এশার/ইশার নামাজ (আরবি: صلاة إشاه; সালাত আল-ইশা) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজের মধ্যে এশার ফরয নামাজ একটি যা সকল মুসলমানদের অবশ্যই পালনীয় সকল মুসলমানের ইশার ফরয নামাজ আদায় করা উচিত। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি দৈনিক নামাজের পঞ্চম ফরয নামাজ। এশার ফরজ নামাজ চার রাকাত। এটি রাতে মাগরিবের নামাজের পর আদায় করতে হয়। মাগরিবের নামাযের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এশার নামাযের সময় শুরু হয় এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত আদায় করা উত্তম, দুই তৃতীয়াংশ জায়েজ এবং ফজরের সাদিক হওয়ার আগে পর্যন্ত (এটিকে মাকরূহ উনুত্তম সময় বলা হয়) আদায় করা যেতে পারে।
এশার নামাজ ওয়াক্ত সাধারণত কতক্ষণ পর্যন্ত থাকে?
উত্তর: এশার নামাজের প্রধান সময় মধ্যরাত পর্যন্ত। মধ্যরাতের পর এশার নামায পড়া মাকরূহ। কিন্তু কোন ব্যক্তি বিশেষ কারণে এশার নামায না পড়লে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এশার নামায পড়তে পারে। তার নামায মাকরূহ হবে।
অনেকে এশার নামাজ কত রাকাত এবং কিভাবে পড়তে হয়, পড়ার নিয়ম জানতে গুগলে সার্চ করেন। একজন মুসলমানকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করতে হবে। তন্মধ্যে দিনের শুরুতে ফজরের নামায এবং রাতে ঘুমানোর আগে এশার নামায পড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের পোস্টে এশার নামাজ কত রাকাত, এশার ফরয নামাজ, সুন্নাত ও নফল সহ মোট কত রাকাত, এবং কিভাবে আদায় করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি বিস্তারিত ভাবে আজকের পোস্টে জানতে পারনে। এশার নামাযের রাকাত সংখ্যা নিয়ে আমাদের অনেক দ্বিধা রয়েছে। অনেকে এশার নামাযের রাকাত সংখ্যা বিভিন্নভাবে উল্লেখ করার কারণে কোনটি সঠিক তা নিয়ে এশার নামাজ পড়তে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় অনেক কে।
এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
- ৪ রাকাত সুন্নত (সুন্নাতে জায়দা)
- ৪ রাকাত ফরজ
- ২ রাকাত সুন্নাত (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা)
- ২ রাকাত নফল ( নফল নামাজ আপনি চাইলে বেশিও আদায় করতে পারেন)
- ৩ রাকাত বিতির (বিতির নামাজ ৩/৫/৭ রাকাতও আদায় যায়)
এশার ফরজ, সুন্নাহ, নফল ও বিতর সহ মোট ১৫ রাকাত যদিও বিতর নামাজের সাথে এশার নামাযের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
চলুন তাহলে এই ১৫ রাকাত নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই –
৪ রাকাত সুন্নাহ (সুন্নাতে জায়দা)
প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নাহ (সুন্নাতে জায়দা) নামাজ রয়েছে যা ঐচ্ছিক নামাজ (সুন্নাতে যায়েদা বা গায়েরে সুন্নাত এ মুয়াক্কাদাহ ও বলা হয়)। এই ৪ রাকাত সুন্নাহ আদায় করতে উৎসাহিত করা হয়। যা সময় থাকলে আদায় করে নেওয়া উচিত, তবে আদায় না করলেও কোন গুনাহ হবে না।
৪ রাকাত এশার ফরজ (অবশ্যই পালনীয়)
অতঃপর এশার ফরজ (অবশ্যই পালনীয়) নামায ৪ রাকাত, যা প্রত্যেক মুসলিম’কেই আদায় করতে হয়। এশার ফরজ অংশটি ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সহিত আদায় করা উচিৎ, তবে একান্তই কোনো অসুবিধা কারনে নিজে নিজেও আদায় করে নেয়া যায়। তবে জামাতের সহিত আদায় ২৭ গুন বেশি সওয়াব আমল নামায় লিখা হয়।
২ রাকাত সুন্নাহ (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা)
২ রাকাত সুন্নাহ নামায (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা) যা ৪ রাকাত ফরযের পর আদায় করতে হয়। এই ২ রাকাত সুন্নাহ নামায গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ) এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনই এই দুই রাকাত সুন্নাহ (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা) নামাজ মিস করেননি।
২ রাকাত নফল
এরপর ২ রাকাত নফল, যদিও এই ২ রাকাত নফল নামাজের কোন দলিল পাওয়া যায়নি। আসলে, নফল নামায সমূহ নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত দিন রাতের যেকোন সময় আদায় করা যায়। শুধু’যে ২ রাকাতই পড়তে হবে ব্যপারটা এমন নয়, আপনি যাইলে বেশিও আদায় করতে পারেন।
৩ রাকাত বিতর
এরপরের নামাজটি হল বিতরের নামায যা বেশির ভাগ মানুষ ৩ রাকাত আদায় করে থাকেন। তবে এটার সাথে এশার নামাযের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা ঘুম থেকে উঠে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামায শেষে আদায় করা অতি উত্তম। তবে যারা ঠিকমত ঘুম থেকে জাগতে পারেন না বা তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতে পারেন না। তাদের জন্য উচিত হবে এশার নামাযের পরপরই পড়ে বিতরের নামায আদায় করে নেওয়া।
যদি কেউ মুসাফির হয়ে থাকে বা মুসাফির অবস্থায় থাকেন তাহলে ইসলামের বিধান অনুযায়ী এশার ৪ রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত আদায় করতে পারেন। এশার ২ রাকাত আদায় করা পরে শুধুমাত্র বিতর নামাযটি আদায় করে নিতে হয়।
এই হল মোট ১৫ রাকাত আশা করি আর কোন কনফিউশন থাকলো না ।
যারা এশার নামাজ ১৭ রাকাত গণনা করেন তাদের হিসাব অনুযায়ী এটি মূলত এরকম।
- চার রাকাত সুন্নত নামাজ (ঐচ্ছিক)
- চার রাকাত এশার ফরজ নামাজ (অবশ্যই পালনীয়)
- দুই রাকাত সুন্নত মুয়াক্কাদাহ সালাত (বাধ্যতামূলক)
- দুই রাকাত নফল নামাজ (ঐচ্ছিক)
- তিন রাকাত বেতের নামাজ। (বাধ্যতামূলক, কিন্তু ইশার নামাযের অংশ নয়)
- সব শেষে আবার দুই রাকাত নফল নামাজ। (ঐচ্ছিক)
অর্থাৎ যারা ইশার সালাতকে ১৭ রাকাত (4 + 4 + 2 + 3 + 2 = 17 রাকাত) গণনা করে তাদের হিসাব অনুযায়ী।
এশার নামাজের নিয়ত
নামাজ শুরুর আগে নিয়ত করে নিতে হয়। (যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলা হয় নামাজের আগ মুহুর্তে নিয়ত না করলে নামাজের কোন ক্ষতি হয় না কারন যেহেতু আমি নামার আদায় করা উদ্দেশ্যে মসজিদে বা জায়নামাজে দাড়িয়েছি) প্রত্যেক নামাজের নিয়ত ভিন্ন ভিন্ন । যেহেতু রাকাতে করবেশি রয়েছে এবং ফরজ, সুন্নত, নফল উল্লেক্ষ্য করতে হয়। এশার নামাজের নিয়ত গুলো ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো:
৪ রাকাত সুন্নত (সুন্নাতে জায়দা) নামাজের নিয়ত
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা
আরবাআ রাকয়াতাই সালাতিল এশাই সুন্নাতু
রাসূলিল্লা-হি তা’আলা মুতাওয়াজ জিহান
ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ
এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার
উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
৪ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা
আরবাআ রাকয়াতাই সালাতিল এশাই ফারদুল্লাহি তা’আলা
মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি
আল্লাহু আকবার।”
বি:দ্র– ইমামের পেছনে পড়লে
“ফারদুল্লাহি তা’য়ালা” বলার পরে
“ইকতাদাইতু বিহা-যাল ইমাম” পড়বেন।
বাংলা অর্থ
“এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ
আদায় করার উদ্দেশ্যে
ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার।”
২ রাকাত সুন্নাত (সুন্নাতে মুয়াক্কাদা) নামাজের নিয়ত
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা
রাকয়াতি সালাতিল এশাই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা’আলা
মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি
আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ
“এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ
আদায় করার উদ্দেশ্যে
ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার।”
২ রাকাত নফল নামাজের নিয়ত
“নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা
রাকয়াতি সালাতিল নফলে মুতাওয়াজ জিহান
ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি
আল্লাহু আকবার।”
বাংলা অর্থ
“এশার দুই রাকাত নফল নামাজ
আদায় করার উদ্দেশ্যে
ক্বিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার।”
উপরোক্ত নিয়ত গুলো এশার প্রত্যেক নামাজ আদায়ের আগে মনে মনে পড়ে নিতে হয়। যদিও এই বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। যেহেতু সবাই তা পালন করেন তাই তুলে ধরা হলো, এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনার মসজিদের ঈমাম বা খতিব সাহেবের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
আমাদের অন্য পোস্ট গুলো পড়ুনঃ
- ইসলাম ধর্মে কোরবানি ও কোরবানি সম্পর্কে নবীজির ১০টি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
- এশার নামাজ কয় রাকাত নিয়ত সূরা
এশার নামাজের নিয়ম
আসুন জেনে নেই এশার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে কিভাবে এশার নামাজ আ। এশার নামায পর্যায়ক্রমে আদায়ের নিয়মাবলী নিম্নে দেওয়া হলঃ
চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম
প্রথমে ওযু করে পবিত্র হয়ে কিবলামুখী হয়ে নামাজে দাঁড়াতে হবে।
উপরে উল্লেক্ষিত নিয়মে নিয়ত পড়তে হবে।
“আল্লাহু আকবার” বলে উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলে বুকের উপর হাত বাঁধুন। নিচের চিত্রটি দেখুন
এবার বুকে হাত বাধা আবস্থায় সানা পড়তে হবে। সানা পড়ুন-
সানা “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা বিহামদিকা
ওয়াতা ওয়া রাকাসমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা
ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক”
সানা পড়ার পর সূরা ফাতিহা পড়ুন এবং যে কোন একটি সূরা তিলায়াত করুন ।
তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকুতে যান। রুকুতে দুই হাত হাটুতে থাকবে।
রুকু করার সময় “সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম” তিনবার পড়তে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন।
“সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলে রুকু থেকে উঠে “রাব্বানা লাকাল হামদ” বলে নিচের চিত্রের মত করে সিজদায় যান।
সিজদায় থাকা আবস্থায় ৩ বার “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” পড়বেন।
৩ বার “সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা” তারপর সিজদা থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে উঠে বসবেন
এবং আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দ্বিতীয় সিজদায় ফিরে যাবেন এবং একইভাবে তাসবীহ (সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা) পাঠ করবেন। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ হলো।
দ্বিতীয় রাকাতও একইভাবে আদায় করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে দই সিজদা পরে উঠে বসে তাশাহহুদ পড়তে হবে।
তাশাহহুদ “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ছিল সালাওয়াতু ওয়াত তাইয়িবাতি
আসসালামুয়ালাইকা আইয়ুহান নাবিয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আসসালামুয়ালাইনা আ’লা ইবাদিল্লাহিস সুয়ালীহিন,
আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ”
খ: “আশহাদু আল্লাহ ইলাহা” বলার সময় ডান হাতের শাহাদাত আঙুল (বুড়ো আঙুলের পরের আঙুলটি) উঠাতে হবে। নিচের চিত্রটি দেখুন
অতঃপর আবার উপরে উঠে বাকি দুই রাকাত সালাত আদায় করতে হবে।
এভারে ৪ রাকাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দরূদ শরীফ ও দুয়া মাসুরা পাঠ করতে হবে।
উপরে দেওয়া উচ্চারনের মত করে তাশাহহুদ পাঠ করবেন, অতপর নিচের উচ্চারনের মত করে দরূদ শরীফ পাঠ করবেন।
দরূদ শরীফ “আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মাদ
কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিম ওয়ালা আলী ইব্রাহিম ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।
আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলী মুহাম্মাদ
কামা বারাতকা আলা ইব্রাহিম ওয়ালা আলী ইব্রাহীম
ইন্নিকা হামিদুম্মাজিদ।
দরূদ শরীফ পাঠি করার পড়ে এবার নিচের উচ্চারনেম মত করে দুআ মাসুরা পাঠ করতে হবে।
দুয়া মাসুরা “আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি
জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনুবা
ইল্লা আনতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম
মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা
আনতাল গাফুরুর রাহীম।”
এরপর সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করুন। নিচের চিত্র দেখুন।
এভাবে এশার চার ও দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ সহ সকল নামাজ শেষ করুন।
এশার মাকরূহ সময় জেনে নিন
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মধ্যরাতের পর এশার পড়া মাকরূহ। রোগীর সেবা শরীয়া অনুমোদিত চাহিদার মধ্যে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে ওয়াজ মাহফিল বা এমন প্রয়োজনে মাকরূহ বলে গণ্য হবে । তাই ওয়াজ মাহফিলেও যথাসময়ে এশার নামাজ আদায় করা জরুরি। (আল-বাহরুর রাইকঃ ১/৪৩১)
আমাদের কথা
আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করি আমাদের পাঠকদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। যদি কোন কারনে আমাদের কোন প্রকাশ ভূল পরিলক্ষিত হতে থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের জানাবেন আমরা তা সংশোধন করে নিব।
যদি কোন জোরের (অজুহাত, ছল, আপত্তি) কারণে দেরী হয়ে যায়, রাত ১২টার পর এশার নামায পড়তে পারেন। ফজর পর্যন্ত জায়েজ।
1 thought on “এশার নামাজ কয় রাকাত নিয়ত সূরা”