মাস্টারবেশন কি বা হস্তমৈথুন কি? আমরা সবাই কমবেশি বিষয়টির সাথে পরিচিত। ক্রমবর্ধমান বয়সের ছেলেদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়, তবে পুরুষদের মতো মহিলাদের এমনকি কম বয়সী মেয়েদেরও হস্তমৈথুন করার প্রবণতা রয়েছে।
হস্ত সঙ্গম নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা ও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। অনেকে মনে করেন হস্তমৈথুনের কোনো ক্ষতি বা অনিষ্ট নেই। কেউ কেউ মনে করেন হাত মিলনের উপকারিতা রয়েছে।
কিন্তু মূল কথা হল, হস্তমৈথুন তখনই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো যখন পরিমিতভাবে করা হয়। তাহলে দিনে কতবার হস্তমৈথুন করা যাবে? চিকিৎসা বিজ্ঞানে হস্তমৈথুনের নিয়ম বা হস্তমৈথুনের নিয়ম কি? এতে কি পুরুষত্ব বা স্ত্রীর সাথে যৌনজীবনে কোনো সমস্যা হয়? এমন অনেক প্রশ্নই আমাদের মাঝে ঘুরপাক খায়।
এছাড়াও একটি প্রশ্ন আছে যা সবার অজানা হস্তমৈথুনের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি? আজ আমরা সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে হাজির। আসুন জেনে নিই হস্তমৈথুনের উপকারিতা ও কুফল সম্পর্কে:
সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতামত ও গবেষণা অনুযায়ী হস্ত-মৈ-থুনের ৫টি শারীরিক উপকারিতা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। হস্ত-মৈ’থুন কোনও রোগ বা অপরাধ প্রবণতা নয়, একদম স্বাভাবিক জৈবিক প্রবৃত্তি। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতামত ও গবেষণা অনুযায়ী হস্ত-মৈ-থুনের ৫টি শারীরিক উপকারিতা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
হস্ত-মৈ-থুন করার কারনে যে পাঁচ শারীরিক উপকারিতা!
নিয়মিত হস্ত-মৈ’-থুন করলে ঘুম ভাল হয়। হস্ত-মৈ-‘থুনে শরীরে শক্তিক্ষয় হয়, ফলে বী-যপা-তের পরই ক্লান্ত লাগে। চোখ যেন জুড়ে আসে। চিকিৎসকরা তাই বলেন, হস্ত-মৈ-থুন অনিদ্রার ভাল ওষুধ।
হস্ত-মৈ-‘থুনের সময় পেলভিক জোনে বেশি রক্ত চলাচল করতে শুরু করে। সেখানকার পেশিগুলি সঞ্চালিত হয়। এটা শরীরের পক্ষে ভাল।
নিয়মিত হস্ত-মৈ-থুন করলে বিছানায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায়। কারণ, হস্ত-মৈ-থুনের সময় পুরুষরা বুঝতে পারে কতক্ষণে বী-র্য-পাত হচ্ছে। সেই মতো স্টার্ট-স্টপ পদ্ধতি ব্যবহার করে বা স্কুই’জ পদ্ধতি অবলম্বন করে বী-র্য-পাতে বিলম্ব ঘটানো সম্ভব। বিলম্বিত বী’-র্য-পাত আদতে মিলন সময় বিছানায় বেশিক্ষণ টিকে থাকতে সাহায্য করে।
হস্ত-মৈ-থুন করলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। হস্ত-মৈ-থুনের সময় শরীরে ডিএইচইএ নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ হয়। এই হরমোনটি রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে গড়ে তোলে। পাশাপাশি, হস্ত-মৈ-থুনের সময় টেস্টো-স্টেরন হর-মোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরে
র হাড় ও মাংসপেশি সবল হয়।
অবসাদ দূর করতে হস্ত-মৈ-থুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আজকালকার জটিল জীবনযাত্রায় অবসাদ থাকবেই। যদি মনে হয়, অবসাদের কারণে শরীর ম্যাজম্যাজ ক
রছে বা মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে, তা হলে অবশ্যই হস্ত-মৈ-থুন করুন। ফুরফুরে লাগবে। এর কারণ এন্ডোরফিন্স নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ।
সুতরাং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, হস্ত-মৈ-থুন করুন। নিয়মিত করুন। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি নেই। শুধু অবিবাহিত নয়, বিবাহিতরাও হস্ত-মৈ-থুন করতে পারে।
এডমিনের মতামত- তবে শুধু ডাক্টার বা শরীরের কথা শুনলেই হবে নিজ নিজ ধর্মিয় বিষয় জানাটাও জরুরী বলে মনে করি।
হস্তমৈথুনের উপকারীতা:
1950 এর দশকের একটি সমীক্ষা অনুসারে, 92% মার্কিন পুরুষ এবং 62% মহিলা তাদের জীবনে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন।
যুক্তরাজ্যের মানুষের উপর 2007 সালের জরিপেও একই রকম ফলাফল পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে 16 থেকে 44 বছর বয়সের মধ্যে 95% পুরুষ এবং 71% মহিলা তাদের জীবনে অন্তত একবার হস্তমৈথুন করেছেন। 71% পুরুষ এবং 37% মহিলা সাক্ষাত্কারের আগে চার সপ্তাহে হস্তমৈথুন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, 53% পুরুষ এবং 18% মহিলা রিপোর্ট করেছেন এই সাক্ষাত্কারের যে তারা এক সপ্তাহ আগে হস্তমৈথুন করেছেন। 2009 সালে, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্য অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে। হস্তমৈথুনের কিছু বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বিরল ক্ষেত্রে এটি কোনও শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করে না। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ।
হস্তমৈথুন সাধারণত তাৎক্ষণিক উত্তেজনা দূর করে। কখনও কখনও নেতিবাচক কল্পনা বা অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও দেখা যৌন উত্তেজনার দিকে পরিচালিত করে। এ ধরনের উত্তেজনা সামাজিক অপরাধকে উৎসাহিত করে। তাই পরিত্রাণের উপায় হিসেবে হস্তমৈথুন করা যেতে পারে।
বিশেষ করে যদি স্বপ্নদোষ পূর্ণ রূপ নেওয়ার আগে ঘুম ভেঙ্গে গেলে এবং অদ্ভুত কল্পনার কারণে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দেখা দিলে, তাৎক্ষণিক হস্তমৈথুন করাই উত্তম। কারন এতে সাময়িক তলপেটে ব্যথা সহ শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হতে পারে।
হস্তমৈথুনের অপকারীতা:
যার সুবিধা আছে তার অসুবিধাও হবে। হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে সুবিধার চেয়ে অপকারিতাই বেশি।
প্রথমত এই কাজ সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। অপচয় প্রায় সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। ইসলামে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়।
বীর্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত এবং হস্তমৈথুনের মাধ্যমে এই নেয়ামত নষ্ট হয়। অত্যধিক হস্তমৈথুন লিঙ্গ বা যোনিতে ঘা, এমনকি রক্তপাত হতে পারে।
বিশেষ করে মেয়েদের যোনিপথে বিভিন্ন বস্তু প্রবেশের কারণে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই ছত্রাকের সাথে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
নিয়মিত ও অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে কামশক্তি নষ্ট হয়ে যায় এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস কম সেক্স ড্রাইভ হতে পারে।
তাছাড়া বিবাহিত জীবনে যৌন অনীহা দেখা দিতে পারে, যা দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলবে।
করতে হবে:
এই পদ্ধতি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। ধর্মীয় বিষয়ে মনোযোগী হলে এই অভ্যাস সহজেই ত্যাগ করা যায়।
অশালীন কল্পনা এবং অশালীন ছবি বা ভিডিও দেখা এড়িয়ে চলতে হবে। পুরুষের ক্ষেত্রে কোনো কারণে লিঙ্গ খাড়া হলে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
উত্থান দীর্ঘায়িত হলে, লিঙ্গের অগ্রভাগে আলতোভাবে আঘাত করা যেতে পারে, যাতে হালকা ব্যথা অনুভূত হয়।
মেয়েদের শালীনতা বজায় রাখা উচিত এবং বিপরীত লিঙ্গের সাথে ফ্লার্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অবসর সময়ে ধর্মীয় বই পড়ার অভ্যাস করা উচিত।
সর্বোপরি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেই এই অভ্যাস ত্যাগ করা বা তা থেকে বিরত থাকা সম্ভব।
হস্তমৈথুন নিয়ে পাঠকের প্রশ্ন ও বিশেষজ্ঞদের উত্তর
একজন পাঠক এই পর্বে লিখেছেন এবং বিশেষজ্ঞদের বলেছেন যে তিনি মূলত ঘুমের সময় হস্তমৈথুন করেন যখন যৌন উত্তেজনার সাথে তার শরীর শক্ত হয়ে যায়। সপ্তাহে অন্তত 3 বার হস্তমৈথুন করে সে তার যৌন উত্তেজনা দূর করে। এই পাঠকের প্রশ্ন- সপ্তাহে এতবার হস্তমৈথুন কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? সপ্তাহে কতবার হস্তমৈথুন যৌন ইচ্ছা এবং স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে?
প্রথমত, পল্লবী বলেছিলেন যে এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি কত ঘন ঘন হস্তমৈথুন করবেন তা নির্ভর করে তার শারীরিক স্বাস্থ্য, যৌন উত্তেজনার ধরন এবং তিনি হস্তমৈথুনের বিষয়টিকে কতটা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পেরেছেন তার ওপর। যদিও পল্লবী হস্তমৈথুনকে সাধারণভাবে ক্ষতিকর আচরণ বলে অভিহিত করেননি।
তিনি জানিয়েছেন যে হস্তমৈথুনের একাধিক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত হস্তমৈথুন মনকে খুশি রাখে, প্রোস্টেট সুস্থ রাখে, ক্লান্তি কমায়, ভালো ঘুমের জন্য শরীরকে তৈরী করে এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনেক পুরুষ যারা বয়ঃসন্ধির পর থেকে হস্তমৈথুন করেননি তারা যৌন উত্তেজনার সমস্যায় ভোগেন তাই পুরুষাঙ্গের বৃদ্ধি পায়। তাই এই সব দিক বিবেচনা করে হস্তমৈথুনকে আপনার রুটিনে রাখলে কোনো লাভ বা ক্ষতি নেই।
কিন্তু এই অভ্যাসের কারণে যদি যৌনাঙ্গের ত্বকে আঘাত লাগে, যৌনাঙ্গে ব্যথা হয়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, তবেই চিন্তার কারণ থাকে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সমস্যার সীমানার মধ্যে আছেন কি না, সেটাই এক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয়। আর যদি হস্তমৈথুনের অভ্যাসটা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়, অর্থাৎ যৌন উত্তেজনা না থাকলেও অভ্যাসের বাইরে কেউ বীর্যপাত করতে চায়, তাহলে ব্যাপারটিকে অস্বাভাবিক বলা উচিত।
যদিও প্রতিটি ব্যক্তির চাহিদা ভিন্ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান নির্ধারণ করেছে যে সপ্তাহে 5 বার হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। পল্লবীর দাবি- এই সীমানার মধ্যে থেকে নিজেকে উপভোগ করলে ক্ষতির আশঙ্কা নেই!
আমাদের কথা
হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে উপকারীতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এবং এই কাজ সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। অপচয় প্রায় সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। ইসলামে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়। আর বীর্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত এবং হস্তমৈথুনের মাধ্যমে এই নেয়ামত নষ্ট হয়। অধিক হস্তমৈথুন লিঙ্গ বা যোনিতে ঘা, এমনকি রক্তপাত হতে পারে।
বিশেষ করে মেয়েদের যোনিপথে বিভিন্ন জিবানু প্রবেশের কারণে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই ছত্রাকের সাথে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ হতে পারে। তাই এই কাজ না করাই ভালো
সবাব সুস্বাস্থ কামনা আজকের মত এখানেই বিদাই নিচ্ছি কথা হবে নতু কোন পোস্টে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনায়।
আমি শুয়ে কোলবালিশের সাথে ঘর্ষণ করে উত্তেজনা সৃিষ্ট করে বীর্যপাত করি।এটাকে কি হস্তমেথুনের মত সাধারণ বা প্রচলিত নিয়ম বলা হবে,নাকি আমার এটা থেকে তারচেয়ে বেশি ক্ষতির আশংকা আছে?
As a result many harmful effects on your body.If you regular masturbate, intercourse will be problem
এটা করা বাদ দিয়ে দাও তাছরা বিবাহিত জিবনে অসুখী হবে আর বাস্তবের। সাথে মিশতে চেস্টা করো