ইউটিউব বর্তমান সময়ে পাঁচটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলির মধ্যে একটি। বিনোদন থেকে শুরু করে কঠিন এবং জটিল জটিলতা সমাধানের সমস্ত কিছুর জন্য মানুষ এখন ইউটিউবে গিয়ে ভিডিও গুলি অনুসন্ধান করা করে থাকে। আর গুগলের নিজস্ব সার্ভার হওয়ায় ইউটিউব ভিডিওগুলি খুব সহজে খুজে পেয়ে যায়। এছাড়া ইউটিউব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের কারণে যে কোনও মুহুর্তে ব্যবহারকারীগন দেখতে পারেন। বর্তমানে ইউটিউব বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও ওয়েবসাইট হিসাবে গড়ে উঠেছে। তাই আমাদের আজকের পোস্ট কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো ২০২১
একটি ইউটিউব পারসোনাল অথবা ব্রান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয
আজ আমরা আলোচনা করবো একটি ইউটিউব পারসোনাল অথবা ব্রান্ড অ্যাকাউন্ট তৈরি সেই বিষয় নিয়ে। ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তৈরি করা কোনও কঠিন কাজ নয়। আপনি যদি ইন্টারনেটে অথবা ইউটিউবেই গিয়ে অনুসন্ধান করেন তবে সহজেই এটির হাজার হাজার টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন।। অভিজ্ঞতা সম্পুর্ন ব্যক্তিদের জন্য এই পোস্টটি কোনও কাজে নাও আসতে পারে না। তবে যারা ইউটিউবে নতুন বা যাদের অ্যাকাউন্ট নেই তারা আজকের পোস্ট থেকে ইউটিউব অ্যাকাউন্ট তৈরির পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত যানতে পারবেন। তারপরেও বলব যারা পুরোপুরি অভিজ্ঞ নয় তারাও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পেশাদারদের মত করে সাজাতে বা এই বিষয়ে কিছু জিনিস জানতে পারবেন্। আর আপপি জেনে অবাক হবেন যে এখনও অনে মানুষ আাছে যারা গুগলে গিয়ে সার্চ কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো
এই কিওয়ার্ড দিয়ে। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে কাজের আলোচনায় যাওয়া যাক।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো
Android মোবাইল দিয়ে youtube চ্যানেল কিভাবে তৈরি করবেন step by step
ইউটিউব চ্যানেল খোলর জন্য মোবাইল এবং পিসি ব্যবহারকারী উভয় নিচের ধাপ সমুহ অনসরন করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল খোল বা তৈরির পূর্বে যা যা জানা জরুরী ইউটিউব চ্যানেল খোল বা তৈরি করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যেমন-
২।গুগল/জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি।
৩। চ্যানেলের জন্য সুন্দর প্রোফাইল ফটো, কভার আর্ট ফটো তৈরি।
৪। তৈরীকৃত চ্যানেল অপটিমাইজ।
৫। এবং আপনার নতুন চ্যানেলে ভিডিও আপলোড।
উপরে উল্লেখিত ধাপগুলোই মূলত একজন ইউটিউবারের কাজ। যাই ধাপগুলো আপাতত ধাপগুলো শুধু একবার দেখে নিন। নিচে এ ধাপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
জিমেইল/গুগল অ্যাকাউন্ট খুলবো
গুগল/জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য আপনার অবশ্যই গুগল/জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। তাই প্রথমে আমরা জানব কিভাবে একটি গুগল/জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। যদি আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে এই ধাপটি আপনি স্কিপ করতে পারেন। অ্যাকাউন্টটি খুলতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন –
ধাপ ১মঃ গুগল gmail. com এই লিংক বা গুগলে gmail লিখে সার্চ করে প্রবেশ করুন।
ধাপ ২য়ঃ উপরের ছবির মত একটি পেজ পাবেন এখানে আপনার নাম, ইমেল/ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Next বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩য়ঃ এই ধাপে আপনার ফোন নম্বর এবং রিকোভারি ইমেল দিন। (রিকোভারি ইমেল হলো এমন একটি মেইল যেটা আগেই খুলেছেন বা আপনার পরিবারের কারো) আপনার অ্যাকাউন্ট নষ্ট হলে রিকোভারের জন্য রিকোভারি ইমেল দেওয়া উচিত এবং জরুরি। তবে না দিলেও সমস্য নেই এবার জন্ম তারিখ এবং জেন্ডার নির্বাচন করুন পরবর্তী ক্লিক করুন। পরের পেজে আসা প্রাইভেসি পেজ Accept করুন।
ব্যস হয়ে গেল আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট আপনি সফলভাবে গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন। এবার একটা জরুরী বিষয় হলো আপনি যেই তারিখে গুগল বা জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেন তার তারিখ, মাস এবং সাল নোট করে রাখুন কারন যদি আপনার চ্যানেলটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে অনেক হ্যাকারের চোখে পড়ে যেতে পারে আর যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলে তাহলে তারিখ মাস এবং সাল এর মাধ্যমে সহজে অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পারবেন।
নতুন ইউটিউব চ্যানেল
ইউটিউব চ্যানেল দুই প্রকার যেমন-
২। বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো
ব্যাক্তিগত চ্যানেল এবং বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
ইউটিউব পার্সোনাল চ্যানেল/অ্যাকাউন্ট এবং বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল নিয়ে কিছু কথা যা নতুন ইউটিউবারদের জানা জরুরী। ইউটিউব পার্সোনাল চ্যানেল এ একটি মাত্র জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করা যায় এবং বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল এ একাধিক জিমেইল একাউন্ট (একাধিক বিজনেস ম্যানাজার) ব্যবহার করা যায়। ইউটিউব পার্সোনাল চ্যানেল হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে অপর দিকে বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল হ্যাক হওয়ার সম্ভনা অনেক কম কারন একাধিক জিমেইল একাউন্ট ব্যবহারের ফলে একটি মেইল হ্যাক হলেও চ্যানেল হ্যাক করতে পারবে না কারন অন্য জিমেইলে তার নটিফিকেশন চলে যাবে আর আপনি বুঝতে পারবেন। এতে করে আপনি চাইলেই তা হ্যাক হওয়া থেকে বাচিয়ে নিতে পারবেন। যাই হোক আরও অনেক কথা সেই আরেক দিনে অন্য আরেকটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে মূল আলোচনায় ফিরি।
কিভাবে ইউটিউব ব্র্যান্ড চ্যানেল খুলবো
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
১ম ধাপঃ প্রধমে ইউটিউব প্রবেশ করুন ।
২য় ধাপঃ যেহেতু ইতিমধ্যেই আপনার একটি ব্যাক্তিগত চ্যানেল রয়েছে। তাই এবার ব্র্যান্ড চ্যানেল খুলতে উপরের মত প্রফাইল আইকনে ক্লিক করে Settings ক্লিক করুন।
৩য় ধাপঃ এবার Create A New Channel বাটনে ক্লিক করুন।
৪র্থ ধাপঃ এ পর্যায়ে আপনাকে নিচের ছরি মত একটি পেজ দেখতে পাবেন এখানে আপনাকে বিজনেস অথবা ব্র্যান্ড চ্যানেল নাম দিতে বলা হয়েছে আপনি আপনার পছন্দ মত নাম নির্বাচন করে এখানে সেটি টাইপ করুন এবং নিচে টিক মার্ক দিকে Create বাটকে ক্লিক করুন । ছবি দেখুন
ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইজ
একটি চ্যানেল খুললেই হয়ে গেল এমন। সেটাকে অবশ্যই এমন ভাবে সাজানো উচিত এবং দর্শকদের এমন ভাবে উপস্থাপন করা উচিত যাতে চ্যানেলটি ঘুরে দেখার দর্শকরা আগ্রহ অনুভব করে। আর একটি সাজানো গুছানো জিনিষ দখেতে কারনা ভালো লাগে। এটি যে কোনও ইউটিউবারের জন্য আবশ্যক। এর জন্য রয়েছে কয়েকটি পদক্ষেপ।
পদক্ষেপ ১। চ্যানেলের প্রোফাইল ফটো। যেটি আপনার লোগো বা আইকন হিসেবে ব্যবহার হবে।
পদক্ষেপ ২। চ্যানেলের ব্যানার। যেটি আপনার চ্যানেলের কাভার ফটো হিসেবে ব্যবহার হবে।
পদক্ষেপ ৩। চ্যানেলের ভিডিও ওয়াটারমার্ক। যেটি আপনার প্রত্যেকটা ভিডিওতে আপনার মালিকানা প্রকাশে ব্যবহার হবে।
কিভাবে চ্যানেলের জন্য প্রোফাইল ফটো এবং কভার ফটো আপলোড করবো
ইউটিউব চ্যানেল প্রোফাইল ছবি বা ইউটিউব চ্যানেল লোগো আপলোড করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত
১। প্রোফাইল ছবি লোগো ব্যবহার করার জন্য ইমেজটির রেজোলিউশন কমপক্ষে ৯৮X৯৮ পিক্সেল হতে হবে। এর থেকে কম রেজোলিউশনের কোনও ছবি দেওয়া যাবে না।
২। তবে, ভালো হয় যদি আপনার প্রোফাইল ছবি লোগোর রেজোলিউশন ৮০০X৮০০দিতে পারেন।
৩। প্রোফাইল ছবি লোগো টির সাইজ ৪ মেগাবাইটের বেশি দেওয়া যাবে না।
এবার ইউটিউব চ্যানেল ব্যানার ইমেজ আপলোড বিষয়ে ইউটিউব চ্যানেল ব্যানার ইমেজ আপলোড করার সময়ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা মনে রাখা উচিত
১। ব্যানার চিত্রটির রেজুলেশন কমপক্ষে ২০৪৮ x ১১৫২ হতে হবে। প্রস্থের দৈর্ঘ্যের অনুপাতটি ১৬; ৯ রাখতে হবে।
২। ব্যানার চিত্রটির রেজোলিউশনটি ২৫৬০×১৪৪০ পিক্সেল সব থেকে ভালো।
৩। যদি ব্যানারে কোন লেখা বা লোগো ব্যবহার করতে চান তাহলে ১২৩৫ x ৩৩৬ পিক্সেল হলে ভালো হয়।
৪। ফাইল সাইজ ৬ মেগাবাইটের বেশি হতে পারে না।
উপরের মতই ইউটিউব চ্যানেল লোগো আপলোড যেভাবে করেছেন ঠিক একই ভাবে এটিও আপলোড করে দিন।
ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও ওয়াটারমার্ক(Video Watermark) আপলোড
ইউটিউব চ্যানেলের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হ’ল ভিডিও ওয়াটারমার্ক (Video Watermark) । এটি আপনার ভিডিওর মালিকানা প্রকাশ করে। এছাড়াও এটি আপনার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও খুব কার্যকর। কোনও ব্যবহারকারী যখন কম্পিউটার থেকে আপনার ভিডিও দেখে, তারা যখনই চাইবে ইউটিউব চ্যানেলের ওয়াটারমার্কে ক্লিক করে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে পারবে। ভিডিও ওয়াটারমার্ক যুক্ত করতেউপরের মতই তিন নম্বর অপশনটিতে আপলোড করে দিন।
কাজ শেষ হয়ে গেল আপনার ইউটিউ চ্যানেল এখন আপনি চেষ্টা করবেন প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে মান সম্মত ভিডিও আপলোড করা আশা করি আপনি ইউটিউবে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আর আমি আপনাদের সার জন্য দোআ করি যাতে আপনারা সবাই ইউটিউবে ক্যারিয়ার করতে পারেন। আমি এটা জানি যেহেতু আপনি আজকের পোস্টের শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে পড়েছেন সেহেতু আপনার ইচ্ছা অটুত আপনি এই ধৈর্য্য কাজে লাগালেই ইউটিউবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। আজকের মত এখানেই কথা নতুন কোন টপিক নিয়ে নতুন কোন পোস্টে। আর পোস্টে কোথাও ভূল ভ্রান্তি থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমি সুধরিয়ে নিব।
ধন্যবাদ
amarr