আপনি যদি কখনও ভেবে থাকেন যে আমার উচ্চতা কম এবং কীভাবে লম্বা হওয়া যায়, তাহলে জেনে রাখুন আপনি একা নন অনেক লোক তাদের উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে কৌতূহলী, তারা সবাইন লম্বা হতে চায়।
যদিও এটি জেনেটিক্স কারন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তারপরও আপনার উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সর্বাধিক করার উপায় রয়েছে। এই বিস্তৃত নির্দেশিকায়, আমরা উচ্চতা, পুষ্টির ভূমিকা, ব্যায়াম, এবং জীবনধারা পছন্দকে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন কারণগুলি অন্বেষণ করব এবং লম্বা হওয়ার জন্য আপনার সাহায্য আসে এম কার্যকরী টিপস প্রদান করব। শুরুতে উচ্চতা বৃদ্ধির মূল বিষ গুলি জেনে নেই-
কীভাবে লম্বা হবেন: মূল বিষয়গুলি
লম্বা হওয়া জেনেটিক্স থেকে শুরু করে লাইফস্টাইল পর্যন্ত বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণ। যারা কীভাবে লম্বা হবেন ভাবছেন তাদের জন্য এখানে কিছু মূল বিষয় রয়েছে শুরুতে তা দেখে নিন।
জেনেটিক্স এবং উচ্চতা
আপনার জেনেটিক মেকআপ আপনার উচ্চতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি আপনার পিতামাতার কাছ থেকে আপনার উচ্চতার বৈশিষ্ট্য উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। আপনি যদি লম্বা ব্যক্তিদের একটি পরিবারের হন বা আপনার বাবা মা লম্বা হয়, তাহলে আপনারও লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হরমোন এবং বৃদ্ধি
বয়ঃসন্ধিকালে, শরীরের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়, প্রাথমিকভাবে বৃদ্ধির হরমোন দ্বারা চালিত হয়। সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ নিশ্চিত করা উচ্চতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকে অপ্টিমাইজ করতে পারে।
পুষ্টি এবং উচ্চতা
অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য আপনার উচ্চতার সম্ভাবনাকে সর্বাধিক করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান হাড়ের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। আপনার ডায়েটে দুগ্ধজাত পণ্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করাই আপনার উচ্চতার পার্থক্য আনতে পারে।
ব্যায়াম এবং উচ্চতা
নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, বিশেষ করে স্ট্রেচিং ব্যায়াম, আপনার ভঙ্গি উন্নত করতে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির বিভ্রম তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। যোগব্যায়াম, পাইলেটস এবং ঝুলন্ত ব্যায়াম এক্ষেত্রে কার্যকর।
ঘুম এবং বৃদ্ধি
পর্যাপ্ত ঘুম উচ্চ বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে। গভীর ঘুমের চক্রের সময় শরীর বৃদ্ধির হরমোন নিঃসরণ করে, তাই আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিচ্ছেন তা নিশ্চিত করুন।
জীবনধারা পছন্দ
ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের মতো ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলি পরিহার করলে উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা সর্বাধিক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাসগুলি উচ্চতা বৃদ্ধিকে আটকাতে পারে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিভাবে খুব দ্রুত ঘরোয়া ভাবে লম্বা হওয়া যায়
মহান আল্লাহর সৃষ্ট সবকিছুই সুন্দর। সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন মানুষের বসবাসের উপযোগী করে। স্রষ্টা মানুষকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে এক ব্যক্তির আকার এবং আকৃতি অন্য ব্যক্তির থেকে আলাদা। লম্বা না হলে যে আপনি অসুন্দর তা কিন্তু নয়। এমন টা ভূলে ভাববেন না যে লম্বা নন বলে আপনি অন্যের থেকে কোন অংশে কম।
যাইহোক কিভাবে দ্রুত লম্বা হওয়া যায় তা যদি জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত অতন্ত জরুরী । এতে থাকবে ব্যায়াম করে লম্বা হওয়ার উপায়, সুসম খাবার খেয়ে ইত্যাদি। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত না পড়লে বুঝতে পারবেন না। তাই সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করছি। সেই সাথে আমাদের আরেক টি পোস্ট লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম পড়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি
![কিভাবে লম্বা হওয়া যায়](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/02/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg?resize=300%2C225&ssl=1)
কিভাবে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়
আপনি ভাবতে পারেন আপনার বন্ধুরা হঠাৎ করে এত লম্বা হয়ে গেছে এবং আপনি গুরুতরভাবে পিছিয়ে আছেন। হয়তো আপনার পরিবারের বাকি সদস্যরা সত্যিই লম্বা এবং ভাবছেন আপনি কিছু করতে পারেন কিনা। আসল বিষয়টি হল যে একজন ব্যক্তির উচ্চতা মূলত নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেমন জিন। বয়ঃসন্ধিকালে আপনার উচ্চতাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন অনেক কারণ রয়েছে যা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, যেমন খাদ্য এবং কার্যকলাপের মাত্রা। আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে লম্বা হওয়া যায়।
কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়
শারীরিক বৃদ্ধির সাথে অনেকগুলো ব্যাপার জড়িত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লম্বা বা খাটো হওয়া বংশগত। বাবা-মায়ের জিনের উপর লম্বা হওয়া নির্ভর করে। বিজ্ঞানীদের মতে ১ বছর বয়স থেকে ১৪-৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মানুষ ২ ইঞ্ছি হারে লম্বা হয়। ১৪-১৫ বছর বয়সের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ৪ ইঞ্চি করে লম্বা হওয়া যায়। তবে মানুষভেদে তা বিভিন্ন হতে পারে। যেমন মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায় আগে হয়। তবে সুষম খাদ্য ও বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেও লম্বা হওয়া যায়। কিভাবে লম্বা হওয়া যায় তার কিছু উপায় নিচে আস্তে আস্তে আলোচনা করব।
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়েজিনীয় পুষ্টি
অত্যাবশ্যক পুষ্টি
কীভাবে লম্বা হতে হয় তা বোঝার জন্য, আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পুষ্টির উপর ফোকাস করতে হবে যা উচ্চর বৃদ্ধির অন্যতম কারন
ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম শক্তিশালী হাড়ের জন্য একটি বিল্ডিং ব্লক। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া নিশ্চিত করতে আপনার খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্য, শাক-সবুজ এবং শক্তিশালী খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। প্রাকৃতিক সূর্যালোক পেতে বাইরে সময় কাটান, বা প্রয়োজনে পরিপূরক বিবেচনা করুন।
প্রোটিন
পেশী এবং টিস্যু বিকাশের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডায়েটে চর্বিহীন মাংস, মাছ, ডিম এবং লেবু অন্তর্ভুক্ত করুন।
দস্তা
দস্তা টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামত সমর্থন করে। বাদাম, বীজ এবং পুরো শস্য চমৎকার দস্তার উৎস বিদ্যমান।
লম্বা হওয়া জন্য করনীয়
সঠিক পরিমাণে পুষ্টি দেহের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাজা শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিন জাতীয় খাদ্য প্রতিদিনের তালিকায় রাখতে হবে।
প্লেটের অর্ধেক রাখতে হবে শাকসবজি, চার ভাগের এক ভাগ পূর্ণ করতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য দিয়ে এবং বাকি চার ভাগের এক ভাগ রাখতে হবে শর্করা। এছাড়া, হালকা খাবার হিসেবে থাকতে হবে ফলমূল, সবজি ও কম চর্বিযুক্ত খাদ্য।
লম্বা হওয়ার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহন
লম্বা হওয়ার উপায় প্রচুর ফ্যাটি প্রোটিন খান। মটরশুটি, সয়া এবং বাদামের মতো ফ্যাটি প্রোটিন পেশী বৃদ্ধি এবং হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান। পাতলা খাবার যেমন পালং শাক, কেল এবং শক্তিশালী খাবারে পাওয়া ক্যালসিয়াম যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে
জিঙ্কের অভাবে শরীরের বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীর বাড়াতে বা লম্বা করতে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করলে লম্বা হওয়া সহজ হয়।
কোন খাবারে জিঙ্ক থাকে?
ক. গরুর মাংস ও ভেড়ার মাংসে উচ্চমানের জিঙ্ক পাওয়া যায়।
খ. আটার রুটি
গ. সব দুগ্ধজাত খাবার
ঘ. শিম জাতীয় সবজি
ঙ. মসুর ডাল
চ. চিনাবাদাম
ছ. মাশরুম
জ. সমুদ্রের মাছ
ঝ. গরু এবং খাসির কলিজায়
সংগ্রহঃ মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
লম্বা হতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া
প্রোটিন শরীরের বৃদ্ধি এবং পেশী গঠনের জন্য অপরিহার্য। তাই প্রতিটি খাবারে প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে হালকা খাবার গ্রহণের তালিকায় প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
যেমন সকালের নাস্তায় দই, দুপুরের খাবারে টুনা মাছ, রাতে মুরগির মাংস রাখা যেতে পারে। এছাড়াও, স্ট্রিং পনির হালকা খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
এছাড়াও প্রোটিন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য গুলো হলো মুরগির মাংস, টার্কি, মাছ, শিম, বাদাম এবং লো ফ্যাট জাতীয় খাদ্য। জটিল শর্করার মধ্যে আছে শস্য জাতীয় খাদ্য, আলু।
আরও পোস্ট পড়ুনঃ পাকস্থলী ক্যান্সারের লক্ষণ ও প্রতিকার
লম্বা হতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া
বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব বাচ্চারা প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পায়। সেসব বাচ্চার একটু বেশি লম্বা হয়। অন্য দিকে তাদের থেকে যারা প্রতিদিন ডিম খায় না তারা অনেকটাই পিছিয়ে পরে। ডিমে রয়েছে শরীরের বৃদ্ধির জন্য অতি প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিন। এছাড়া, এটি সস্তা বলে সবাই কিনে খেতে পারে।
মনে রাখবেন অনেক সময় বাচ্ছারা প্রতিদিন ডিম খেলে, অনেক বাচ্চাদের শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
লম্বা হতে দুগ্ধজাত খাবার
দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্যদ্রব্যে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকে যা শরীরের পুষ্টি অনেক জোগায়। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া অথবা দই বা পনির শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পছন্দমত একটি দুধ জাতীয় খাদ্য রাখা জরুরী অথবা প্রতিদিন একগ্লাস দুধ পান করতে হবে।
লম্বা হতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট সেবন
সুষম খাদ্য তালিকা ছাড়াও বিভিন্ন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ট্যাবলেট সাহায্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এই সব ট্যাবলেট শরীরের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ এবং ডি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ এগুলো হাড় গঠনে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম ও মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
লম্বা হওয়া জন্য সূর্যের আলো গ্রহন
ভিটামিন ডি: পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিমিত ভিটামিন ডি পাওয়া যায় মাশরুম এবং দুগ্ধজাত খাবার গুলোতে। ভিটামিন ডি হাড় এবং পেশী বৃদ্ধি ও উন্নত করে । তবে আপনার ভিটামিন ডি এর সিংহভাগই রয়েছে সূর্যের আলোতে। তাই প্রতিদিনে ১৫ মিনিট কমতেজি রোদে বের হওয়া নিশ্চিত করতে পারেন।
এভাবে নিয়মিত আপনি সরাসরি সূর্যের আলো থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে পারেন। তবে কেবলমাত্র কার্যকর হবে যদি অতিবেগুনী বি (ইউভিবি) হার খুব কম হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে আপনি অতিবেগুনী রশ্মি এবং তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে শিখতে পারেন। খুব সকালে, এবং সন্ধ্যা রোদে বের হতে পারবেন। সকলে এবং বিকালে রোধে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
আরও পোস্ট পড়ুনঃ হঠাৎ করে প্রেসার কমে গেলে কী করণীয় ?
লম্বা হতে নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখুন
লম্বা হওয়ার জন্য বা শরীর বৃদ্ধিতে হরমোনের গুরুপ্ত অনেক। ছেলে মেয়ে সবারই শরীরের উচ্চতা নির্ধারন করে তাদের হরমোনর উপর। আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে আপনার হরমোন তৈরিতে বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। আনন্দে থাকুন, স্ট্রেস ফ্রি থাকুন, মানসিক চাপ মুক্ত থাকার জেষ্টা করুন।
লম্বা হতে মাদক থেকে দূরে থাকুন
মাদক, ধমপান শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি শরীর বৃদ্ধিতে। কারন মাদক, ধমপান শরীরে হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ধূমপান, মদ্যপান, এসব নেশা আজই ত্যাগ করুন।
কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান। ঘুম আপনার শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ২০ বছরের কম বয়সের ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমান। পরিমান মত ঘুমালে আপনার শরীরে হরমোন তৈরি এবং লম্বা হতে সময় পায়। তাই নিয়মিত এক টাইমে ঘুমানো অভ্যাস করুন। গভীর ভাবে ঘুমালে পিটুইটারী গ্লান্ড থেকে গ্রোথ হরমোন বের হতে সাহায্য করে।
কিভাবে ব্যায়াম করলে লম্বা হওয়া যায়
সঠিক পুষ্টির পাশাপাশি কিছু যোগব্যায়ামও ভালো ফল দেয়। উচ্চতা বৃদ্ধির প্রধান উপাদানকে বলা হয় হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH), যা পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত কৈশোরে লম্বা হয়। এই সময়ে নির্দিষ্ট কিছু যোগব্যায়াম ভঙ্গির নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে পিটুইটারি গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে ভাল উচ্চতা পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব। উচ্চতা বাড়ানোর জন্য কিছু ইয়োগা পোজ দেখে নিন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে
১. লম্বা হতে সর্বাঙ্গাসন যোগব্যায়াম
কিভাবে করবেন
আপনার পিঠের উপর সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা একে অপরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ (দুই পা লাগিয়ে) হওয়া উচিত। দুই হাত দুই পাশে
![লম্বা হতে সর্বাঙ্গাসন যোগব্যায়াম](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/02/%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE.jpg?resize=144%2C300&ssl=1)
রাখুন এবং হাতের কুনই মাটির দিকে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে আপনার পা 30 ডিগ্রি, তারপরে 60 ডিগ্রি এবং অবশেষে 90 ডিগ্রি পর্যন্ত তুলুন, আপনি পা উপরের দিকে তোলার সময় হাতের সাহায্য নিতে পারেন। যদি 90 ডিগ্রি পর্যন্ত সোজা না হয় তবে পা 120 ডিগ্রি পর্যন্ত নিয়ে যান এবং উভয় হাত তুলে কোমরের সাথে রাখুন। হাতের কনুই মাটিতে লেগে থাকতে হবে এবং দুই পা একসাথে সোজা রাখতে হবে। পায়ের আঙুল উঁচু করে চোখ বন্ধ রাখুন বা বুড়ো আঙুলের দিকে নজর রাখুন। সিট থেকে ফেরার সময় পা সোজা রেখে একটু পেছনে ঝুঁকে পড়ুন। তারপর আস্তে আস্তে পিঠ, তারপর কোমর এবং নিতম্ব মাটিতে নামিয়ে দিন। যতক্ষণ আপনি সর্বাঙ্গাসন করবেন ততক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসে বিশ্রাম নিন।
এভাবে প্রথমে 30 সেকেন্ড করে 4-5 বার করুন। পরের বার, 2 মিনিট সোজা থাকার চেষ্টা করুন। কিছুক্ষণ পর 5 মিনিট সোজা থাকার চেষ্টা করুন। আপনি 2 মিনিট থেকে 30 মিনিট পর্যন্ত এই আসনে থাকতে পারবেন।
সর্বাঙ্গাসন সুবিধা কি?
যেহেতু এই ব্যায়ামে থাইরয়েড এবং পিটুইটারি গ্রন্থিগুলি প্রধানত সক্রিয় হয়ে ওঠে, এই আসনটি উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এই ব্যায়ামে দুর্বলতা, ক্লান্তির ব্যাধি দূর হয়। এই ব্যায়ামে অ্যাড্রিনাল, শুক্রাণু এবং ডিম্বাশয়কে শক্তিশালী করে।
আরও পোস্ট পড়ুনঃ কিভাবে ফর্সা হয়
২. লম্বা হতে তাড়াসন যোগব্যায়াম
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য তারাসন ব্যায়েম খুবই কার্যকরী আসন। তাই তারাসানের প্রতিদিন নিয়ম মেনে চলা উচিত। উচ্চতা বাড়ানো ছাড়াও তারাসানের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।
![লম্বা হতে তাড়াসন যোগব্যায়াম](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/02/%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE.jpg?resize=139%2C300&ssl=1)
কিভাবে করবেন : আপনার পা আলাদা করে দাঁড়ান। একটি গভীর শ্বাস নিন এবং উভয় হাত পাশা পাশি করে উপরে বাড়ান। হাত যেভাবে ওপরে যাবে, গোড়ালিও ওপরে যাবে। শরীরের ওজন পায়ের তলায় থাকবে এবং পুরো শরীর উপরের দিকে টানবে। পায়ের পুরো অংশ থেকে বুড়ো আঙুলে শরীরের ভর ধীরে ধীরে সরানোর চেষ্টা করুন। সিটে বসার সময় খুব ধীরে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে শ্বাস নিন।
এভাবে প্রথমে 30 সেকেন্ডের জন্য সিটে থাকার চেষ্টা করুন। তারপর ধীরে ধীরে 5 মিনিটের জন্য এই আসনে টানুন।
তাড়াসন সুবিধা কি?
এটি আসনের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সেরা। এই আসনে সারা শরীরের স্নায়ু সক্রিয় ও বিকশিত হয়। তারাসানে গভীর শ্বাস নিলে ফুসফুস শক্তিশালী ও প্রশস্ত হয়।
৩. লম্বা হতে উষ্ট্রাসন যোগব্যায়াম
কিভাবে করবেন
বজ্রাসনে বসুন। তারপর দুই পায়ের মাঝখানে একটু জায়গা রেখে পায়ের আঙুলগুলোকে ভেতরের দিকে দাঁড় করিয়ে দিন। দুই পায়ের গোড়ালিতে এমনভাবে হাত রাখুন যেন পায়ের বুড়ো আঙুলটি মাটির উপর থাকে এবং পায়ের বাকি আঙুলগুলো বাইরের দিকে থাকে। শ্বাস নিয়ে মাথা ও ঘাড় কোমরের কাছে ফিরিয়ে আনুন। শ্বাস ছাড়ার সময় আপনার গোড়ালিতে ভর দিয়ে বসুন। বসার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
![লম্বা হতে উষ্ট্রাসন যোগব্যায়াম](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2022/02/%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE.jpg?resize=171%2C239&ssl=1)
এটি ১ মিনিটে মোট পাঁচবার করুন।
উষ্ট্রাসন সুবিধা কি?
এটি মেরুদণ্ড নমনীয় করে উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই আসনটি ফুসফুসের কোষকে সক্রিয় করে, যা হাঁপানি রোগীদের উপকারে আসবে। এই আসনটি থাইরয়েড গ্রন্থির জন্যও ভালো।
কীভাবে লম্বা হবেন: প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
যদিও বয়ঃসন্ধিকালেই মূলত মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি সবচেয়ে দ্রুত সময়, তবুও প্রসারিত ব্যায়াম এবং ভাল লাইফস্টাইল বজায় রাখার মাধ্যমে আপনার উচ্চতা কিছুটা বাড়ানো সম্ভব।
এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সাগরিকা বলেন, সঠিক পুষ্টির অভাব, গ্রোথ হরমোন এবং থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য, জন্মের সময় খুব ছোট হওয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, টিবি, সিলিয়াক ডিজিজ (গমের খাবারে অ্যালার্জি) ইত্যাদি কিছু রোগ লম্বা হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
উভয়. এখন পর্যন্ত, বিজ্ঞানীরা উচ্চতার সাথে সম্পর্কিত হিসাবে৬৯৭ টি জিন (৪২৪ জিন অঞ্চলে) চিহ্নিত করেছেন। আমরা এই জিনের প্রায় অর্ধেক আমাদের মায়ের কাছ থেকে এবং অর্ধেক আমাদের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাই, তাই উভয় আমাদের চূড়ান্ত উচ্চতায় প্রায় সমান প্রভাব রয়েছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ১৬ বছর পর মেয়েদের উচ্চতা তেমন বাড়ে না। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, সাঁতার ইত্যাদি করলে ১৮ বছর পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধির সুযোগ থাকে।
সাধারণত ২০-২১ বছর বয়স পর্যন্ত উচ্চতা বাড়ে। যখন আমাদের শরীরের দীর্ঘ হাড়ের এপিফিসিল প্লেটগুলি নিঃশেষ হয়ে যায়, তখন সেই হাড়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই সময় উচ্চতার বৃদ্ধিও কমে যায়।
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের মতো কিছু পরিপূরক উচ্চতা বৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে, তবে এটি গ্রহণ করার আগে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হ্যাঁ, ঝুলন্ত ব্যায়াম মেরুদণ্ডকে ডিকম্প্রেস করতে সাহায্য করতে পারে এবং উচ্চতা বৃদ্ধির বিভ্রম তৈরি করতে পারে।
পর্যাপ্ত পুষ্টি যুক্ত একটি সুষম খাদ্য আপনার উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে অপ্টিমাইজ করতে পারে, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে।
হ্যাঁ, গভীর ঘুমের মধ্যে শরীর বৃদ্ধির হরমোন নিঃসরণ করে, ঘুম উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারন।
আমাদের কথা
আশা করি আজকের এই লেখাটি থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে মোটা মটি ধারনা পেয়ে গেছেন। আজকের মত এখানেই কথা হবে নতুন কোন পোস্টে নতুন কোন বিষয়ের আলোচনায়।