কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় এমন কিছু সহজ উপায়। তবে মোটা হতে গিয়ে যেন স্বাস্থ্য ঝুকির সমক্ষিন হতে না হয় সেই বিষয় মাথায় রেখে আজকের এই পোস্ট।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে, আপনি যদি সমাজে খুব বেশি চিকন হন, আপনাকে যেমন কঠোর কথা ও বাঁকা চোখের সম্মুখীন হতে হয়, তেমনি একটু বেশি ওজনের হলেও একই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। গত কয়েকদিন ধরে গুগল সার্চে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই প্রশ্ন করছেন- ‘আমি মোটা হবো কিভাবে’? এমন প্রশ্ন অনেকেই করে যাচ্ছেন। তাই আমরা আজ আপনাদের উত্তর দেওয়ার জন্য বসে পড়লাম।
![আমি মোটা হবো কিভাবে](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2023/04/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87.jpg?resize=800%2C500&ssl=1)
সতর্কতা
উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করা সাধারণত স্বাস্থ্যকর নয়, বিশেষ করে যদি এটি যদি ওষুধের মাধ্যমে বা এমন কোন আকারে হয়। অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা আপনার হৃদরোগ, টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের মতো ঝুঁকি বাড়াতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্যগত অবস্থার বিকাশের ফলে।
আপনি যদি অতিরিক্ত পাতলা বা চিকন হন এবং মোটা হওয়ার সহজ উপায়, ডায়েট রুটিন, সাপ্লিমেন্ট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
আজ আমরা জানবো কিভাবে মোট হওয়া যায় বা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় এমন কিছু উপায়। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। মোটা হতে গিয়ে যেন শারীরিব সমস্যার সমক্ষিন হতে না হয়।
মোটা হওয়ার সহজ উপায়
আমরা কখনই বলব না যে আপনি কয়েক দিনে মোটা হতে পারবেন, তবে এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানোর ডায়েটে উচ্চ শর্করা এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার যেমন আস্ত শস্য, ফল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিনগুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
অত্যধিক স্বাস্থ্য যেমন একটি সমস্যা, তেমনই স্বাস্থ্য কয় হওয়াও কম সমস্যার নয়। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মোটা হওয়ার সহজ টিপস যা নিয়মিত মেনে চললে আপনি সহজেই মোটা হতে পারবেন। চলুন জেনে নিই স্বাস্থ্যকর উপায়ে দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়গুলো-
কোনো সমস্যার সমাধান খোঁজার আগে সেই সমস্যার কারণগুলো জেনে নেওয়া ভালো। ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়গুলো জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরের ওজন কম থাকার কারণ গুলো কি কি?
শরীরের ওজন কম হওয়ার কারণ
ওজন হ্রাসের বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এইডস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ওষুধ সেবন ইত্যাদি ছাড়াও বয়সের কারণে ওজন কমবেশি হয়। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই দিকগুলো আগে লক্ষ্য করা উচিত।
মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলো কি কি?
চলুন জেনে নেই মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলো কি কি?
যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন তার সমাধানও খুজে নিতে হয়। আসুন জেনে নিই এক এক করে মোটা হওয়ার কিছু সহজ পদ্ধতি।
(১) ব্যায়াম করা
![লম্বা হওয়ার ঝুলন্ত ব্যায়াম](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/04/%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AE.jpg?resize=258%2C281&ssl=1)
অনেকেই ভেবে থাকেন ওজন কমাতেই ব্যায়াম প্রয়োজন, কিন্তু এই ধারণা মোটেও ঠিক না। ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু দৌড় ঝাঁপই যথেষ্ট না। দরকার প্রতিদিন নিয়ম করে জিম করা। জিমে অভিজ্ঞ ট্রেইনার থাকেন। আপনার ওজন এবং চেহারা দেখে তিনিই আপনাকে বলে দিবেন কোন ব্যায়াম আপনার প্রযোজ্য কোন ব্যায়াম করলে আপকৃত হবেন।
(২) বার বার খাবার গ্রহণ
![চোখ ভালো রাখার জন্য আরও কিছু খাবার](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/03/%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0.jpg?resize=240%2C147&ssl=1)
প্রত্যেক ব্যক্তির ঘন ঘন খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর ছোট বা কম পরিমানে হলেও খাবার খাওয়া উচিৎ। কিন্তু যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর বেশি করে খাওয়া উচিত। ওজন বাড়াতে চাইলে আপনি দুধ, দই, ফল, ছোলা ইত্যাদি দিয়ে খাবার প্রেট সাজাতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টি যোগার পাশাপাশি ওজন বাড়বে। এটি মোটা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় গুলির মধ্যে একটি।
(৩) খাবারে রাখুন কার্বোহাইড্রেড
ওজন বৃদ্ধিতে কার্বোহাইড্রেড খুবই প্রয়োজন। খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড অবশ্যই রাখবেন। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত দুই বার কার্বোহাইড্রেড যুক্ত খাবার খাবেন। ভাত ও রুটি কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস তার মানে এই নয় যে বেশি বেশি খাবেন। এই খাবার গুলো খেতে হলে আপনাকে অতিরিক্ত ফ্যাটের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেড খাবেন পরিমান মত যা একজন সুস্থ মানুষের তুলনায় কিছুটা বেশি। মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম।
(৪) বেশি ক্যালোরি গ্রহন
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার কমিয়ে দেই এবং কম ক্যালোরি খাই। কিন্তু এই ক্ষেত্রে উলটা হবে প্রতিদিন যতটুকু ক্যালোরি ব্যায় করবেন তার থেকে দ্বিগুণ পরিমানে ক্যালোরি গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পরিমানে ক্যালোরি নিন। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। আর যদি ওজন আস্তে আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে সপ্তাহ খানেক করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে এত কোন সন্ধেহ নেই।
(৫) সঠিক প্রোটিন গ্রহণ
ওজন বৃদ্ধি করতে শুধুমাত্র ক্যালোরিই যথেষ্ট না। ক্যালোরির পাশাপাশি সঠিক পরিমানে প্রোটিন গ্রহণ করোর ও জরুরী। সঠিক পরিমানে প্রোটিন গ্রহন না করলে ক্যালোরি বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডাল, ডিম ও দুধ অবশ্যই খাবারের তারিকায় রাখবেন।
(৬) ড্রাই ফ্রুটস খাবেন
মোটা হওয়ার জন্য ড্রাই ফ্রুটস খাওয়াও অনেক জরুরী। ড্রাই ফ্রুটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি ও ফ্যাট যা ওজন বৃদ্ধিতে অনেক দিবে কাজে দেয়। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ২টি কাজু বাদাম ও ২টি কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এইটা খেতে কোনভাবেই ভুলবেন না। আর সকালের নাস্তায় রাখুন আমন্ড বা পেস্তা। ওজন বৃদ্ধিতে আপনার ডায়েট চার্টে বাদামের পরিমাণ বেশি রাখুন। এভাবে নিয়ম মেনে ড্রাই ফ্রুটস খেলে দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(৭) টেনশনমুক্ত থাকুন
সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন। ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশনমুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশনমুক্ত থাকা খুবই আবশ্যক। আজকাল টেনশনমুক্ত থাকা খুবই কঠিন তাও চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব টেনশনমুক্ত থাকার।
(৮) পরিমিত ঘুমান
শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এর থেকে কম হওয়া যাবে না। এছাড়া ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
(৯) ঘুমানোর আগে দুধ মধু খান
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কিছু খাবার খেতে পারেন যা বেশ পুষ্টিকর এবং ক্যালোরিযুক্ত খাবার। কারণ সেটা ঘুমিয়ে পরছেন বলে খরচ হচ্ছে না এবং পুরো রাত আপনার শরীরে ক্যালোরির কাজ করতে থাকে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে মধু ও দুধ মিশিয়ে খাওয়ার াভ্যস তৈরী করুন। এটি ওজন বৃদ্ধিতে পরীক্ষিত এবং মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলির মধ্যে একটি।
(১০) ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন
আমরা সাধারণত বাইরের খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলি। কিন্তু বাইরের খাবার যেমন আইসক্রিম, পেস্ট্রি, বার্গার ইত্যাদি ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী । এতে চর্বি আছে, বেশি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর! তাই আপনি চাইলে এগুলো খেতে পারেন তবে পরিমিত পরিমাণে। আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় চকলেট এবং পনির অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ওজন বৃদ্ধি করতে, কমাতে বা যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমে পানি খুবই উপকারী। প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন এব নিয়মিত মোটা হওয়ার এই সহজ উপায়টি অনুসরণ করুন ওজন বাড়বে এবং স্বাস্থ্য ভালো হবে। নিজের যত্ন নিন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট রুটিন
১. প্রতিদিন সকালে নাস্তার প্রায় ১ ঘণ্টা পরঃ ১ গ্লাস দুধ, ২টি ডিম, ২ টুকরো খেজুর নিয়মিত খেতে হবে।
২. বিকালে ১ গ্লাস দুধ, ২টি কলা, ১/২ চামচ এলাচ গুঁড়া, ১ চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে জুস তৈরি করে খেতে হবে।
৩. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একই ভাবে ১ গ্লাস দুধ পান করুন। আপনি এই 2 গ্লাসে কমপক্ষে 1000 ক্যালোরি পাবেন।
আপনি যদি প্রতিদিন এই চার্টটি অনুসরণ করেন তবে আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
বয়স অনুযায়ী শরীরের প্রতিদিন ক্যালরি চাহিদা
নিচের টেবিলে আমরা বয়স অনুযায়ী শরীরের প্রতিদিন ক্যালরি চাহিদা একটি তালিকা তৈরী করেছি দেখে নিন।
বয়স | ক্যালরি চাহিদা |
শিশুদের ক্যালরি ইনটেক দৈনিক | ১০০০ ক্যালরি প্রয়োজন। |
১৬-১৮ বয়স | ৩২০০ ক্যালরি |
১৯-২৫ বয়স | ২০০০-২২০০ ক্যালরি |
প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রতিদিন | ১৬০০-২৪০০ ক্যালরি |
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ | ২০০০-৩০০০ ক্যালরি। |
স্থায়ীভাবে মোটা বা ওজন বাড়ানোর ওষুধ
প্রথমত, একটি স্থায়ী মোটাতাজাকরণের ওষুধ খোঁজার পরিবর্তে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং একটি সুষম খাদ্য গড়ে তুলুন; স্বাস্থ্য এমনিতেই ভালো থাকবে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ওষুধের প্রয়োজন, তাহলে নিচে কিছু ওষুধের নাম আপনার জন্য উল্লেখ করা হল। তবে মনে রাখবেন চিকিৎসকের মরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করা উচিৎ নয়।
Decdan (Decdan): এই ওষুধটি সাধারণত স্বাস্থ্য লাভের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এটি দীর্ঘদিন সেবন করলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন, পেট খারাপ, হাঁটুতে ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, তাই এই ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
সিপ্ল্যাক্টিন: অ্যালার্জিজনিত রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি কখনই খাওয়া উচিত নয়। এটি অতিরিক্ত সেবন করলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাকটিন (প্র্যাকটিন): অনেকে একে ওজন বৃদ্ধির স্থায়ী ওষুধ বলে মনে করেন। কিন্তু আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এটি সেবন করেন, তাহলে আপনি হাত-পা কাঁপানো, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ অনুভব করতে পারেন।
ডেক্সোনা: এটি মূলত অ্যাজমা, অ্যালার্জি, ক্যান্সারের মতো রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকে স্বাস্থ্য লাভের জন্য দোকান থেকে কিনে ইচ্ছামতো সেবন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওষুধটি ব্যবহার করলে লিভারের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, কিডনির ক্ষতি হতে পারে, তাই এটি গ্রহণের আগে অবশ্যই চিন্তা করুন।
খেজুর খেলে কি মোটা হয়ে যায়?
খেজুর আমাদের স্বাস্থের সেরা বন্ধু হিসাবে কাজ করে। খেজুর খেতে মিষ্টি যারা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে খেজুর খুবই প্রিয় এবং যাদের মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার খেতে নিষেধ তারাও খেজুর খেতে পারেন। কারণ খেজুর একটি মিষ্টি ফল যা আপনাকে মোটা করার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া খেজুরের মিষ্টি খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না।
খেজুর খেলে কি মোটা হওয়া যায়? উত্তর হল: হ্যাঁ, খেজুর খাওয়া আপনাকে মোটা করতে পারেন। খেজুরে কোন ক্ষকিকারক ফ্যাট নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ডায়েটারি ফাইবার, লিপিড, প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং পানির মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ উপস্থিতীও রয়েছে এই ছোট ফলটিতে রয়েছে।
তাছাড়া ওজন বাড়াতে খেজুরের জুড়ি নেই। এক খেজুর থেকে আমরা ২৩ কিলোক্যালোরি শক্তি পাই এবং ১ শত গ্রাম খেজুর থেকে ২৮২ কিলোক্যালোরি শক্তি পাই। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে এই ফলটি কম খেলে যথেষ্ট ক্যালরি পেতে পারি। ওজন বাড়াতে খেজুর খুবই উপকারী খাবার।
ওজন বাড়াতে খেজুর খেতে চাইলে সকালে খালি পেটে বা ব্যায়ামের পরে খান।
গুগলে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
উচ্চ মানের ক্যালরি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু নিয়মিত খেতে হবে। এক মাসের মধ্যে শরীর মোটা ও সতেজ হয়ে উঠবে। বিস্তারিত পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে
উচ্চ মানের ক্যালরি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেলে মানুষ মোটা হয়। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু নিয়মিত খেতে হবে। এক মাসের মধ্যে শরীর মোটা ও সতেজ হয়ে উঠে। বিস্তারিত পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে
উত্তর হল: হ্যাঁ, খেজুর খাওয়া আপনাকে মোটা করতে পারেন। খেজুরে কোন ক্ষকিকারক ফ্যাট নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ডায়েটারি ফাইবার, লিপিড, প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে রয়েছে। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং পানির মতো বিভিন্ন খনিজ পদার্থ উপস্থিতীও রয়েছে এই ছোট ফলটিতে রয়েছে।
মোটা হতে চাইলে উচ্চ মানের ক্যালরি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু নিয়মিত খেতে হবে। এক মাসের মধ্যে শরীর মোটা ও সতেজ হয়ে উঠবে। আপনি চাইলে ফল দিয়ে জ্যাম, জেলি, সিরাপ, জুসও বানিয়ে খেতে পারেন। বিস্তারিত পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে
অনেক কারণে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে। শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে, বংশগত জেনেটিক প্রভাবে, কিছু ক্ষেত্রে জিন মিউটেশন, হরমোন গ্রন্থির ব্যাধি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং মানসিক অসুস্থতার কারণে মানুষ মোটা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, মোটা হোয়া থেকে বাচতে খাওয়া কমে দেওয়ার পরও বা খুব কম খেলেও ধীরে ধীরে আপনার ওজন বাড়তে থাকে।
আমাদের শরীর প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা পায় তিন ধরনের খাবার থেকে। সেগুলো হল প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট।
যেহেতু পানিতে এই তিনটির কোনোটি নেই, তাই এটি প্রমাণ করে যে পানিতে কোনো ক্যালোরি নেই। ক্যালরি নেই মানে এই নয় যে জল আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে না। পানির প্রধান কাজ হল সকল খাদ্য থেকে শক্তি ভেঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেওয়া।
তাই নিজস্ব ক্যালোরি না থাকলেও পানি শরীরে ক্যালোরি পরিবহন করে। এছাড়া ক্যালরি পোড়াতে পানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ কারণেই পুষ্টিবিদরা ওজন কমাতে বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ দেন। তবে মোটা হতেও পানি পান করতে হবে।
তবে যে কোনো রোগ হলে চিকিৎসক কম পানি পানের পরামর্শ দিলে তা মেনে চলতে হবে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, জেনেটিক কারণ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, ডায়রিয়া, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, এইডস, হাইপারথাইরয়েডিজম, আর্থ্রাইটিস, যক্ষ্মা, কিডনির সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ওষুধ সেবন ইত্যাদি ছাড়াও বয়সের কারণে ওজন কমবেশি হয়। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই দিকগুলো আগে লক্ষ্য করা উচিত।
আমাদের কথা
স্বাস্থ্যকর ওজন অর্জনের উপায় সম্পর্কে ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা নিবন্ধিত খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলাও গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে যা আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন এবং লক্ষ্যগুলির জন্য নিরাপদ এবং উপযুক্ত হবে।
আশা করি, লেখাটি পড়ার পর আপনার মনে যে প্রশ্নটি ছিল, আমি কীভাবে মোটা হব? ৭ দিনে মোটা হওয়ার সহজ উপায়, ডায়েট রুটিন, সাপ্লিমেন্ট, ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান এখানে কোন পরামর্শগুলো আপনার উপকারে এসেছে। ধন্যবাদ