যদিও আঙুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরী করা হয় । তবুও দুটোর পুষ্টিগুণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই আঙুর ও কিসমিসকে এক ভেবে ভুল করা ঠিক হবে না।
![]() আঙুর ও কিসমিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী? |
মুলত আঙুর শুকানোর সময়ই পুষ্টিগুণ পালটে যায়। তাই কারও জন্য আঙুর ভালো আবার অন্য দিকে কারও জন্য কিসমিস। জেনে নিন আপনি কোনটি খাবেন আপনি?
ক্ষতিকারক দিক- ‘কিসমিস শুকিয়ে তৈরি করা হয়’ যাতে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণেই এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের জন্যে ক্ষতিকারক হতে পারে। এছাড়াও আঙ্গুর খাওয়ার সময় ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি
ক্যালোরির পরিমাণ- ‘আঙুরের চেয়ে কিসমিসের ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে’। আঙ্গুর শুকানোর পরে এর মিষ্টি অনেক বাড়ায় তাই ক্যালরির পরিমাণও বাড়ে।
ওজন- আবার ক্যালোরি বেশি হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে কিসমিস।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের- অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ঘনত্ব শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীর থেকে দূষক পদার্থ দূর করতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেহেতু কিসমিসগুলি আঙ্গুরের চেয়ে অনেক শুষ্ক তাই এন্টি-অক্সিডেন্টগুলির ঘনত্বের পরিমাণও প্রায় 3 গুণ বেশি।
প্রত্যেকের দেহের ধরণ আলাদা। এই হিসাবে, আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভাল কি তা আপনার বুঝতে হবে। আপনি যদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলিকে গুরুত্ব দিতে চান তবে আপনি ‘কিসমিস’ খেতে পারেন।
অন্যদিকে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনি চিকিত্সক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ‘আঙ্গুর বা কিসমিস’ খেতে পারেন।