কিভাবে ওজন কমানো যায়

কিভাবে ওজন কমানো যায়

ওজন কমানোর জন্য মানুষ কি না করে অনেকেই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি যা শোনা যায় তা হলো না খেয়ে থাকা সহ আরও বেশ কিছু পদ্ধতি । এ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে না পারেন তাহলে আগের পরিকল্পনা গুলো ঝেড়ে ফেলুন আর নিয়ে নিন নতুন কোনো পদ্ধতি। আপনার খাওয়া কমিয়ে দিন। তবে কখনোই না খেয়ে থাকার মত ভূল করবেন না। আপনি ৩ বেলার খাবারকে ৫ বেলা বা ৬ বেলা করে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরও আগের চেয়ে ভালো থাকবে।

কিভাবে ওজন কমানো যায়
কিভাবে ওজন কমানো যায়

ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়

এক মাসে দশ কেজি ওজন কমাতে চান এমন কেউ খুব আশা নিয়ে পড়তে শুরু করলে দুঃখ পাবেন। কারন সহজে এক মাসে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায় কিভাবে বা ওজন ১০ কেজি ২০ কেজি ৩০ কেজি কমানোর বুদ্ধি দিতে আসি নি। এসেছি আসলে, এমন একটা বিশাল পরিমাণে ওজন সত্যি সত্যি সাসটেইনেবল-ভাবে কমানো যায় কিনা… খুব দ্রুত ওজন কমানো বা কমানোর চেষ্টা করা আদও ঠিক কিনা, তাই নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

আমাদের সবার আগে জেনে নেওয়া দরকার কেন অজন বৃদ্ধি পায় যদি সমস্যা বুঝতে পারেন তাহলে শুরুতেই সমসাধার করা সহজ তাই সবার আগে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণ ও লক্ষ গুলো কি কি?

অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণঃ

বিভিন্ন কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন- অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন, বংশগত সমস্যা, অলস জীবনযাপন, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত খাওয়া, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড গ্রহণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অনিদ্রা, গর্ভাবস্থা এছাড়াও রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ গ্রহণের ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন বাড়ার লক্ষণঃ

অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অত্যধিক ঘাম, শ্বাস নিতে অসুবিধা, পিঠে ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, অল্প ওয়ার্কআউট বা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি চলে আসা, নাক দিয়ে পানি পড়া, অনিদ্রা এবং ক্লান্তি, যেমন কোমর-উরু প্রস্থ বৃদ্ধি, মেয়েদের স্তন ঝুলে যাওয়া ইত্যাদি।

ওজন কমানোর কার্যকরী উপায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওজন বৃদ্ধি পায় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে চিনি এবং অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার। যখন আপনি ওজন কমাতে চাইবেন, তখন আপনার ক্ষুধার মাত্রা নিচে নামিয়ে আনুন। আপনার শরীরে জমে থাকা চর্বি কমবে এমন কাজ করুন। চর্বি কমানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো পানি পান করা। বিশেষ করে হালকা গরম পানি। বেশি করে পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে। এটি পেট মোটা হওয়া কমাবে।

এই পদ্ধতির সাহায্যে প্রথম সপ্তাহে 10 পাউন্ড বা তার বেশি ওজন হারিয়ে যাবে। এতে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন কমবে। এটি আপনার কম ক্যালরিযুক্ত খাবারে একটি অভ্যাস তৈরি করবে। সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। চর্বি কমানো এ পদ্ধতি সহজভাবেই আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় কথা শর্করাজাতীয় খাবার এবং স্টেক খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।

কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার পরিহার

বেশি ক্যালোরির কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার না খেয়ে কুষকের শস্য থেকে উৎপাদিত খাবার খাওয়াটাই হচ্ছে ওজন কমানোর সব খেকে সেরা ও সহজ উপায়। অর্থাৎ সাদা আটা থেকে তৈরীকৃত খাবার গুলো আপনার খাবার তালিকা থেকে কমিয়ে আনতে হবে। সাথে আঁশযুক্ত খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে।

এটি আপনার ক্ষুধার মাত্রা অনেকাংশে কমিয়ে আনবে । কার্বোহাইড্রেট-ডায়েটিং করার সময়, আপনার শরীর শক্তির জন্য শর্করার পরিবর্তে সঞ্চিত চর্বি ব্যবহার করবে।

লাল আটা থেকে উৎপাদিত খাবার গুলো মান দেহের আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে। সেই সঙ্গে খাবার ধীরে ধীরে হজমে সহায়তা করতে থাকে । ফলে আপনার ক্ষুধা কম লাগবে। শস্য থেকে তৈরি খাবার খেলে চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবারের প্রতি আকর্ষণ দিনে দিনে কমে যাবে।

প্রোটিন, ফ্যাট ও শাকসবজি খাওয়া

সবুজ শাকসবজি ওজন কমানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। আরও সবজি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ক্যালোরি কম।

কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ব্রকলি, ফুলকপি, পালং শাক, টমেটো, কেল, ব্রাসেলস স্প্রাউট, বাঁধাকপি, সুইস চার্ড, লেটুস এবং শসা।

উপরন্তু, মনে রাখতে হবে সব ফ্যাট খারাপ নয়। আপনার শরীরের সৃজনশীলভাবে কাজ করার জন্য চর্বিযুক্ত খাবারেরও প্রয়োজন। তাই আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করতে জলপাই তেল এবং অ্যাভোকাডো তেল যোগ করে নিতে পারেন।

আবার নারকেল তেল ও মাখনের মতো খাবার গুলোতে যথেষ্ট পরিমানে চর্বি থাকে। তাই এগুলো মাঝারিভাবে ব্যবহার করা উচিত।

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুনঃ জমির দলিল ও জমি জমা সংক্রান্ত তথ্য

অসুস্থতা বা অপারেশনের পর মোটা হয়েছি, কিভাবে কমবো?

সি-সেকশন, পিসিওএস, থাইরয়েড এবং অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যা, বংশগত চরম স্লো মেটাবলিসম বিপাকের কারণে অনেকের ওজন বেড়ে যায়। অনেক সময় এই সমস্যাগুলো ধরা পড়ার আগেই ওজন ভয়ানক পর্যায়ে চলে যায়! তার পরেও দেখা যায়, অনেকে ডাক্তারের সাহায্য না নিয়ে এবং না খেয়েই ডায়েট করে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যতই খাওয়া কমানোই হোক না কেন, ওজন আর কমার নাম থাকেন না! এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?

এক্ষেত্রেও তাড়াহুড়ো করে ওজন কমানো একেবারেই অসম্ভব। প্রথমে আপনাকে একজন ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে। ওজন বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও করতে পারছেন না? তাই এখনি চেক আপ করুন. না জানলে সমস্যা সমাধান পাবেন কিভাবে? হরমোনজনিত সমস্যা ধরা পড়লে প্রথমে সেই সমস্যাটির চিকিৎসা করতে হবে।

অসুস্থতার কারণে অতিরিক্ত ওজনের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী কাস্টমাইজড ডায়েট চার্ট প্রয়োজন হবে। আর সেটা দেবে ডাক্তার/ নিউট্রিশনিস্ট। সাথে দরকার হবে ডেইলি ৩০-৪০ মিনিট এক্সারসাইজ।

এছাড়া আর কোনভাবেই আপনার ওজন কমাতে বা কনট্রোলে রাখা একে বারেই সম্ভব হবে না। তাই সময় নষ্ট না করে ‘শিওর’ আর ‘সেফ’ রাস্তা বেঁছে নেয়াটাই বুদ্ধি মানের কাজ।

কিভাবে ওজন কমিয়ে নিজেকে সুন্দর করবেন

বন্ধুরা বর্তমান সময়ে বয়স নির্বিশেষে সবাই চায় ওজন কমিয়ে নিজেকে একটু সুদর্শন রাখতে। পাশাপাশি ওজন কমিয়ে নিজেকে বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে । কারণ মানুষের ওজন বেশি হলে পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হযওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

ওজন কমাতে পারলে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন মরণব্যাধি রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই বন্ধুরা নিজেকে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা করে সুদর্শন দেখাতে ওজন কমানোর কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমানো মানে কিন্তু আপনার বয়স এবং উচ্চতার সাথে আপনার ওজন টাকে ঠিকঠাক ভাবে রাখা।

উচ্চতার সাথে আপনার ওজন

মনে রাখবেন ওজন কমানো কিন্তু ওজন বাড়ানোর মত সহজ কোন কাজ নয়। কারণ ওজন কমাতে গেলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যা ভাসে অনেক বড় ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরী। এর পাশাপাশি আপনাকে রেগুলার শরীরে ঘাম তো ঝরাতেই হবে অর্থাৎ ব্যায়াম তো করতেই হবে।

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুনঃ ইংরেজি থেকে বাংলা ডিকশনারী-English to Bangla Dictionary

ওজন কামানোর ঔষধঃ

ওজন কমানোর জন্য ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এই ঔষধগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং আমাদের নিত্য দিনের ব্যবহৃত খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। তাই এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যে কেউ খেতে পারেন। চলুন দেখে নেই ওজন কমানোর প্রাকৃতিক ওষুধগুলো।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

নিচে একে এক ওজন কমানে পারেএম খাবার গুলোর তালিকা এবং খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ

ওজন কমাতে মধুর সাথে আদার রসঃ

মধুর উপকারিতা সবার জানা। আরো জেনে আশ্চার্য হবেন যে, মধু আদার রসের মিশ্রণে তৈরি ঔষধ ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। দিনে দুইবার করে এই মিশ্রণ গ্রহণ আপনাকে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। মধুতে থাকা ফলশর্করা (Fructose) যা যকৃতের চালিকা শক্তি দ্রাক্ষা-শর্করা বা গ্লুকোজ তৈরি করে এবং দেহে ওজন কমানোর হরমোনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, আদা পরিপাকতন্ত্রের জীবাণুকে মেরে ফেলে, ঘন ঘন লালসা বা ক্ষুদা লাগা দূর করে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। 3 টেবিল চামচ মধুর সাথে 2 টেবিল চামচ আদা মিশিয়ে হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন।

ওজন কমাতে মধু এবং দারুচিনীঃ

মধু এবং দারুচিনীর কার্যক্ষমতা বলে শেষ করা যাবে না। মধু খেতেই শুধু সুস্বাদু নয়, এটা দেহের হজমক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দারচিনী রক্তচাপকে স্থির রাখে। দেহে ওজন কমানোর হরমোনের রস বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্ককে ওজন কমানোর বার্তা পাঠায়। দারচিনী দেহকে সক্রিয় করে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ১ চলা দারচিনী নিয়ে চুলায় দিন। 15 মিনিটের জন্য ফুটন্ত জলে রাখুন। তারপর পানি নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

ওজন কমাতে লেবু, মধু এবং গোল মরিচের মিশ্রনঃ

লেবু তার ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্যের জন্য খুবই বিখ্যাত। লেবু, মধু এবং মরিচের মিশ্রণ ভারতীয় উপমহাদেশে একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক প্রতিকার। কারণ এই উপাদানগুলো সবসময় রান্নাঘরে পাওয়া যায়। লেবুতে এক ধরনের যৌগ-পদার্থ আছে সেটা বার বার ক্ষুদা লাগা দূর করে। গোল মরিচ দেহে নতুন চর্বি কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে এবং রক্তকণিকায় থাকা চর্বি কমিয়ে ফেলে। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া, ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে পান করুন।

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুনঃ কিভাবে ফর্সা হয়

ওজন কমাতে গ্রীন টিঃ

ওজন কমাতে গ্রীন চা অনেক জনপ্রিয় এবং পরিচিত। গ্রীন চা চায়ে অনেক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকা শক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলে। চিনি ছাড়া পান করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। এটি ওজন হ্রাস করার জন্য দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ চা পান করতে পারেন।

ওজন কমাতে গরম পানিঃ

গরম পানি খাওয়ার নানা উপকারিতা আছে। পানি রক্ত থেকে চর্বিগুলো বের করে ফেলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে নিয়মিত গরম পানি পান করুন। খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে পানি পান করবেন না। এখন থেকে ঠান্ডা পানি বাদ দিয়ে গরম পানি খাওয়া শুরু করুন।

ওজন কমাতে ভিনেগারঃ

ভিনেগার বা সিরকা ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী। লেবুর মত ভিনেগারও রক্তকণিকায় থাকা চর্বি দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা দেহের চর্বি কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ভিনেগারের সাথে লেবুর রস যোগ করলে সেটার কার্যকারিতা বাড়ার পাশাপাশি স্বাদও বাড়িয়ে দেয়। এক গ্লাস পানির সাথে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।

ওজন কমাতে কপি জাতীয় সবজিঃ

ওজন কমানোর খাদ্য তালিকায় ফলমূল এবং শাকসবজির স্থান সবার উপরে। সবজির মধ্যে কপি জাতীয় সবজি সব চেয়ে বেশি কার্যকরী। দৈনন্দিন খাদ্যে নিয়মিত ফুলকপি ও বাঁধাকপি রাখুন। সালাদের মধ্যেও ফুলকপি কুচি করে দিতে পারেন। এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং খুব সামান্য ক্যালরি আছে। এতে থাকা টারটারিক এসিড চিনি এবং কার্বহাইড্রেডকে চর্বিতে রূপান্তরিত হতে দেয় না। কপিতে থাকা ভিটামিন এ এবং সি হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সাড়াতে খুব কার্যকরী।

ওজন কমাতে শসাঃ

শসা দেহের চর্বি কমাতে অনেক পরিচিত এবং প্রসিদ্ধ একটু ঔষধ। একটি শসায় ৯০ শতাংশ পানি এবং ১৩.২৫ ক্যালরি থাকে। যা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং তরল পদার্থের পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। শসায় থেকে ভিটামিন এ, সি এবং ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং সুস্থ সবল রাখে।

ওজন কমাতে লাউ জাতীয় সবজিঃ

লাউয়ে সম্পূর্ণরূপে ফাইবার এবং জলে ভরা। এতে চর্বিও কম থাকে। এটি অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে তাই তাড়াতাড়ি খিদে পায় না। তরকারিতে নিয়মিত লাউ খাওয়ার পাশাপাশি লাউয়ে রস করে বা জুস বানিয়েও খেতে পারেন।

ওজন কমাতে জিনসেংঃ

জিনসেং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে এটি চীনে খুবই জনপ্রিয়। বাজারে জিনসেং চা পাওয়া যায়। এটি শরীরে জমে থাকা চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং কোনো নতুন চর্বি কোষ জমতে দেয় না। জিনসেং সেবন করার সব চেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানির সাথে লেবু এবং মধু মিশিয়ে। ১ টেবিল চামচ জিনসেংয়ের সাথে এক কাপ পানি এবং লেবু ও মধু সমপরিমাণে মিশিয়ে চায়ের মতো দিনে দুবার পান করুন।

আমাদের মতামত

যদি আপনি উপরোক্ত ওজন কমানোর ওষুধগুলি নিয়মিত গ্রহণের পাশাপাশি 30-40 মিনিট ব্যায়াম করেন, আপনি খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন। ওষুধটি দ্রুত কাজ করার জন্য, ক্যালোরি গণনা করুন এবং যতটা সম্ভব জল পান করুন। মনে রাখবেন আপনার ওজন একদিন দিন বা এক মাসে বৃদ্ধি পায়নি তাই খুব দ্রুত কমাতেও পারবেন না।

আমাদের আরও পোস্ট পড়ুনঃ মৃত বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

2 thoughts on “কিভাবে ওজন কমানো যায়”

Leave a Comment