আমরা প্রায় সকলেই আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানি। কিন্তু হয়ত অনেকেই এই নিয়মটি সঠিকভাবে মনে রাখতে পারিনি বা ভূলে গেছি। আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম আমাদের স্কুল জীবনে আমরা শিখেছি। বাংলা পরীক্ষায় আমাদের আবেদন পত্র বা দরখাস্ত, চিঠি লিখতে হয়েছে আমাদের সবাইকে।
বাস্তব জীবনেও অনেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লিখেছেন। আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি। যদিও আমরা প্রায় সবাই এটি সম্পর্কে জানি।
না জানলে জানতে সমস্যা কোথায়! আর যদি ভুলেই থাকেন তাহলে এই লেখাটি পড়ে সম্পুর্ন আপনার জন্য।
আবেদন পত্র বা দরখাস্ত উভয়ই একই জিনিস। কেউ এটিকে দরখাস্ত এবং কেউ এটিকে আবেদনপত্র বলে। বর্তমান প্রযুক্তিতে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত ব্যবহার অনেক কমে গেছে। বেশিরভাগ সময় ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করা হওয়ায়।
কিন্তু, ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করলেও, কাগজের আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম এবং ইমেলের মাধ্যমে লেখা আবেদন প্রায় একই। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারি না।
যেমন স্কুল ছুটির জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, স্টাডি ট্যুরের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ইত্যাদি। তবে, বর্তমানে চাকরির আবেদন বেশিরভাগই ইমেলের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়।
এরপরও যা ভূলে গেছি তা যেনে নিতে দোষ নেই তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাই..
দরখাস্ত লেখার নিয়ম
আবেদন পত্র বা দরখাস্ত সবসময় সুন্দর, বোধগম্য, সাধু ও মধুর ভাষায় লিখতে হবে এবং এর পাশাপাশি ভাষাগত ত্রুটিগুলোও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অসম্পূর্ণ এবং ভাষাগতভাবে ত্রুটিপূর্ণ আবেদন পত্র প্রায়ই মূল উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করে।
অন্যদিকে, একটি সুন্দর, নির্ভুল, সুলিখিত আবেদন কর্তৃপক্ষের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে এবং প্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা, শিক্ষা এবং আগ্রহের উচ্চ মতামত বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অতএব, যেকোন আবেদন পত্র বা দরখাস্তে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য থাকতে হবে। আবেদনপত্র লেখার সময় নিম্নলিখিত দিকগুলো বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
বিষয়ের উপর নির্ভর করে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম ভিন্ন হলেও কিছু বিষয় মোটামুটি একই থাকে। এই অনুসারে মূলত একটি আবেদনপত্র বা বাংলা আবেদন লিখতে হয়। যেমন-
১। প্রাপকের নাম, পদবি এবং ঠিকানা (যার কাছে আবেদন করতে হবে) লিখতে হবে।
২। বিষয়: তারপর আবেদনপত্রের বিষয় লিখুন।
৩। অভিবাদন: তারপর অভিবাদন লিখুন যেমন স্যার, জনাব/ জনাবা ইত্যাদি।
৪। আবেদনের উৎস: তারপরে আবেদনপত্রের আবেদনের উৎস সংক্ষিপ্ত এবং কাঠামোগতভাবে বর্ণনা করা উচিত।
৫। বাধ্যতামূলক তথ্য: আবেদনকারীর পুরো নাম, পিতামাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ইত্যাদি।
৬। অতিরিক্ত তথ্য: যেকোনো উচ্চতর ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ কোর্স বা প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
৭। নিবেদক: তারপর আপনাকে নিচে বিনীত/ইতি লিখে আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা দিতে হবে।
৮। সংযুক্তি: আবেদনের শেষে যা কিছু সংযুক্ত করা হয়েছে তা আবেদনে উল্লেখিত তথ্যের প্রামাণ্য প্রমাণ হিসেবে।
অবশেষে, আপনাকে আবেদনের সঠিক তারিখ দিতে হবে (আপনি যে তারিখে আবেদনপত্র জমা দেবেন সেই তারিখ দেওয়ার চেষ্টা করুন)। কেউ কেউ তারিখটাও উপরে রাখেন এতেও ভূল হবে না আপনি চাইলে উপরেও দিতে পারেন। যেমনটি আমরা উপরে দিয়ে দেখিয়েছি।
দরখাস্ত লেখার নিয়ম ছবি সহ
১। প্রাপকের নাম এবং ঠিকানা: প্রাপকের নাম, শিরোনাম বা নিয়োগকর্তার নামের বানান সঠিকভাবে লিখতে হবে এবং ঠিকানাটি অবশ্যই সঠিক হতে হবে। কখনও কখনও ঝামেলা এড়াতে বা গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য পোস্ট বক্স বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। উদাহরণ স্বরূপ –
২। বিষয়: এই অংশে বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। আবেদন পত্র বা দরখাস্ত মূল বিষয়টি সরল ভাষায় বলা প্রয়োজন যাতে কর্তৃপক্ষ সহজে বুঝতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ নিচের ছবিটি দেখুন –
৩। অভিবাদন: আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জনাব/ জনাবা মহাত্মান, স্যার ইত্যাদি।
৪। আবেদনের উৎস: সাধারণত, সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাকরির নিয়োগ সম্পর্কে জানা যায়। তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার উৎস উল্লেখ করে অথবা নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করে আবেদনপত্রের বিবৃতি শুরু করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন-
৫। বাধ্যতামূলক তথ্য: আবেদনকারীর পুরো নাম, পিতামাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্ম তারিখ, নাগরিকত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ ইত্যাদি নিচের ছবির মত করে যথাযথভাবে আবেদনপত্রে লিখতে হবে।
৬। অতিরিক্ত তথ্য: যেকোনো উচ্চতর ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ কোর্স বা প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
৭। নিবেদক: তারপর আপনাকে নিচে বিনীত/ইতি লিখে আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা দিতে হবে। তবে চাকুরীর আবেদনের ক্ষেত্রে ঠিকানা দেওয়ার প্রয়োজন নেই এখানে নিখুত ভাবে স্বাক্ষর দিতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন-
৭। সংযুক্তি: আবেদনের শেষে যেকোন কিছু সংযুক্ত করা হয়েছে যা আবেদনে উল্লেখিত তথ্যের দালিলিক প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। যেমন বিভিন্ন পরীক্ষায় পাসের সনদের ফটোকপি, ফি প্রাপ্ত নম্বর, প্রশংসাপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, সত্যায়িত ছবি ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। কি কি নথি দেওয়া হয়েছে তা ক্রমানুসারে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। নিচের ছবি দেখুন-
এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করে একটি আবেদনপত্র লিখতে হবে। কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকলে, আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। তাই সঠিক ভাবে আবেদন পত্র লিখতে হবে যাবে কোন প্রকার ক্রটি না থাকে।
চাকুরীর আবেদন পত্র pdf
উপরে উল্লেখিত ছবি গুলোর মূল pdf ফাইলটি নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউলোড করে নিতে পারবেন। এবং সেই ফাইল ব্যবহার করে পরবর্তিতে আপনার প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারবেন।
ফাকা ফরম Microsoft Office Word ফাইল ডাউনলোড করতে পারে যেটা পূরন করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নমুনা
আসুন এবার আবেদন পত্র বা দরখাস্ত সম্পুনর্ নমুনইট দেখে নেই-
এখান থেকে শুরু
চাকরির আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
তারিখঃ ০৬/১১/২০২৩-ইং
বরাবর,
নির্বহী পরিচালক, মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস),
২৯, পশ্চিম পান্থপথ (৪র্থ তলা),
ঢাকা -১২০৫।
বিষয়ঃ “কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার (সিডিও)” পদে চাকুরীর জন্য আবেদন।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, গত ২৮/১০/২০২৩ ইং তারিখে “দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার অধীনে “কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার (সিডিও)” পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসাবে নিজের আমার জীবন বৃত্তান্ত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ পেশ করিলাম।
১। পদের নামঃ “কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার (সিডিও)”
২। প্রার্থীর নামঃ সনাতন রায়
৩। পিতার নামঃ দিনেশ চন্দ্র রায়
৪। মাতার নামঃ সাবিত্রী রানী
৫। জন্ম তারিখঃ ২০/১০/১৯০০
৬। লিঙ্গঃ পুরুষ
৭। বৈবাহিক অবস্থাঃ অবিবাহিত
৮। স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ হংসরাজ, ডাকঘরঃ শেওটগাড়ী,
উপজেলাঃ ডোমার, জেলাঃ নীলফামারী।
৯। বর্তমান ঠিকানাঃ গ্রামঃ হংসরাজ, ডাকঘরঃ শেওটগাড়ী,
উপজেলাঃ ডোমার, জেলাঃ নীলফামারী।
১০। মোবাইল নম্বরঃ ০১৭৭xxxxxxxxx
১১। ধর্মঃ হিন্দু
১২। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী
১৩। জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরঃ ১৯৯৪xxxxxxxxxxxxx
১৪। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
ক্র নং | পরীক্ষার নাম | বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় | বিভাগ/বিষয় | প্রাপ্ত বিভাগ/জিপিএ | পরীক্ষা পাসের সন |
১ | এসএসসি | দিনাজপুর | মানবিক | ৪.৫০ | ২০১১ |
২ | এইচএসসি | দিনাজপুর | মানবিক | ৪.৫৬ | ২০১৩ |
৩ | স্নাতক সম্মান | জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় | বাংলা | ৩.০১ | ২০১৭ |
অতএব বিধায় প্রার্থনা আমার উপরোক্ত তথ্যাদি সু-বিবেচনা করে আমাকে উক্ত পদে নিয়োগ দান করতে জনাবের সদয় মর্জি হয়।
নিবেদক
(সনাতন রায়)
সংযুক্তিঃ
১। সকল শিক্ষাগত সনদের ফটোকপি।
২। জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
৩। পাসপোর্ট সাইজের ছবি ২ কপি।
৪। নাগরিকত্ব সনদ।
এখানে শেষ
আরও পড়ুনঃ
- জীবন নিয়ে উক্তি-জীবন নিয়ে কিছু কথা
- ইংরেজি থেকে বাংলা ডিকশনারী-English to Bangla Dictionary
- ইংরেজিতে কথা বলার সহজ উপায়
- মৃত বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস
আশা করি এর পর থেকে আপনি সুন্দর ভাবে যে কোন সংস্থায় বা কোম্পানিতে আবেদন করতে হলে তা এই নমুনা থেকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনপত্রের প্রয়োজনীয়তা
আবেদন লেখার প্রয়োজনীয়তা আসলেই বাংলা ২য় পত্র কথা মনে পরে। কারণ প্রায় প্রতিটি শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্রে আবেদনের বিষয় থাকে। এছাড়াও অফিস, কোর্ট, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লিখতে হয়। সেটা কাগজে হোক বা ইলেকট্রনিকভাবে হোক।
আবেদনপত্র বিভিন্ন ধরনের হয় যেমন অভিযোগপত্র, সার্টিফিকেশন লেটার, পিটিশন। সংক্ষেপে, একটি আবেদন একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অনুরোধ বলা চলে। জেনে নেওয়া চলুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন ধরনের আবেদনপত্র লেখার নিয়ম নমুনা –
অসুস্থতার জন্য ছুটির আবেদন পত্র
অসুস্থ কারনে ছুটি মঞ্জর করার জন্য কীভাবে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি আবেদনপত্র লিখতে হয় তার একটি উদাহরণ নীচে দেখানো হয়েছে।
তারিখ: ২২/১২/২০১৩
মাননীয় প্রধান শিক্ষক
ঝাড়গ্রাম কুমোদ কুমারী ইনস্টিটিউশন,
ঝাড়গ্রাম, পাবনা।
বিষয়: পাঁচ দিনের ছুটি মঞ্জুর করার আবেদন।
স্যার/জনাব.
সবিনয় বিনীত নিবেদন যে, আমি, জনাব সুমন চৌধুরী, আপনার স্কুলের নবম শ্রেণীর “ক” বিভাগের ছাত্র। আমি গত পাঁচ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় (জ্বর) ভুগছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমার একটু বিশ্রাম দরকার। তাই গত ১১ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন স্কুলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। আমি আন্তরিক ভাবে অনুরোধ আপনি দয়া করে আমার উল্লিখিত পাঁচ দিনের ছুটি মঞ্জুর করুন।
নিবেদন ইতি – বিনীত
শ্রী সুমন চৌধুরী
শ্রেণী: “নবম”
বিভাগ: “ক”
আরও পড়ুনঃ
- আপোষ নামা লেখার নিয়ম
- টাকা নিয়ে উক্তি বাংলা ও ইংরেজি
- বাংলাদেশের আয়তন কত ১৪৬৫৭০ অথবা ১৪৯২১০
- উপকারীর অপকার করে যে
স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র লেখার নিয়ম
তারিখ: ২২/১২/২০২৩
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল
মিরপুর, ঢাকা।
বিষয়: স্কুলে ভর্তির আবেদন।
স্যার,
যথাযথ সম্মানের সাথে, আমি এতদ্বারা ঘোষণা করছি যে আমি বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। সম্প্রতি আমার বাবার কর্মস্থল বগুড়া সদর থেকে ঢাকায় বদলি হয়েছে। আমি আমার পরিবারের সাথে থাকি. তাই আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ঢাকার যেকোনো স্কুলে ভর্তি হওয়া অতিব জরুরী।
অতএব, আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমার অবস্থা বিবেচনা করে, দয়া করে আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দিন।
আপনার একান্ত বাধ্যগত
শাহরিয়ার খান শাওন
বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল
ক্লাসঃ ৭ম
রোল নং: ০৫
ছাড়পত্রের জন্য আবেদনপত্র লেখার নিয়ম
তারিখ: ২২/১২/২০২৩
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বরগুনা সদর, বরগুনা।
বিষয়: ছাড়পত্রের জন্য আবেদন।
স্যার,
যথাযথ সম্মানের প্রদর্শন নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের ৭ম শ্রেনীর একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী। সম্প্রতি আমার বাবার কর্মস্থল বরগুনা সদর থেকে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় বদলি হয়েছেন। এমতাবস্থায় আপনার বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দরকার।
অতএব, স্যারের কাছে একটি জরুরী অনুরোধ এই যে আপনি আমার উল্লিখিত সমস্যার বিবেচনায় আমাকে একটি ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আপনার বরাবরে সদয় অনুরোধ করছি।
বিনীত নিবেদক
তোমার একনিষ্ঠ ছাত্র
শাহরিয়ার তানজিদ শাওন
৮ম শ্রেনী
রোল নং ১০
শাখা: ক
কিছু কথা
আজকে আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই এখন আপনারা যে কোন আবেদন পত্র লিখতে পারবেন। আমরা এখানে নমুনা পিডিএফ ফাইলও শেয়ার করেছি যাতে সহজে বুঝতে পারেন। আজকের মত বিদায় কথা হবে নতুন কোন বিষয়ে নতুন কোন পোস্টে, উপকৃত হলে সোস্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভূলবেন না। ধন্যবাদ