দ্রুত বী’র্যপাত সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর সমাধান

ইদানিং বাংলাদেশের নানা স্থানে রাস্তা ঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যেকারো হওয়াই স্বাভাবিক যে আমাদের দেশে পুরুষদের যৌ’ন দুবর্লতার সমস্যা একটু বেশী।আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। দ্রুত বী’র্যপাত সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর সমাধান। 

দ্রুত বী’র্যপাত সমস্যা দূরীকরণে কার্যকর সমাধান

এগুলো দেখে অনেকেরমনে হতে পারে যে  হোমিওপ্যাথিতে যৌ’ন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটিসত্য।অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌ’ন রোগেরও সবচেয়ে ভালো এবং সর্বাধিক কার্যকর চিকিৎসা আছে হোমিও প্যাথিতে। হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌ’ন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক, হারবাল, ভেষজ বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই

রুগিদের কথা:-  যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই হয়ত ভাল থাকি; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।  অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌ’ন দুর্বলতা, যৌ’ন কর্মেঅনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিও প্যাথিতে তার ও চমৎকার চিকিৎসা আছে।শুধু তাই নয়, একবারের যথা যথ হোমিওচিকিৎসাতেই সমস্যাটি একে বারে রুটলেভেল থেকে দূর হয়ে যায় তার জন্য সব সময় হোমিও ঔষধ খেয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনা।আর অন্যদিকে এলোপ্যাথি বাহারবালের উত্তেজক ঔষধ সমূহ সব সময় খেয়ে যেতে হয়।তারপরএই সব উত্তেজক ঔষধ সমূহের রয়েছে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যা মানুষের লিভার, কিডনি, হার্ট ইত্যাদি কে দিন দিন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

শুধু পুরুষ নয়  নারীপুরুষ উভয়েরই যৌ’ন শক্তি মাত্রাতিরিক্ত থাকতে পারে এবং অনেকে সময় মতো বিবাহ করতেনা পারার কারণে অথবা অকালে স্ত্রীর মৃত্যুতালাকবিধবা হওয়ার কারণে তাদের যৌ’ন চাহিদা পূরণ করতে পারেননা এবং এই সমস্যা নিয়ে তারা বিপদে পড়েন।এসব ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে তীব্রউ’ত্তেজনা কমিয়ে রেখে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় এবংএতে আপনার শরীরের বা যৌ’ন শক্তির কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।আবার পুরুষদের দ্রুত বা অকাল বী’র্যপাত  অথবা অন্য কোনো যৌ’ন সমস্যা থাকলে তাও আবার হোমিও ঔষধের মাধ্যমে যথা যথ চিকিৎসায় একেবারে মূল থেকে নির্মূল করা যায়

কারণ এই সকল সমস্যার পেছনে থাকে আরো কিছু শারীরিক বা মানসিক কারণ। একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের দক্ষ চিকিৎসায় যৌ’ন সমস্যার জন্য দায়ী যাবতীয় কারণসমূহ ভেতর থেকে দূর হয়ে রোগী নবযৌ’বন লাভ করে থাকে।তবে এর সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে হোমিও ডাক্তারের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর

দ্রুত বী’র্যপাত কিভাবে বুঝবেন

অকাল বী- র্য পাত দাম্পত্য কলহ, হতাশা, অস্থিরতা, হতাশা বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের অনেক কারণের মধ্যে একটি, কিন্তু সমাজ ব্যবস্থা এবং লোকলজ্জার ভয়ে এই বিষয়গুলি কখনই সামনে আসে না।

অকাল বী- র্য পাতের লক্ষণ: DMS-5 অনুসারে, একজন ব্যক্তি যদি নিম্নলিখিত সমস্যা গুলি অনুভব করেন, তবে তার দ্রুত বী- র্য পাতের সমস্যা রয়েছে:

ক)  মিলনের ১ মিনিটের কম সময়ে বী- র্য পাত।

খ) এই সমস্যা ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে।

গ) 85-100% ক্ষেত্রে যদি অকাল বী- র্য পাত ঘটে।

ঘ)  অতৃপ্তি, সঙ্গীর মধ্যে হতাশা।

ঙ) কোনো মানসিক বা শারীরিক রোগের উপস্থিতি যা এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

চ) দ্রুত বী- র্য পাত ঘটায় এমন কোনো ওষুধ বা ওষুধ খাওয়া।

দ্রুত বী- র্য পাতের কারণঃ

দ্রুত বী- র্য পাতের কারণকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

1) জৈবিক কারণ 2) মানসিক কারণ

 

দ্রুত বী- র্য পাতের জৈবিক কারণ সমুহ:

ক) ডায়াবেটিস।

খ) থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

গ) বিভিন্ন হরমোনের কারণে সমস্যা।

ঙ) হৃদরোগ।

চ) মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং প্রদাহ।

ছ) বিভিন্ন রোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি।

জ) বিভিন্ন ওষুধ।

ঞ) অস্ত্রোপচার বা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে।

বাচতে হলে এই যৌ’ন রোগ গুলো থেকে সাবধান

দ্রুত বী- র্য পাতের মানসিক কারণ

ক) উদ্বেগ/স্ট্রেস/ডিপ্রেশন।

খ) শারীরিক দুর্বলতা।

গ) সঠিক যৌ – ন শিক্ষার অভাব।

ঘ) বিবাহপূর্ব বা বিবাহপূর্ব কাউন্সেলিং এর অভাব।

ঙ) যৌ- নতা সম্পর্কে ভুল ধারণা।

চ) কম বয়সে যৌ- ন মিলন।

ছ) অতিরিক্ত প্রত্যাশা।

জ) আগের ব্যর্থতা বারবার স্মরণ করা।

ঝ) যৌ- ন নির্যাতন।

ঞ) সম্পর্কের অবনতি/দাম্পত্য কলহ।

প) চাকরি-ব্যবসার কারণে দূরে থাকুন এবং দীর্ঘ সময় শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ পাবেন।

ভ) মাদকাসক্ত।

সমাধান ও চিকিৎসাঃ

সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা এবং তদনুসারে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে 90-95% ক্ষেত্রে দ্রুত বী- র্য পাত হওয়া পুরুষরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।

আমাদের পোস্ট গুলো আপনার পেজে বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন………
আরও পড়ুনঃ ১ম শারীরীক মি’লনে রক্তপাত হয় কি? সুস্থ যৌ’ন জীবনের জন্য যা জানা জরুরী।

 

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment