বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস শব্দটি শোনেননি এমন মানুষ কমই আছে। আমাদের দেশে কম বেশি সব পরিবারে ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডায়াবেটিস এখন মহামারী রোগে পরিণত হয়েছে । মুলত এ রোগের প্রকোপ এত দ্রুত এত বেশি বেড়ে যাওয়ায় এ ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশে দিন দিন ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছে। বাংলাদেশে এখন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। প্রতি সাত সেকেন্ডে বিশ্বে একজনের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মারা যায়।
ডায়াবেটিস একটি জীবনব্যাপী শারীরিক অবস্থা যা প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হমৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এছাড়া যে কোনো ব্যক্তি এই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
ডায়াবেটিস হয় যখন শরীর রক্তের সমস্ত চিনি (গ্লুকোজ) ভেঙে ফেলতে ব্যর্থ হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে।
ডায়াবেটিস এর কারনেই অন্ধত্ব, কিডনির ক্ষতি এবং কখনও কখনও নীচের অঙ্গ কেটে ফেলার কারণ হতে পারে। সারা বিশ্বে এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ কোটির বেশি। এই সংখ্যা এখন 30 বছর আগের তুলনায় চার গুণ বেশি – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকা সত্ত্বেও এই রোগে আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি মানুষ এই রোগ সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে কিছু জীবনধারার নিয়ম মেনে অনেক ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়। আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে সাহায্য বিডি health ক্যাটাগড়িতে আলোচনা করে যাবো ।
তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের সবারই পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। এখন প্রশ্ন আসতে পারে
১। ডায়াবেটিস কি?
২। ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি ?
৩। ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?
৪। ডায়াবেটিস কত হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে?
তাহলে চলুন জেনে নিই ডায়াবেটিস সম্পর্কে এই চারটি প্রশ্নে সঠিক জবাব-
ডায়াবেটিস কি?
ডায়াবেটিস এক ধরনের বিপাকীয় ব্যাধি। ডায়াবেটিস কখনো ভালো হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ক্ষেত্রে, রোগীর শরীর যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না এবং এটি ব্যবহার করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে শরীরের ইনসুলিন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। ইনসুলিন হরমোন প্রাকৃতিকভাবে অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হয়। আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর খাবারের শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ বা চিনিতে পরিণত হয়।
ইনসুলিনের কাজ হল সেই চিনিকে শরীরের জন্য জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু যখনই ইনসুলিনের তারতম্য হয়, তখনই শর্করা জমতে শুরু করে। ফলে রক্তে চিনি জমে। এই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়।
ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি ?
ডায়াবেটিস কত প্রকার?
ডায়াবেটিস মূলত দুই প্রকার। যথা-
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
টাইপ-১ ডায়াবেটিস কি
এটি সাধারণত যুবকদের মধ্যে ঘটে এবং এটি খুব দ্রুত প্রদর্শিত হয়। তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে অক্রান্তর কারণ এখনও জানা যায়নি। চিকিৎসকদের মতে, টাইপ-১ ডায়াবেটিস টাইপ-২-এর তুলনায় অনেক কম মানুষের মাঝে দেখা যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত শৈশব থেকেই যাদের ইনসুলিনের মাত্রা খুব কম বা নেই তাদের মধ্যে নির্ণয় করা হয়।
শৈশব থেকেই যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন কম থাকে, তাহলে তাকে টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগী বলা হয়। এই ধরনের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিনের কৃত্রিম সরবরাহ খুবই প্রয়োজন। টাইপ-১ ডায়াবেটিস (কিশোর ডায়াবেটিস) ইনসুলিন ছাড়া এই ডায়াবেটিসের কোনো ওষুধ নেই। তাদের বেঁচে থাকার জন্য এক মাত্র অবলম্বন হলো ইনসুলিন, ইনসুলিন নিয়েই বাঁচতে হয় তাদের।
টাইপ -১ ডায়াবেটিস সাধারণত ১৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিকশিত হয়, তবে কেউ কেউ এটিতে আগেও অক্রান্ত হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন থাকে না। যার জন্য তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ইনসুলিন নিতে হয়। তাছাড়া শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব দ্রুত বেড়ে গেলে অল্প সময়ের মধ্যে অ্যাসিডের বিষক্রিয়ায় রোগী অজ্ঞান হতে পারে এবং কি অজ্ঞান হয়ে মারাও যেতে পারে।
আমরা অগেই জেনেছি ইনসুলিন রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি হয় না। এ জন্য বাইরে থেকে ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস জেনেটিক্সের কারণে হয়। এটি এইচএলএডিআর 3 এবং এইচএলএডিআর 4 নামক দুটি জিন দ্বারা সৃষ্ট। ডায়াবেটিস একটি রোগ যা অটোইমিউনিটির কারণে বিটা কোষের ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক সময় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। যার জন্য মা ও শিশু উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, তাদের যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
গর্ভাবস্থায় গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে তাকে মায়েদের ডায়াবেটিস বলে। ডায়াবেটিস আতঙ্কিত বা ভয়ের কিছু নয়। নিয়মিত ব্যায়াম ও সময়মতো খাবার খেলে ডায়াবেটিসেও সুস্থ থাকা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। ঝাপসা দৃষ্টি, ঘন ঘন প্রস্রাব, কাটা বা ক্ষত যা সহজে শুকায় না ইত্যাদি।
যদি এই লক্ষণগুলি দেখা দেয় তবে অবিলম্বে পরীক্ষা করা এবং ডাক্তারের সাথে দেখা করা প্রয়োজন। সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত। যারা কাজ করেন না বা কায়িক শ্রম করেন, যাদের ওজন বেশি, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, ডায়াথেসিস জিনগত কারণেও হয়।
যাদের বাবা-মা, ভাই-বোনের ডায়াবেটিস আছে তাদেরও ডায়াবেটিস হতে পারে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদেরও সমস্যা হতে পারে। কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি ঘটতে পারে। যেহেতু ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এটা কখনো বাড়ে কখনো কমে, কিন্তু রোগী কখনোই সম্পুর্ন রুপে ভালো হয় না। রক্তের উচ্চ মাত্রার কারণে এটি স্ট্রোক, অন্ধত্ব, অঙ্গচ্ছেদ, যৌন ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদির কারণও হতে পারে। তাই অধিক চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সবার জন্য।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস কি
টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রধানত ৩৫-৪০ বছর বয়সের পর হয়। অগ্ন্যাশয় শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে বা উৎপাদন কম হলে তাকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বলে। এ ধরনের ডায়াবেটিসে বিশেষ পর্যবেক্ষণের সাহায্যে ইনসুলিন ব্যবহার না করেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব বলে জানা যায়। বর্তমানে ৯০% রোগীর টাইপ-2 ডায়াবেটিস রয়েছে। Type-2 (Adult Onset Diabetes) এই ডায়াবেটিস বংশগত হতে পারে। ইনসুলিন ছাড়াই টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ব্যায়াম ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ওষুধ হল মেটফর্মিন, রেপাগ্লিনাইড, ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক এজেন্ট, গ্লিপিজাইড ইত্যাদি। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধগুলি খেতে পারেন।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আরেকটি ওষুধ হল ইনসুলিন। উপরের ওষুধটি শরীরে কাজ না করলে ইনসুলিন দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলে নিয়ম মেনে জীবনযাপন করতে হবে। টাইপ-২ এ রোগ হলে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভালো খাবার তালিকা তৈরি করতে পারেন। নিয়ম মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাহলে আপনাকে ডায়াবেটিসের সমস্যায় পড়তে হবে না। নিয়ম মেনে চললে এই রোগ নিয়ে অনেকদিন সুস্থ থাকা যায়। নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের ওষুধ ছাড়াই সুস্থ জীবনযাপন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ
- হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত ও অনুচিত
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি কি
- সাদা স্রাব কেন হয়-বন্ধ করার উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
ডায়াবেটিস রোগীদের কখন ইনসুলিন নিতে হয়?
ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন নিতে খুব অস্বস্তি বোধ করেন এবং অনীহা প্রকাশ করেন। অবশ্য সব সময় ডায়াবেটিসে ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ইনসুলিন গ্রহণের নির্দিষ্ট কারণ এবং নির্দেশিকা রয়েছে। টাইপ-২ ডায়াবেটিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু বিশেষ রোগীর ইনসুলিন প্রয়োজন পরে। এখন জেনে নিন কখন ডাক্তার আপনাকে ইনসুলিন নিতে বলতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ইনসুলিন সবচেয়ে নিরাপদ। তাই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং আগে থেকে থাকা ডায়াবেটিসের রোগী মা হতে চাইলে সব ওষুধ বন্ধ করে ইনসুলিন দিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেকোনো অস্ত্রোপচারের আগে এবং পরে তাদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে শুধুমাত্র ক্ষত নিরাময়কে ত্বরান্বিত করতে নয়, জটিলতা এড়াতেও ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে।
বিভিন্ন গুরুতর রোগ যেমন: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা যেকোনো গুরুতর সংক্রমণ (যেমন: যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ফোড়া, গ্যাংগ্রিন ইত্যাদি) থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য ইনসুলিন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ।
ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক এজেন্ট ব্যর্থতা হল যখন কারো ডায়াবেটিস প্রায় সর্বোচ্চ মাত্রায় উচ্চ মাত্রায় তিন বা তার বেশি ওষুধ ব্যবহার করার পরও অনিয়ন্ত্রিত হয়। এটি পরামর্শ দেয় যে তার ওষুধ আর কাজ করছে না কারণ তার অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করছে না। এই ক্ষেত্রে তাকে ইনসুলিন-নির্ভর হতে হয়।
আপনার কিডনি এবং লিভারের জটিলতা থাকলে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত। জন্ডিসের ক্ষেত্রে ওষুধ সাময়িক বন্ধ করে ইনসুলিন দিতে হতে পারে।
অনেকের প্রথমে উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা নির্ণয় করা হয়। রক্তে শর্করা 16.7 mmol বা 300 g/dL এর বেশি হলে বা গড় চিনি HbA1C ১০ শতাংশের বেশি হলে প্রথমে ইনসুলিন দিয়ে কমাতে হবে। এই অবস্থায় ওষুধ কার্যকর হয় না। বরং নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস এবং হাইপারসমোলার কোমা নামক জীবন-হুমকির জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের বিপদ বাড়লে হাসপাতালে ভর্তির পর স্যালাইনের মাধ্যমে ইনসুলিন দিতে হবে।
টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ওষুধ কাজ করে না। তারা বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন-নির্ভরসীল হয়ে পরে।
ডায়াবেটিস কত হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে?
জন্ম মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে এত নিয়ে কথা না বলাই ভাবে । রোগ বালাই মৃত্যুর অছিলা মাত্র কে কখন কিভাবে মারা যাবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে বিপজ্জনক স্বাস্থ্য প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় সেটা নির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুসকিল। তবে চিকিৎসকদের মতে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষের স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, হার্ট এর সমস্যা হয়ে মারা যায়। ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ বহু বছর বাঁচতে পারেন রোগীরা।
আরও পড়ুনঃ
আমাদের কথা
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডায়াবেটিস ভালো হয় না। ডায়াবেটিস শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি করে। বলা যায়, ডায়াবেটিস সব রোগের বাড়ি, ডায়াবেটিস একটি দুরারোগ্য রোগ। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না যদি ডায়াবেটিস রোগী নিয়ম অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে। এক কথায় একজন ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে। আমরা ধারা বাহিক ভাবে ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে বিস্তারতি আলোচনা করে যাবো আমাদের সাথেই থাকুন। যে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভূলবেন না। সবার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম কথা হবে অন্য কোন পোস্টে।
জন্ম মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে এত নিয়ে কথা না বলাই ভাবে । রোগ বালাই মৃত্যুর অছিলা মাত্র কে কখন কিভাবে মারা যাবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে বিপজ্জনক স্বাস্থ্য প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় সেটা নির্দিষ্ট করে কিছু বলা মুসকিল। তবে চিকিৎসকদের মতে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষের স্ট্রোক, কিডনি সমস্যা, হার্ট এর সমস্যা হয়ে মারা যায়। ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ বহু বছর বাঁচতে পারেন রোগীরা।
আল্লাহ মানুষকে সুস্থ্যতা দান করুক।আমিন
আমিন