রোগা পাতলা শরীর কার না ভালো লাগে বলেন?
রোগা বা চিকন হওয়া যেমন কঠিন, মোটা হওয়া বা নিজেকে আবার রোগা শরীর থেকে নিজেকে সুন্দর করে তোলা সহজ নয় একথায় দুটোর কোটিই কিন্ত সহজ কাজ নয়। একজন পরিণত মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে কম ওজন সমস্যায় ভুগতে হয়। এক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এজন্যই নিজেকে মোটা করে তোলাও জরুরি।
তাই আসুন জেনে নেই মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায়: দ্রুত ওজন হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল মানসিক ও শারিরীক কাজের চাপ ।সুতরাং ওজন বাড়াতে আপনাকে প্রথমে কাজের চাপ বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তাই আপনাকে প্রতিদিন 15 মিনিটের জন্য ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে। এতে মস্তিষ্ক শিথিল হবে। এছাড়াও, দুপুরে 2 ঘন্টা আরাম করে ঘুমান। ঘুম সহজেই ফলাফল দিবে।
১: পিনাট বাটার: পিনাট বাটার হাই ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার। প্রতিদিন একবার করে রুটি বা বিস্কুটের সাথে পিনাট বাটার খেতে থাকুন। তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিনে ফেলুন “পিনাট বাটার”।
২: ড্রাই ফ্রুটস: শুকনো ফল: “শুকনো ফল” ওজন বাড়াতে বা ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ খাদ্য। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে । “তাই কাজু”, “কিশমিশ”, “খেজুর” এবং “বাদাম” খেলে খুব শীঘ্রই ফ্যাট পাওয়ার দ্রুত আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আপনি সকালের খাবারের সাথে 10-12 বাদাম বা কাজু, কিসমিস বা খেজুর খেতে পারেন। এটি খাওয়ার আগে রাতে 1-2 কাপ জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়াই ভাল। আপনি যদি দিনে কমপক্ষে 3 বার খেতে পারের তবে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
৩: মাখন: এটি কেবল ওজন বাড়ায় না। এটি শরীরকে আরও বেশি ভিটামিন গ্রহণ করতে সক্ষম করে। সুতরাং ওজন বাড়াতে পরিষ্কার মাখন খুব কার্যকর। তবে, আপনি ১ চা চামচ চিনি দিয়ে ১ চা চামচ স্পষ্ট বাটার দিয়ে খেতে পারেন। বাটার ও চিনি মিশিয়ে দিনে-রাতে খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। এভাবেই এক মাস এ রুটিন মানলেই দেহের ওজন বাড়বে।
৪: আলু: আলু একটি শর্করা এবং জটিল চিনি সমৃদ্ধ উপাদান। এই আলুর উপাদান আপনাকে খুব ভালভাবে মটা হতে সহায়তা করবে। এর জন্য আপনাকে দিনে দুবার সিদ্ধ আলু খাওয়া দরকার। অলিভ অয়েলে ভাজা আলু চিপসও খেতে পারেন। নিয়মিত খেলে পার্থক্য আসবে।
৫: ডিম: ডিম ওজন বাড়ানোর জন্য একটি নির্ভরযোগ্য উপাদান। এখন ফ্যাট, প্রোটিন এবং ভাল ক্যালোরি শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাকে প্রতিদিন 3-4 টি ডিমের সাদা অংশ খেতে হবে। তবে কাঁচা ডিম খাবেন না। সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশটিই খাওয়া উচিত।
আজ এ পর্যন্তই নিয়ম গুলো মেনে চললে নিজেকে সুন্দর করা কোন ব্যাপারেই না।