বেশি পর্নোগ্রাফি দেখে জানেন কত বড় নিজের ক্ষতি করছেন?

কথায় বলে অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট৷ পর্নোগ্রাফি আর সহবাসের ক্ষেত্রেও এই সমীকরণটা এক্কেবারে মিলে যায়৷যদি আপনি ভেবে থাকেন ইন্টারনেটে নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখলে বা অ্যাডাল্ট লেখা পড়লে সহবাসের সময় আপনার পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে, তাহলে আপনার ভাবনা আজই বদলান৷

গবেষকদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি একই কাজ করেন তাহলে বাস্তবে মানে সহবাসের সময় আপনার রোমাঞ্চটাই শেষ হয়ে যায়৷সহবাসের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের অন্যতম নিউরো ট্রান্সমিটার ডোপামিন দায়ী৷কিন্তু প্রতিদিন পর্নোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ব্যাপারটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে৷ আর মনও সেখানে খুঁজে পায় না নতুন কোনও রোমাঞ্চ৷শুধু তত্ত্বকথাই নয়৷
বাস্তবেও গবেষকরা অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছেন , যারা কৈশোর থেকে নিয়মিত এইসব সাইট দেখতেন৷ তাদের সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি, প্রথম প্রথম পর্নোগ্রাফি দেখে খুব উত্তেজিত লাগলেও, পরে ওই নকল জিনিসগুলো বহুবার দেখতে দেখতে নতুন কোনও কিছু খুঁজে পেতাম না৷
আর বিয়ের পর সহবাসের সময় জোর করে মনে এরকম কোনও অনুভূতি বা রোমাঞ্চ আনাটা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য৷
আসলে ইন্টারনেটে সেক্স নিয়ে যেসব মিথ থাকে, বা ভিডিয়ো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা আসল হয় না৷
ফলে বাস্তবে সেগুলো দেখে যখন লোকজন নকল করতে যায়, তখন তারা পা
রে না৷ ফলে নিজের আর নিজের পারফর্ম্যান্সের উপর থেকেই অনেক সময় উঠে যায় বিশ্বাস৷
এমনকী অবসাদ এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে ক্ষেত্রবিশেষে ওষুধ খাওয়া বা কাউন্সেলিং করানোরও প্রয়োজন পড়তে পারে৷

 

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment