কম্পিউটার, ল্যাপটম, ফোন, টিভি সব মিলিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়টাই চোখের ওপর চাপ পড়ে সব থেকে বেশি। যার ফলে কম বয়সেই আশ্রয় নিতে হয় চশমার। চোখ ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে। মাঝে মধ্যে চোখের পাতা ফেলা, চোখ বন্ধ রাখা প্রভৃতি। কিন্তু এগুলোর থেকেও বেশি উপকার পাওয়া যায় যা থেকে তা হল, খাবার। বিশেষকিছু খাবার থেকে চোখের উপকার মেলে। তাহলে চলুন শুরু যাক আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের আজকের চোখের জন্য উপকারী খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
চোখের যত্নে করণীয়
এমন অনেক খাবার আছে যা চোখের জন্য ভালো এবং অনেক উপকারী আজকে আমরা সেই সব খাবার নিয়ে আলোচনা করব যা চোখের স্বাস্থের জন্য উপকারী। আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি সেহেতু আজকে লেখাটি একটু বড় হতে পারে। আশা করি ধৈর্যসহকারে সম্পুর্ন পোস্ট পড়বেন।
চোখ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দৃষ্টিহীন পৃথিবী অন্ধকার। আজকাল আমরা সবাই চোখের সমস্যায় ভুগি। চোখের যত্ন শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বড়দের পাশাপাশি শিশুদেরও চোখে সমস্যা হয়। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও মোটা লেন্স পরতে দেখা যায়। তবে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। চোখ সুস্থ রাখতে নিয়মিত কিছু খাবার প্রয়োজন।
চোখের জ্যোতি গুরুত্বপূর্ণ খাবার তালিকা
চোখের উজ্জ্বলতা বা জ্যোতি বাড়াতে কয়েকটি খাবার গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই যেটা মাথায় আসে তা হল ভিটামিন এ। বেশ কয়েক বছর আগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে আমাদের দেশের শিশুরা ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর সংখ্যাও কম নয়, ৩০ হাজারের মতো। মানে অন্ধত্বের সঙ্গে ভিটামিন এ এর সম্পর্ক নিবিড়। দীর্ঘায়িত ‘ক্র্যাশ’ ডায়েটের ফলেও দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। কারণ, ক্র্যাশ ডায়েট সুষম খাবারের নিশ্চয়তা দেয় না। ফলে অপুষ্টি প্রকট হয়।
অপুষ্টির কারণেও চোখের সমস্যা হয়। ভিটামিন এ চর্বির সাথে শরীরের ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষিত হয়। এটি দেখা যায় যে ভিটামিন এ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অন্ত্রে দ্রুত শোষিত হয়। এদিকে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্কের সঙ্গে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার বেশি কার্যকর। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে যে এই খাবারগুলি কমবেশি পরোক্ষভাবে চোখের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলছে।
গবেষণায় দেখা গেছে চোখের সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য ভিটামিন এ প্রয়োজন। নবজাতকের লিভারে এই ভিটামিনের কতটা জমা যাচ্ছে তা নির্ভর করে মায়ের রক্তে কতটা ভিটামিন এ ছিল তার ওপর। গাজর, ভুট্টা, আপেল, টমেটো, পাকা আম, পাকা পেঁপে, লাল আলু, মিষ্টি কুমড়া, ক্যাপসিকাম (লাল, হলুদ বা সবুজ), সবুজ শাকসবজি যেমন শজনেপাতা, পালং শাক, ধনেপাতা, বাঁধাকপি লেটুসপাতা, ইত্যাদিতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তাহলে চলুন এক এক করে এই সবজি গুলো সম্পর্কে আলোচনা করি।
চোখের জন্য উপকারী খাবার গাজর
গাজর খুবই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর সবজি। এটা কাঁচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। সুস্থ চোখ পেতে যেসব খাবার খাওয়া উচিত তার মধ্যে গাজর অন্যতম। এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গাজর ছাড়াও মিষ্টি আলু, কুমড়া, স্কোয়াশ, কমলা এবং লাল মরিচেও বিটা-ক্যারোটিন থাকে। বিটা ক্যারোটিন একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ছানি পড়া, বয়সের কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া গাজরে রয়েছে ফাইবার ও পটাশিয়াম। এই দুটি উপাদান শরীরের জন্যও ভালো। গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধী। আর আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভাবেন তাহলেও গাজর আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ওজন কমানোর কথা ভাবলে আমাদের এই পোস্ট পড়ুন – কিভাবে ওজন কমানো যায়
চোখের জন্য উপকারী খাবার টমেটো
টমেটো এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম এবং আরও অনেক কিছু। টমেটো কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি রান্নাও করা যায়। সালাদে টমেটো অতুলনীয়। চোখের যত্নে টমেটো খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন চোখের রেটিনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত তাবারের তালিকায় টমেটো অন্তত্ত গুরুত্বপূর্ন।
চোখের জন্য উপকারী খাবার সবুজ শাক
আমরা যখন রোগে সমস্যায় পড়ি, তখন আমরা ডাক্টার এবং ওষুধ থেকে মুক্তি চাই। কিন্তু অনেক খাবারেই রয়েছে অনেক রোগ বা সমস্যার সমাধান। আমাদের দেশের বিভিন্ন শাক যেমন পালং শাক, পুই, কচু, লাউ ইত্যাদি সবজিকে অবহেলা করবেন না।সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। একই সাথে এটি ম্যাঙ্গানিজের খুব ভালো উৎস। এগুলো চোখের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। সবুজ শাক চোখের রেটিনাকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সবুজ শাক খাবারের তালিকায় রাখা ভালো।
চোখের জন্য উপকারী খাবার মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ই এবং ডি। মিষ্টি আলু চোখের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটি
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখার জন্য এর তুলনা করা যায় না। একটি মাঝারি আকারের মিষ্টি আলুতে একজন মানুষের প্রতিদিন যে পুষ্টির প্রয়োজন হয় তার বেশিরভাগই পাওয়া যায়। এতে দৈনিক চাহিদার ২৬ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ এবং ৪০ শতাংশ ভিটামিন-সি রয়েছে। আর মিষ্টি আলু শুধু চোখের যত্নেই উপকারী নয়, হাড়ের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও মিষ্টি আলু খুবই উপকারী। আলু সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন- আলুর উপকারিতা ও বৈজ্ঞানিক নাম
চোখের জন্য উপকারী খাবার ভুট্টা
ভুট্টা আয়রন, ভিটামিন বি 12, ভিটামিন এ, সি এবং লাইকোপেন সমৃদ্ধ; আধা কাপ রান্না করা ভুট্টায় মানুষের চোখের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকে। তাই নিয়মিত ভুট্টা খেতে পারেন। আর নিয়মিত ভুট্টা খেলে চোখের হলুদ রঞ্জক হারানোর ঝুঁকি নেই। এমনকি ছানি পড়ার ঝুঁকিও কমে যায়
খাবার তালিকায় ভুট্টা রাখলে।
আসুন এবার জেনে নেই কোন কোন ভিটামিন চোখের স্বাস্থের জন্য ভালো এবং সেগুলো কোন কোন খাবারে রয়েছে।
চোখের যত্নে লুটিন ও জিয়াজেনথিন
এগুলি উভয়ই ক্যারোটিনয়েড, তাদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের অপটিক নার্ভের ক্ষতি রোধ করে। গাঢ় সবুজ এবং মটরশুটি সহ কিছু সবজিতে এই উপাদানগুলি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
চোখের যত্নে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
DHA, EPA এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের জন্য অপরিহার্য। এটি ফ্ল্যাক্স সিড অয়েল, সয়াবিন তেল, পালং শাক, স্যামন সহ সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
চোখের যত্নে ভিটামিন এ
ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। গাজর, আম, মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ বেশি থাকে। এই পুষ্টি আপনার চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
চোখের যত্নে ভিটামিন সি
ছানি ও দৃষ্টি ঝাপসা প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। ভিটামিন সি একটি খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। কমলালেবু, লেবু, পেয়ারা, টমেটো, পেঁপে, সবুজ শাকসবজি এবং স্ট্রবেরিতে অনেক বেশি পরিমানে রয়েছে ভিটামিন সি।
চোখের যত্নে ভিটামিন ই
চোখে ছানি ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। পালং শাক, বাদাম, চিংড়ি, অলিভ অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই।
চোখের যত্নে জিঙ্ক
লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ অণু পরিবহনে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো। বাছুরের কলিজা, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, মাশরুম, ডার্ক চকোলেটে জিঙ্ক পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন – কিভাবে লম্বা হওয়া যায়
চোখ ভালো রাখার জন্য আরও কিছু খাবার
প্রাণীজ উৎসের মধ্যে রয়েছে মলা ও ঢেলা মাছ, কলিজা, মাখন, ডিম, ইলিশ, কড লিভার অয়েল ইত্যাদি। নোংরা মাছে প্রায় 2000 আইইউ ভিটামিন এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। ছোট মাছ ছোট বাচ্চাদের চপ আকারে খাওয়ানো যেতে পারে। অথবা অন্য খাবারের সাথে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ভিটামিন এ ক্যারোটিন হিসাবে পাওয়া যায়। পাকা আমে প্রায় ৭০ শতাংশ বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা চোখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর। গাঢ় সবুজ ও হলুদ শাকসবজি রাতকানা থেকে রক্ষা করে। এ ধরনের সবজি সিদ্ধ করে ছয়-সাত মাস বয়সী বাচ্চাদের চালুনি দিয়ে খাওয়ালে তাদের দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার হবে। ভিটামিন এ কে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য রেটিনলও বলা হয়।
চশমা ছাড়া চোখে দেখার উপায়
ঘি, মাখন, ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ এবং মাছের তেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়া সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটা সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত। প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে চোখের ছানি প্রতিরোধ করা যায়। খাবারে ভিটামিনের অভাব হলে ভিটামিন সি দ্রুত ক্ষয় হয়। ভিটামিন সি সব ধরনের আচারযুক্ত ফল, লেবু, আম, সবুজ শাক, টমেটো, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, আলু, সবুজ মরিচ, ফুলকপি এবং বাঁধাকপিতে পাওয়া যায়।
চোখের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অপরিহার্য। ভিটামিন এ, সি, ই, সেলেনিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এমন খাবার বাদাম, আম ইত্যাদিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাদাম, আম, টমেটো, শসা, বাঁধাকপি ইত্যাদিতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। রসুন, কলিজা, পেঁয়াজ এবং সবুজ শাকসবজিতে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন – কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
বিটা ক্যারোটিন মিষ্টি কুমড়া, গাজর, আনারস, পাকা আম, কাঁচা কাঁঠাল, শসা, মটর, ব্রকলি, মিষ্টি আলু এবং পার্সলে পাওয়া যায়। বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অঙ্কুরিত ডাল এবং ছোলায় ভিটামিন এ এবং সি একসাথে থাকে। ভিটামিন বি বা রিবোপ্লাভিন দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুধ, যকৃত, খামির, পনির, ডিম এবং মাছ পাওয়া যায়। তাই চোখের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে চাইলে সবুজ শাকসবজি, হলুদ বিভিন্ন রঙের শাকসবজি, ফল ও ফুল, আয়রন ও আমিষ জাতীয় খাবার প্রয়োজন।
চোখের যত্ন কিভাবে নিতে হয়
চোখ ভালো রাখার টিপস
মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের দিকে তাকানো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। যতক্ষণ আমরা জেগে থাকি, একটা না একটা যন্ত্র প্রায় সব সময়ই আমাদের চোখের সামনে থাকে।
গেম খেলা, ভিডিও দেখা, অফিসের কাজ, অনলাইন মিটিং, আত্মীয়দের সাথে কথা বলা সবই এখন মোবাইল বা কম্পিউটারে। সব মিলিয়ে প্রতিদিনই চোখেমুখে প্রচণ্ড চাপ চলছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে চোখের উপর চাপ কমানো যায়।
স্ক্রিন দেখান সময় বিরতি নিন
অনেকক্ষণ ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই প্রতি 20 মিনিটে, 20 সেকেন্ডের জন্য 20 ফুট দূরে কিছু দেখার অভ্যাস করুন। এই নিয়মটি 20-20-20 নামেও পরিচিত। এতে চোখ বিশ্রাম পাবে।
স্ক্রিন দেখান সময় পলক ফেলুন
ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকালে চোখের পলকের মাত্রা কমে যায়। চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার এটাই প্রধান কারণ। চোখের পাতা চোখের ময়েশ্চারাইজ করে, শুষ্কতা এবং প্রদাহ কমায়। তাই নিজে থেকেই চোখের পলক ফেলার পরিমাণ বাড়ানোর অভ্যাস করুন।
ফন্ট সাইজ বাড়িয়ে লেখা বড় করে নিন
ডিভাইসের স্ক্রিনে কিছু পড়ার সময়, পাঠ্যের ফন্টের আকার বাড়ান। ভালোভাবে দেখার জন্য ডিভাইসটিকে চোখের কাছাকাছি আনতে হবে না বা চোখ কুঁচকে দেখতে হবে না। এতে চোখের উপর চাপ যেমন কমবে, তেমনি ডিভাইসের স্ক্রিন থেকে চোখ দূরে থাকার কারণে ক্ষতির মাত্রাও কমবে।
চোখের সমর্থন পর্দা
ডিভাইসের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা, রেজোলিউশন, কন্ট্রাস্ট পরিবর্তন করে করুন এটি চোখের জন্য সহায়ক হওয়া উচিত। কড়া রোদে ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। দিনে অন্তত একবার ডিভাইসের স্ক্রিন পরিষ্কার করুন তাহলে দেখতে সহজ হবে।
মোবাইল চোখ থেকে দূরে রাখুন
মোবাইল ব্যবহার করার সময় এটি চোখের খুব কাছে থাকে। মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকার কারণে এতে চোখের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ঘাড় ব্যথাও হয়। তাই দূর থেকে ডিভাইসের স্ক্রিনে চোখ রাখুন।
প্রতিফলন হ্রাস
কম্পিউটার মনিটরে বসার আগে অ্যান্টি-রিফ্লেকশন বা নীল প্রলেপযুক্ত চশমা ব্যবহার করুন। সমস্ত ধরণের এলইডি ডিভাইস চোখের জন্য ক্ষতিকারক নীল আলো নির্গত করে, যা এক্সপোজার মাত্রা অতিরিক্ত হলে ক্ষতিকারক হতে পারে।
চোখের জন্য খাবার
‘ডিজিটাল আই স্ট্রেন’ কমাতে ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম পান এবং আট ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন। শাকসবজি, গাজর, পেঁপে, খেজুর ইত্যাদি ভিটামিনের চমৎকার উৎস যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
আরও পড়ুন – পাকস্থলী ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার
Very nice write-up. I definitely appreciate this site. Thanks!