আপোষ নামা: বিরোধ নিষ্পত্তি বা একটি বিষয় মীমাংসার জন্য, অনেকে সমঝোতার পথ বেছে নেয়। মধ্যস্থতায় বিরোধ নিষ্পত্তি বা কোনো আইনি বিষয় নিষ্পত্তির একটি কার্যকর উপায়। কারণ এটি করলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি এড়ানো যায়। আবার আদালতের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় স্বস্তি মিলে। প্রচলিত আইন তাই আপোষ নিষ্পত্তির উপর বেশি জোর দেয়। সমঝোতা নিষ্পত্তি করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে আপোষ নামার পথে চলতে হবে।
মামলা মোকদ্দমা হয়ে থাকে অন্যায় ও অপরাধের প্রতিকারের জন্য । ভূল বুঝা বোঝির কারনে সৃষ্টি কোন মোকদ্দমা বা মামলা যা পরবর্তীতে নিজের ভূল বুঝতে পেরে সেই মামলার অপোষ নিস্পত্তি করা যায়, তবে কিছু মামলা আছে যা সবকিছুর বিরুদ্ধে যেমন -খুন,ডাকাতি ইত্যাদি । এসব মামলা আদালতের বাইরে নিস্পত্তির কোন সুযোগ নেই । তবে ছোট খাটো অপরাধের আসামি যদি অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং কৃত অপরাধের প্রতিকার দিতে পারে তবে বাদি পক্ষ আসামির সাথে আপোষ নিস্পত্তি করতে পারেন । এক কথায় ছোট অপরাধের অভিযুক্ত যদি অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং সংঘটিত অপরাধের জন্য সংশোধন করতে পারে তবে বাদী অভিযুক্তের সাথে আপোষ মীমাংসা করতে পারে। আর এই আপোষ মীমাংসার দলিলটির নামেই হলো আপোষ নামা।
মামলা আপোষ নামা ফরমেট
আপনি যদি আপোষ নামা লেখার জন্য সঠিক নিয়ম বা ফরমেট খোজ করে থাকে তাহলে আপনি সঠিক যায়গায় এসেছেন শুরুতেই বলে রাখি আপোষ নামা লেখার জন্য আপনি একজন আইনজীবি হেয়ার করতে পারেন বা কোন এ্যাডভোকেট এর সাহায্য নিতে পারেন। কারন লেখার কোন প্রকার ভূল করলে সেই আপোষ নামা দলিলটি বেকার হয়ে যাবে অর্থাৎ সেই দলিলটি বিচারিক আদালতে দাখিল করার অনুপোযুক্ত হতে পারে। তাই ক্ষতি এরাতে আমরা সাজেষ্ট করব আপোষ নামা একজন আইনজীবি দিয়ে করানোই ভালো। ডেমো ফরমেট ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এবার মূল আলোচনায় আসি..
আজকে আমরা আপনাকে দেখাবে কিভাবে একটি আপোষ নামা তৈরী করবেন। তার আগে যেনে নেই
আপোষ নামা কি?
আপোষ নামা হলো কোন ব্যক্তির সাথে ভূল বুঝা বোঝির কারনে সৃষ্টি কোন মোকদ্দমা বা মামলা যা পরবর্তীতে নিজের ভূল বুঝতে পেরে সেই মামলার অপোষ নিস্পত্তি করার জন্য যেই দলিল বা কাগজ তৈরী করা হয় তাকে আপোষ নামা বলে।
আপোষ নামা লেখার নিয়ম
এখানে আমরা একটি মামলার আপোষ নামা লিখে আপনাদের দেখানোর চেষ্ট করেছি। এবং নিচে আমরা সেই ফাইলটি পিডিএফ Pdf এর ফরমেট ডাউনলোডের জন্য লিংক দিয়েছি ।
স্থানীয় আপোষ নামাঃ-
তাং- ০৪/০৮/২০২২ ইং
সূত্র- সি.আর- ২৭/২২ (ডোমার)
ধারা- ৪২০, ৪০৬, ৫০৬ (২)
১ম পক্ষ
১। মোঃ ফকির মিয়া
পিতা- রেরাজুল হক
সাং- চিকনমাটি
ডাক্ও উপ: ডোমার, জেলা: নীলফামারী।
২য় পক্ষ
১। মোঃ আমিনুর ইসলাম
পিতা- অনসার আলী
সাং- পশ্চিম হরিণচড়া
ডাকঘর: শেওটগাড়ী
উপ: ডোমার, জেলা: নীলফামারী।
অদ্য ০৪/০৮/২০২২ ইং তারিখ সূত্রে বর্নিত বিষয় লইয়া পক্ষদযের মধ্যে যে বিরোধ হয় তাহা স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ ও পক্ষদয়ের আত্মীয় স্বজন আপোষ মিমাংশার জন্য নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলাধীন সোনায়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব, লিটন চৌধুরী মহদয়ের নিকোট শালীশ বৈঠোকে মিলিত হয়। পক্ষদয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলিতে থাকিলে পক্ষদয় ব্যপক ক্ষতি সাধন হইবেন এই বিষয়ে বিবেচনা করিয়া পক্ষদয়ের মধ্যে সূত্রে বর্নিত বিরোধ নিন্ম লিখিত শর্ত সাপেক্ষে আপোষ করিয়া দেন। পক্ষদয় তাহা মানিয়া লয়।
অথবা
অন্য ভাবে লিখতে চাইলে এভাবে লিখতে পারেন
(আমরা উপরোক্ত পক্ষদয় পরস্পর একই জ্ঞাতিগোষ্টি সু-সম্পর্ক ব্যক্তি বটে। আমাদের ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষের মধ্যে জমি জায়গা ও তৎসম্পর্কিত বিবাদ এর কারনে ১ম পক্ষের মোঃ মোঃ ফকির মিয়া, ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডোমার থানা মামলা নং ……. মামলার প্রেক্ষাপটে আমাদের উভয়পক্ষের মধ্যে যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে তা চলমান থাকলে আমরা উভয় পক্ষই অযথা অকারনে সিমাহীন হয়রানি, আর্থিক খরচান্তর মানষিক ও পারিবারিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ’ হব এবং আমাদের ও আমাদের উত্তরশুরীদের মধ্যে শত্রুতা ও তিক্ততা বৃদ্ধি পাবে। তাই আমাদের ও আমাদের উত্তরশুরীদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি এবং শত্রুতা ও তিক্ততা বিহীন শান্তি শৃঙ্খলাপূর্ন সামাজিক জীবন নিশ্চিতের লক্ষে ¯’ানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যাস্ততায় আমরা আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সকল বিরোধ ও ভুল বোঝাবুঝি গত ……….. ইং তারিখে নিন্ম লিখিত শর্তানুযায়ী আলোচনা অন্তে আপোষ মিমাংশা করেছি। এবং আমার উভয় পক্ষ উক্ত আপোষ মিমাংসা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছি)
“শর্ত সমূহ”
১. ১ম পক্ষদয় পূর্বের ন্যায় শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করিব কেহ কাহারো বিরুদ্ধে উসকানী মূলক কথা বার্তা বা হয়রানী মূলক কোন মিথ্যা মোকদ্দমা আনায়ন করিবেন না।
২. ১ম পক্ষ ২য় পক্ষের নিকোট হইতে উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সমুক্ষে সমুদয় পাওয়া টাকা বুঝিয়া পাইয়াছেন ।
৩. ১ম পক্ষ তাহার দায়েরকৃত সি.আর- ২৭/00 (ডোমার) নং মোকদ্দমা নিজ খরচে প্রত্যাহার করিয়া লইবেন।
৪. ২য় পক্ষ সি.আর- ২৭/২২ (ডোমার) নং মোকদ্দমারদায় হইতে অব্যাহতি বা খালাস পাইলে ১ম পক্ষে কোন আপত্তি থাকিবে না।
৫. ২য় পক্ষ ১ম পক্ষে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে কোন মোকদ্দমা আনায়ন করিবেন না।
৬. পক্ষদয় নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ব ভাবে বসবাস করিবেন।
৭. অত্র আপোষনামা পক্ষদয়ের আপোষের প্রামান্য দলিল হিসাবে সর্বাদালতে গ্রহনযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হইবে।।
অত্র আপোষনামায় উল্লিখিত যাবতীয় শর্তাদী নিজে পড়িয়া, অন্যের দ্বারা পড়াইয়া শুনিয়া যথা যথ ভাবে পালন করার অঙ্গিকারে স্বক্ষরকারী স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর করিয়া অত্র আপোষ নামায় সম্পাদন করিলাম।
উপস্থিত স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষর
১।
২।
৩।
৪।
৫।
এভাবে যতজন স্বাক্ষী হবে ক্রমিক নং তৈরী করে স্বাক্ষরের জায়গা তৈরী করতে হবে।
১ম পক্ষের স্বাক্ষর
১।
২য় পক্ষের স্বাক্ষর
১।
আরও পড়ুনঃ
- জমির দলিল ও জমি জমা সংক্রান্ত তথ্য
- জমি বেদখল হলে করনীয় কি
- জমি ক্রয় বিক্রয়-জমি ক্রয়ের নিয়ম
- জাল দলিল চেনার উপায়
- কিভাবে অনলাইনে জমির খতিয়ান/পর্চা পাবেন
আপোষ নামা ফরমেট pdf
আপোষ নামা ফরমেট pdf ফাইল ডাউলোড করতে করতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন
কোন মামলার আপোষ করা যায়
মামলা চলাকালীন আপেষ নামা
কোনো বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমা হলে তা চলমান অবস্থায় সমঝোতার মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ থাকে। বিশেষ করে দেওয়ানি প্রকৃতির সব ধরনের মোকদ্দমায়। বর্তমান দেওয়ানি আইনে সমঝোতার মাধ্যমে এই মীমাংসা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উভয় পক্ষ আদালতে হাজির হওয়ার পর, আদালতের অনুমতি নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। এমনকি আপিলেও এই সুযোগ রয়েছে। একে বলা হয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি।
দেওয়ানী কার্যবিধিতে সমঝোতার মাধ্যমে আদালত থেকে ডিক্রি পাওয়ারও বিধান রয়েছে। যে কোনো সময় আদালতে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে এবং নিষ্পত্তি চাওয়া যেতে পারে। একে আইনী ভাষায় সোলিমুল সেটেলমেন্ট বলা হয়।
পারিবারিক আদালতে সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে, প্রথমবার বিচার শুরুর আগে এবং দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণার আগে। সলিমুল মীমাংসার জন্য, উভয় পক্ষই কার্টিজ পেপারে নিষ্পত্তির বিভিন্ন শর্ত লিখতে এবং তাদের আইনজীবীদের স্বাক্ষরের অধীনে আদালতে জমা দিতে সম্মত হয়ে আপোষ করা যায়।
আদালতে দাখিল করার পর তারা নিজেরাই আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেন আপস করেছেন। এরপর আদালত এই আপোষনামাকে রায়ের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। আদালতে আপোষ করে নিষ্পত্তি হয়ে গেলে এর বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না। অর্থ-ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আপোষের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলায় আপোষও সম্ভব। তবে গুরুতর অপরাধের ফৌজদারি মামলায় আপোষ করা যাবে না।
আদালতের বাইরে আপেষ নামা/মামলা নিষ্পত্তি
আদালতে না গিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। এ জন্য তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আপোষ নামার শর্তাবলী লিখে স্বাক্ষর করতে হবে। হলফনামা লেখার সময় সাক্ষী রাখতে হবে এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষরও রাখতে হবে। এই আপেষ নামা প্রয়োজনে নোটারি ভিত্তিতে করা উচিত। পরিবার, ব্যবসা, জমি যে কোনো বিষয়েই আপেষ নামা করা যায়।
পিতামাতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির বণ্টন সমঝোতার মাধ্যমে করা যেতে পারে। এটাকে ডিড অফ ডিস্ট্রিবিউশন বলে। তবে বন্টন দলিলের নোটারাইজেশন করা হবে না। এই নথিটি অবশ্যই সাবরেজিস্ট্রির মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে।
লেখার এই অংশটাকা Latif & Associates ফেশবুক পেজ থেকে সংগ্রহ করে হয়েছে
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫ (১) ধারা অনুসারে আদালতের বিনা অনুমতিতে যে সব মামলার আপোষ করা যায় তা হল ঃ দণ্ডবিঁধি অনুযায়ী সংঘটিত
অপরাধ ঃ
১। ২৯৮ ধারা -ইচ্ছা কৃতভাবে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা ।যার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন।
২। ৩২৩,৩৩৪ ধারা । মারধর করা বা আঘাত দেয়া ।যাকে মারধর করা বা আঘাত দেয়া হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
৩। ৩৪১-৩৪২ ধারা ,অন্যায়ভাবে বাঁধা দেয়া বা আটক করা ।যাকে আটক বা বাঁধা দেয়া হয়েছে তিনি ।
৪। ৩৫২,৩৫৫,৩৫৮ ধারা আকস্মিক আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগ। যাকে আক্রমণ বা বল প্রয়োগ করা হয়েছে তিনি ।
৫। ৩৭৪ ধারা বেআইনি ও বাধ্যতামুলকভাবে শ্রমে নিয়োগ ।যাকে শ্রমে নিয়োগ করা হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
৬। ৪২৬-৪২৭ ধারা ,কারো ক্ষতি সাধন করা ।যার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে তিনি ।
৭। ৪৪৭ ধারা ,অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ । সম্পত্তির দখলকার আপোষ করতে পারেন ।
৮। ৪৪৮ ধারা ,কারো গৃহে অনধিকার প্রবেশ ।গৃহের দখলকার আপোষ করতে পারেন।
৯। ৪৯১ ধারা ,অপরাধমূলক চুক্তি ভঙ্গ করা ।যার সাথে চুক্তি করা হয়েছিলো তিনি আপোষ করতে পারেন ।
১০। ৪৯৭ ধারা , ব্যাভিচারে লিপ্ত হওয়া ।স্ত্রী লোকটির স্বামী বা অভিভাবক আপোষ করতে পারেন ।
১১। ৪৯৮ ধারা ,অবৈধ যৌন সহবাসের উদ্দেশে নারী অপহরণ ।স্ত্রী লোকটির শামী বা অভিভাবক আপোষ করতে পারেন ।
১২। ৫০০-৫০২ ধারা , কারো মানহানি করা ।যার মানহানি হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
১৩। ৫০৪, শান্তি ভঙ্গে উস্কানি দেয়ার উদ্দেশে অপমান করা ।যাকে অপমান করা হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
১৪। ৫০৬,অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন করা । যাকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
১৫। ৫০৮, বিশ্বাসে প্ররিচিত করা ।যাকে প্ররোচিত করা হয়েছে তিনি আপস কপ্রতে পারেন।
অন্যদিকে ,৩৪৫(২) ধারা অনুসারে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেসব অপরাধের মামলা আপোষ করা যায় ঃ
১। ১৪৭ ধারা, দাঙ্গা বাধানো বা দাঙ্গা করা । দাঙ্গার ফলে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি আপোষ করতে পারেন ।
২। ১৪৮ ধারা , অসরোসসরে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা করা ।যিনি ক্ষতিগ্রোসতো হয়েছেন তিনি আপোষ করতে পারেন ।
৩। ৩২৪ ধারা, মারাত্মক অসরো দ্বারা আঘাত করা । যাকে আঘাত করা হয়েছে সে আপোষ করতে পারে ।
৪। ৩২৫ ধারা ,মারাত্মক অসরো দ্বারা গুরুতর আঘাত করা । যাকে আঘাত করা হয়েছে সে আপোষ করতে পারে ।
৫। ৩৩৫ ,৩৩৬ ধারা ,আকস্মিক উত্তেজনার ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করা যা জীবন বিপন্ন করতে পারে ।যাকে আঘাত করা হয়েছে সে ।
৬। ৩৩৭-৩৩৮ ধারা কারো বেকটিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করতে পারে অবহেলার সাথে আঘাত করা ।যার নিরাপত্তা বিপন্ন করা হয়েছে বা আঘাত করা হয়েছে তিনি আপোষ করতে পারেন ।
৭। ৩৪৩ ধারা ,তিন বা ততোধিক দিন কোন লোককে বেআইনিভাবে আটক রাখা ।আটককৃত বেকটি আপোষ করতে পারেন ।
৮। ৩৪৬ ধারা ,গোপন স্থানে অবৈধ আটকবানকে আটক বা অবরোধ করা হয়েছে সে আপোষ কোরতে পারেন ।
৯। ৩৪৭ ধারা ,অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেআইনি আটোক। যাকে আটক করা হয়েছে সে আপোষ করতে পারেন ।
১০। ৩৪৮ ধারা ,ভঁয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় বা সম্পত্তি ফেরত দিতে বাধ্য করার জন্য অন্যায়ভাবে আটক ।যাকে আটক করা হয়েছে সে আপোষ করতে পারে ।
১১। ৩৫৬ ধারা চুরির উদ্দেশে অপরাধমূলক বল প্রয়োগ । যার উপর বল প্রয়োগ করা হয়েছে সে ।
১২। এভাবে , ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫(২) ধারা অনুসারে দণ্ডবিধির ৩৫৭,৩৭৯-৩৮০,৩৮১,৪০৩,৪০৬-৪০৮,৪১১,৪১৪,৪১৭-৪২০,৪২১-৪২৪,৪২৮, ৪২৯,
৪৩০,৪৫১,৪৮২,৪৮৩,৪৮৬,৪৯৩,৪৯৪,৫০৯ এবং ৫১১ ধারায় সংঘটিত অপরাধের মামলা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আপোষ করা যেতে পারে ।
কেবলমাত্র ক্ষতি গ্রস্থ ব্যক্তি বা যার বা যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করা হয়েছে তারাই মামলা আপোষ করতে পারেন । পক্ষদ্বয়ের যৌথ সাক্ষরে আপোষনামা আবেদনের সাথে আদালতে পেশ করতে হোবে । আপোষ আবেদনে বাদীর স্বাক্ষর নালিশে প্রদত্ত স্বাক্ষরের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ।জি আর মামলার আপোষ আবেদন কোর্ট ইনসপেকটরের মাধ্যমে পেশ করতে হবে।
আদালত প্রয়োজন মনে করলে আবেদন কারীর জবানবন্দি আবেদনের উল্টো পিঠে রেকর্ড করবেন । আপোষের অনুমতি দেয়ার কারণ আদেশনামায় লিপিবদ্ধ করে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করবেন এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৫(৬) উপ ধারা অনুসারে আসামীকে খালাস দিবেন ।মামলার রায় ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত আপোষের আবেদন মঞ্জর করা যায় ।
আরও পড়ুনঃ
- টাকা নিয়ে উক্তি বাংলা ও ইংরেজি
- আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি কি
- ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
আপোষ নামা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাস্য
অপোষ নামা হল কোন ব্যক্তির সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সৃষ্ট মামলা জরিয়ে পরলে এবং পরে ভুল বুঝতে পেরে মামলা নিষ্পত্তির জন্য যে দলিল বা কাগজ প্রস্তুত করা হয় তাকে অপোষ নামা বলে।
আপোষ নামা হলো কোন ব্যক্তির সাথে ভূল বুঝা বোঝির কারনে সৃষ্টি কোন মোকদ্দমা বা মামলা যা পরবর্তীতে নিজের ভূল বুঝতে পেরে সেই মামলার অপোষ নিস্পত্তি করার জন্য যেই দলিল বা কাগজ তৈরী করা হয় তাকে আপোষ নামা বলে।
আপোষ নামায় উভয় পক্ষের নাম ঠিকানা এবং ভূল বুঝা বোঝির কারনে সৃষ্টি মোকদ্দমা বা মামলা যা পরবর্তীতে নিজের ভূল বুঝতে পেরে তা বিস্তারিত লিখতে হয়। আমাদের আপোষ নামা লেখার নিয়ম আর্টিকেল টি পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারেবেন।
আমাদের কথা
আশা করি আজকে আর্টিকেলে আপেষ নামা বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা পেয়েছেন। এবং আপনি চাইলে আমাদের দেখানো ডেমো আপোষ নামা টি ডাউনলোড করে আপনার মত করে পরিবর্তন করেও ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের লেখায় যদি কোন ভূল ভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অনুগ্রহ হরে আমাদের জানান আমরা তা সংশোধন করে নিব ধন্যবাদ।