইসবগুল বা Isabgoler Bhusi.। ইসবগুলের গাছের বৈজ্ঞানিক নাম “Plantago ovata” এটি একটি একবর্ষজীবি উদ্ভিদ। ‘উদ্ভিদটি লম্বায় ১২ থেকে ১৮ ইঞ্চি হয়ে থাকে। বীজ বপনের দুই মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ১১০দিন থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে ফসল তোলার উপযোগী হয়’। এই ফসলটি ভারতের বেশ কিছু জায়গায়, পাকিস্তানকিছু জায়গায়, পুরো ইরান জুরে, এছাড়াও এ্যারাবিয়ান পেনিনসূলার দেশগুলিতে এই ফসলের চাষ হয়। হয়তবা ভাবছেন ইসপগুলের ভুষি তাহলে গাছের কোথায় ধরে? আসলে এই ফসলের পরিপক্ক হোয়ার পর বীজের বাইরের আশ বা ত্বক ‘Epidermis‘ ও এর পাশে নিচের স্তর দুটি একসাথে আলাদা হয়ে আসে যা আমরা Ispaghula husk বা ইসপগুলের ভুষি – Isabgoler Bhusiবলে থাকি।

ইসবগুলের ভুষি- Isabgoler Bhusi English name?

‘ইসবগুল’ Isabgoler Bhusi বৈজ্ঞানিক নাম “Plantago ovata” আর ইংরেজি নাম “Blond Psyllium”, এটি একটি একবর্ষ-জীবী উদ্ভিদ। উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার হয়। পাতা লোমযুক্ত ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ও এক থেকে দুই সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে। ইসপগুল বা ইসপগুলের ভূষির আরেকটি  নাম হল Ispaghula husk.

ইসবগুলের ভুষির উপকারিতা কি ?

Isabgoler Bhusi উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না, আমরা এখানে মোটা মোটি সব কিছু শেয়ার করেছি তাই ধোর্য ধারন করে পুরো পোস্ট পড়ুন অনেক উপকারে আসবে। যাইহোক আপনি যদি 5 – 10 গ্রাম Isabgoler Bhusi নিয়ে 1 কাপ ঠাণ্ডা কিংবা গরম পানিতে 30 মিনিটের মত সময় ভিজিয়ে রাখুন এবং খাওয়ার আগে 2 থেকে 3 চামচ চিনি মিশিয়ে নিন এবং সকালে খালি পেটে খেতে বা রাতে শোয়ার আগে খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাওয়া পাবেন। ইসপগুলের ভুষি তে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের পেটের বিভিন্ন রোগ ও কোষ্ঠকঠিন্যতা দুর করে। যারা দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকঠিন্যতায় ভুগছেন তারা ২ মাস নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকঠিন্য ১০০% চলে যাবে। পেট স্বাভাবিক হলে সপ্তাহে 1 থেকে 2 দিনের বেশি না খাওয়াই ভালো

ইসবগুলের ভুষি উপকারীতা ও অপকারীতা কি?-Isabgoler Bhusi
ইসবগুলের ভুষি উপকারীতা ও অপকারীতা কি?-Isabgoler Bhusi

ইসবগুলের ভুসি (isabgoler bhusi) যে রোগের জন্য যে ভাবে খাবেন

কিছু প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপকার পেতে কতক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া উচিত?

উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যে ইসবগুলের ভুসি জাতীয় খাবারের উপকারিতা হচ্ছে এই জাতীয় খাবার গুলো উচ্চ আঁশযুক্ত হয়, তাই অন্ত্রে হজম হয় না ফলে মলত্যাগ বা ময়লা বের করতে ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত সাহায্যকারী জিনিষ। সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে ভিজিয়ে না রেখে পানিতে গুলে সঙ্গে সঙ্গেই পান করে ফেলবেন।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হয় কি? এবং এটির ব্যবহার কি শুধু কোষ্টকাঠিন্য নিরাময়?

উত্তর: হালকা ধরনের কোষ্ট’কাঠিন্যে সবজি ফল ও পানি পান করলেই সেরে যায় তবে ইসবগুলের ভুসিখেলে মলের পরিমাণ বাড়ে আর মলের মধ্যে পানি ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

প্রশ্ন: ইসবগুলের ভুসি কীভাবে খাব? চিনি দিয়ে নাকি চিনি ছাড়া? 

সকল প্রশ্নের উত্তরঃ- এটি অনেক ভাবেই খাওয়া যায় একটি হল-  1-2 চা চামচ 250 বা 1 গ্লাস পানি দিয়ে মিশিয়ে সাথে সাথে খেতে পারেন প্রতিদিন। পানির সঙ্গে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাবেন যাতে শরীরের ভেতরে ঢুকে ইসবগুলের ভুসি  ফোলে উঠে। প্রয়োজন না হলে চিনি মেশানোর দরকার নেই।

আবার এটির ডায়রিয়াজনিত রোগে জন্য প্রোবায়োটিক হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। 2 চা চামচ ভুসি 15 মিলিলিটার টক-দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার পরে খাবেন। এরপর 1 গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। ডায়রিয়াজনিত রোগে এটি প্রোবায়োটিক হিসেবে আপনার শরীরে কাজ করবে ইনসাআল্লাহ্ ।

আবার  ইরিটেবল বাওয়েল Syndrome বা  IBS   যেখানে কোষ্টকাঠিন্য প্রধান্য পায় সেখানেও এই ইসবগুলের ভুসিখেতে পারেন।

এবং হেমোরেয়ডস, এনাল ফিশার বা পাইলস বা অর্শ রোগের ব্যথা কমাতে Isabgoler Bhusi অনেক সাহায্য করে থাকে।

রিফ্লাক্স রোগ (Reflux disease) বা খাদ্যনালির প্রদাহ কমাতে Isabgoler Bhusi ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 2 চা চামচ ইসবগুল 1 গ্লাস ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। খাওয়ার পর পেট-বুক জ্বালাপোড়া করা ও পেটে গ্যাস হওয়া রিফ্লাক্স রোগের উপসর্গ। খাবারের পর পাকস্থলীর গায়ে এটি আবরণ সৃষ্টি করে। ফলে এসিড থেকে শরীরের ক্ষতি কমে যায়। এই খাবারের ফলে শর্করা জাতীয় খাবার কম শোষিত হয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে Isabgoler Bhusi পরোক্ষভাবে উপকার করে।

আরও পড়ুনঃ কালা যাদু/জাদুবা ব্ল্যাক ম্যাজিক কি? কিভাবে কাজ করে?

এবার আরও কিছু ইসপগুলের ভূষির উপকারীতা জেনে নেই

ইসবগুলের ভুসি মানব শরীরের  হজম তন্ত্রের বিভিন্ন রোগের জন্য প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসা একটি ঘরোয়া পদ্ধিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা। তাই বলে এই সাদা Isabgoler Bhusi ভুসিটির উপকারিতা শুধু হজম তন্ত্রের সমস্যার সমাধানেই করে না সাথে আরও অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নিই ইসবগুলের ভুষির আরো অনেক উপকারিতা।

হজমক্রিয়ার উন্নতিতে ইসবগুলের ভুষি

ইসবগুলের ভুষি হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে। সাথে পেট পরিস্কার রাখে জমন করা শক্তি বারিয়ে তোলে। তাই হজম করার শক্তিকে উন্নত করতে নিয়মিত ভাবে ইসবগুল খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ছুপের সাথে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেতে পারেন ভাত খাওয়ার পরে। তবে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে না রেখে দিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলাই উত্তম।

ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুষি

ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুলের ভুষি হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি  খেলে ওজন নিয়ে ভাবনা আর থাকবে না ইসবগুলের ভুষি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং চর্জিযুকাত খাবার গুলোকে খাওয়ার হ্রাস পায়। হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কারকরে। ইসবগুলের ভুষি ও সামান্য লেবুর রস মিসিয়ে খেলে আমার ওজন কমিয়ে দিবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এটি খেলেও ওজন কমে যাবে।

পেট পরিষ্কারে ইসবগুলের ভুষি

সকল ওসুধের উপরে ইসবগুলের ভুষি যা আপনার পেট পরিস্কার করে দিতে পারে। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ্বরোগের হয়ে যায়। আবার এই অর্শ্বরোগ মরণব্যাধি ক্যান্সারের ধারন করে। এসব সমস্যার সমাধানে প্রাচিন কাল থেকে ইসবগুলের ভুষি মহঔসধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মানব জাতী। ওষুধ পেটকে রাসায়নিকায়ন  করে আর ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের সুস্থ‌্য রাখতে সাহায্য করে। প্রতি রাতে ইসবগুলের ভুসি খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করলে আমাশয় মত কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আমাশয়ের জীবাণু ইসবগুলের ভুষি ধ্বংস করতে না পারলেউ , তা শরীর  করে দিতে পারে। তাই আমাশয়ের রোগীরা সকালে ও রাতে একগ্লাস ইসবগুলের ভুষি খেলে উপকার পাবে। ওষুধ খেয়ে আমাশায় ঠিক করলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জিবানু গুলো শরীর থেকে বের হয় না। তবে এই কাজটি ইসবগুলের ভুষি  সহজে করতে পারে। যার কারণে আবারও আমাশায় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকেনা।

যাদের প্রোসাবে কারর সময় বা পরে  জ্বালাপোড়া  তারা সকালে এবং  বিকালে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। জ্বালাপোড়া কমে রং স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

হাতে, পায়ে জ্বালাপোড়া ও মাথা ঘোরানো রোগে নিয়ম করে সকাল-বিকাল আখের গুড়ের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিলিয়ে সপ্তাহখানেক খেলে উপকৃত হবেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইসবগুলের ভুষি খুব ভালো একটি জিনিষ। এটি পাকস্থলীতে জেলির রূপ নেয় গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের গতিকে কমিয়ে এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। খাবার পর নিয়মিতভাবে দুধ বা পানির সাথে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে পান করুন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে। –ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুষি কোন জুরি নেই।

পাইলস প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি

প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্যআঁশে পরিপূর্ন ইসবগুলের ভুষি তাই যারা পাইলসের মত রোগের কারনে জন্ত্রাদায়ক দিন কাটাচ্ছে অত্যন্ত কার্জকরী সমা হতে পারে ইসবগুলের ভুষি

ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি

যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য দারুণ ঔষধ হলো ইসবগুলের ভুসি ও টকদই। এ দুটি একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ দইয়ে থাকা Probiotic  পাকস্থলীর ইনফেকশন দুর করে এবং ইসবগুল পাতলা মলকে শক্ত করে এবং  ডায়রিয়া থেকে মুক্তি দান করে। ডায়রিয়া মুক্তি পেতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবার পর খাবেন। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে ইসবগুলের ভুষি

বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুলের ভুষি হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার। ভুসিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে একটি স্তর তৈরি করে। যা আমাদের অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এ ভুসি। ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে। ইসবগুলের ভুষি  আপনার পাকস্থলীতে গ্যাস উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা মুক্তি পাওয়া যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুলের ভুষি

ইসবগুলের ভুষি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে করে দেয়। প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি এক গ্লাস হালকা গরম দুধে মিশিয়ে প্রতহ শোয়ার আগে খাবেন।

আরও পড়ুনঃ ১১টি সমস্যার সমাধান করবে ইসুবগুলের ভুষি!!!

হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায় ইসবগুলের ভুষি

ইসবগুলের ভুষিতে কোলেস্টেরলের কমিয়ে দেয় যার ফলে আমরা হৃদরোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি। হৃদরোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে ইসবগুলের ভুষি খেতে হবে কারন এটি উচ্চআঁশ সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই ডাক্তাররা সব সময় হৃদরোগ প্রতিরোধে এমন খাবারখেতে বলে। এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তরের সৃষ্টি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয় যা থাকলে ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে তা হৃদরোগ এবং কোরোনারী হার্ট ডিজিজ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাবে খাবারের পরে অথবা সকাল বেলা খালি পেটে এটি খেতে পারেন।

রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে ইসবগুলের ভুষি

 ইসবগুলের ভুষি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের আবরন সৃষ্টি করে যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়।  ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে নরমল আবস্থায় ফিরে আসে। সেকারনেই ‘হৃদরোগী’দের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিরাপদ

হ্যা অবশ্যই নিরাপদ গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়া যেতেই পারে তবে যদি অন্য কোন সম্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খাবেন।

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় ?

অনেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ পেটের নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন; তারা বেশিরভাগ সময়ই লজ্জায় এ মারাত্মক সমস্যার কথা শেয়ার করতে চান না। কিন্তু তিনি নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। এসব সমস্যার সমাধান করবে ইসবগুলের ভুসি। 

এবার আসুন ইসবগুলের ভুসি কিছু অপকারিতা জেনে নেই।

ইসবগুলের ভুসি ৭টি অপকারিতা

কোন অপকারীতা নাই তারপরও কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো চলুন শুরু করা যাক।

১। যেকোন খাবারই বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উপকারী ইসবগুলেরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

২।  কখনো কখনো ইসবগুলের ভুষি পাকস্থলীতে টানটান ভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে ইসবগুল খাওয়া বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩। যদি অ্যালার্জি দেখা দেয় তাহলেও দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

৪। যদি আপনার Appendicitis stomach blockage মত স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তাহলে ইসবগুল খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মত খাবেন।

৫। ইসবগুল অনেকক্ষণ বেশিক্ষন ভিজিয়ে না রেখে সাথে পান করার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো ইসবগুল যথেষ্ট পরিমাণ পানিতে ঢেলে যত দ্রুত সম্ভব পান করে নিন। এর সুফল পেতে এর সঙ্গে প্রচুর পানি পান করতে হবে।

৬। ইসবগুলের ভুষি  ঢোকর গেলা  কষ্টকর তাই যাদের অন্ত্রে রোগ আছে, তাদের জন্য এটি সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

৭। সারা বছর ধরে খেলে পেটে শব্দ করে করে, ডায়রিয়া  হওয়ার সম্ভবনা থাকে একটানা সাত বা দশ দিনের দিনের বেশি না খাওয়াই ভালো। এছাড়া কিছু ওষুধ সেবনেও ইসবগুলের ভুসি বাধা দেয়।

৮। ইসবগুলের ভুষি  দই এক সাথেখাবেন না এতে কোষ্ঠকাঠিন্য’র সমস্য হতে পারে।

সতর্কতা 

উপরে উল্লেখিত রোগ গুলোর ঘরোয়া চিকিৎসা যদি খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ইসবগুল কেনার সময় দেখে নিন প্যাকেটজাত ইসবগুল কিনুন

প্যাকেটজাত ইসবগুল কিনুন খোল গুলোতে ন্ষ্ট ও ভেজাল থাকতে পারে। সুস্থ থাকুন

আরও পড়ুনঃ- ছন্দের বাংলাঅডিও গান ডাউনলোড ঝামেলা ছাড়া

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

2 thoughts on “ইসবগুলের ভুষি উপকারীতা ও অপকারীতা কি?-Isabgoler Bhusi”

Leave a Comment