যমজ নবজাতকের যত্ন

২০ বছর ধরে একসঙ্গে যমজ বা তারও বেশি সন্তানের জন্মদানের (মাল্টিপল বার্থ) এর হার বাড়ছে। তাই এ বিষয়ে সঠিক ধারনা থাকা জরুরী। মনে রাখতে হবে একাধিক সন্তান প্রসব নানা ঝুঁকি তৈরি করে। এসব নবজাতক ৩০ শতাংশ কম ওজন নিয়ে (১ হাজার ৫০০ গ্রামের কম) জন্মায়। এদের যথাযথ পরিচর্যার বিষয়ে মা-বাবার ধারণা থাকা দরকার।

প্রতি ৯০টি গর্ভধারণে একটি যমজ, প্রতি আট হাজার গর্ভধারণে একসঙ্গে তিন সন্তান এবং প্রতি সাত লাখ গর্ভধারণে একসঙ্গে চার সন্তানের ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে একসঙ্গে তিন বা তারও বেশি সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গর্ভধারণে ওষুধ ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বেশি বয়সে মায়ের গর্ভধারণ এর প্রধান কারণ। এর ফলে বর্তমানে একসঙ্গে একাধিক সন্তান প্রসবের হার প্রায় প্রতি ৬৪ জনে একজন।

যমজ নবজাতকের যত্ন: যমজ সন্তানের বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা যায়। এই জাতীয় শিশুদের শিশুমৃত্যুর হার ৪ গুণ বেশি। তাদের জন্মের ওজন সাধারণত কম থাকে। প্রসবোত্তর বৃদ্ধির হারও কম হতে পারে। এছাড়াও, তারা তাদের অঙ্গগুলির যৌথ অবস্থা বা হার্টের ত্রুটি নিয়েও জন্মগ্রহণ করতে পারে। এবং যে মায়েদের একসাথে একাধিক সন্তান থাকে তাদের প্রসবের সময় উচ্চ রক্তচাপ এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।

আলট্রাসনোগ্রাফির বদৌলতে আজকাল প্রসবের আগেই জানা যায় যে গর্ভে যমজ বাচ্চা আছে। তাই মা আগে থেকেই যমজ সন্তান পালন করার বিষয়ে সতর্ক হতে পারেন।

যমজ নবজাতকের বুকের দুধ খাওয়ানো:

মা বা পরিবার সদস্যদের ধারনা যমজ সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় বুকের দুধ মা সরবরাহ করতে পারে না এই ধারণা। ওইটা ভুল. মা যদি সবার সহযোগিতা পান, যমজ এমনকি একসঙ্গে তিন নবজাতক সন্তানকে পূর্ণ ৬ মাস কাল পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধে পুষ্টি বজায় রাখতে সক্ষম থাকেন।

যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে যেসব পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়:

 দু’জনকে একই সময়ে বুকের দুধ খাওয়াতে যদিও এটি পুরোপুরি বিকাশ হতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে, যখন দুধের পুরো প্রবাহ মায়ের স্তন থেকে নেমে আসে।

একের পর এক দুধ খাওয়ানো। তবে একই  দু’জননেই ক্ষুধার্ত থাকলে সমস্যা হতে পারে।

একই বেবি কটে না রাখা ভালো

দুজনকে স্তন্যপান করানো আলাদাভাবে আলাদাভাবে করা উচিত। অন্যথায় দুটি পরিচালনা করতে সমস্যা হবে।

টয়লেট প্রশিক্ষণ সাধারণত সমস্যা হয় না। একটির অনুকরণে, অন্যজন দ্রুত ‘টয়লেট প্রশিক্ষণ’ শিখে নেয়।

যমজ সন্তানদেরকে কখনই ‘যমজ’ ভাববেন না, উভয়কেই আলাদা ব্যক্তিত্ব দিয়ে বড় করবেন। যেমন সবার জন্য আলাদাভাবে জন্মদিনের উপহার ব্যবস্থা করবেন।

যমজ সন্তানের সাথে বুদ্ধিমানের সাথে আচরণ করা উচিত, ঘরে বড় সন্তান থাকলে তারা যমজ সন্তানের সাথে হিংশা করতে পারে ।

যমজ শিশুরা মাঝে মাঝে ৩ বছর বয়সের মধ্যে ভাষা দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে সাধারণ শিশুদের থেকে পিছিয়ে থাকে।

কনজুগেট যমজ এখন সময়মতো সাফল্যের সাথে সার্জিকভাবে পৃথক করা হচ্ছে অর্থাৎ জোরা লাগোনোদের আলাদা করা হচ্ছে।

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment