আজকের লাইফ স্টাইল বিভাগের “কিভাবে করলে বাচ্চা হয়” লেখাটি সেই সব দম্পতির জন্য শেয়ার করা হয়েছে যারা সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন । শুরুতে দুঃখ প্রকাশ করছি শিরোনাম এমন একটি বাক্য ব্যবহার করার জন্য,
আপনি যেনে অবাক হবেন যে গুগলে কিভাবে সহবাস করলে বাচ্চা হয় এই বাক্যটি লিখে দিনে কতজন মানুষ সার্চ করে। যেহেতু মানুষ “কিভাবে করলে বাচ্চা হয়” এই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ কর তাই তাদের সুবিধারর্থে আমরা শিরোনারও সেটাই রাখলাম যাতে তারা সহজে এই পোস্টটি খুজে পায়।
যাইহোক অনেকেই বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করে যৌনতা উপভোগ করেন। আবার অনেকেই এগুলো ব্যবহার করতে নারাজ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গুগলে সার্চ করে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন কিভাবে সহবাস করলে স্ত্রী সন্তান সম্ভবা হয়। আবার অনেকে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন কিভাবে যৌন মিলন করলে গর্ভবতী হয় না?
কিভাবে মেলামেশা করলে সন্তান হয়
সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন? আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি আজকে। না, এ বিষয়ে ভাবার কিছু নেই। এ ব্যাপারে যৌন মিলনে মনোযোগ দেওয়া জরুরী, তবে সেই ক্ষেত্রেও ‘সময়’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কোনো ভাবেই যেন সময় নষ্ট না হয়। একটু হের ফের করলে আপনাকে আরও এক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। হ্যাঁ এটা ঠিক. এই মুহূর্তে আপনাকে গর্ভবতী হতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছ। আপনি যদি গর্ভবতী হওয়ার পরিকল্পনা করেন গর্ভবতী হওয়ার সঠিক সময় ও বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করা আজকের পোস্টে আপনি অবশ্যই সাহায্য পাবেন।
কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
শুরু করব যে সব দম্পতি এই মুহুর্তে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন তাদের উদ্দেশ্যে শুরু করলাম কিভাবে সহবাস /মিলন করলে বাচ্চা হয়।
ডাক্টারদের মতে গর্ভাধারনের সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় বা ফারটাইল উইন্ডো সনাক্ত করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। একসাথে একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গর্ভাধারনের সঠিক সময় নির্ধারণ করা যেতে পারে।
এই সময়ে যৌন মিলন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই নিবন্ধটি গর্ভাধারনের সময় নির্ধারণের সবচেয়ে সম্ভাব্য পদ্ধতি এবং মাসিকের কতাদিন সন্তান গর্ভে আসে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক প্রথমে
গর্ভধারণের সঠিক সময় ও প্রক্রিয়া ?
মেডিকেল সাইন্স এর মতে গর্ভাবস্থা ঘটে যখন একটি চলমান শুক্রাণু একটি ডিম্বাণু নিষিক্ত করে। এটি করার জন্য, শুক্রাণু যোনি থেকে সার্ভিক্স এর মাধ্যমে জরায়ুতে ভ্রমণ করে। ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ফ্যালোপিয়ান টিউবের মাধ্যমে জরায়ুতে যায়।
সহবাসের কয়েক ঘণ্টা থেকে সাত দিন পর্যন্ত যে কোনো সময় গর্ভধারণ ঘটে। দ্রুত গতিশীল শুক্রাণু ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে 45 মিনিট সময় নেয়। তুলনামূলকভাবে ধীর গতির শুক্রাণু একই পথ ধরে প্রায় 12 ঘন্টা ভ্রমণ করে।
শুক্রাণু সাত দিন পর্যন্ত ফ্যালোপিয়ান টিউবে অপেক্ষা করে, এই সময়ে এটি তার জন্মপূর্ব কাজগুলি সম্পন্ন করে। যদি সঙ্গমের সাত দিন পরে ডিম্বস্ফোটন ঘটে যার ফলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়, তাহলে শুক্রাণু এটিকে নিষিক্ত করবে।
ঋতুস্রাব পর্যবেক্ষণ করে গর্ভাধারনের সঠিক সময় নির্ণয়
প্রশ্ন করতে পারেন কার জন্য এই পদ্ধতি প্রযোজ্য? যে কোন নারীর, ঋতুস্রাব নিয়মিত বা অনিয়মিত যাই হোক না কেন, সবাই এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।
তবে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী। কারণ অন্যান্য পদ্ধতিতে তাদের গর্ভাধারনের সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় বের করা একটু কঠিন। তাই তাদের জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো কাজে দেয়।
সাদাস্রাব নিরীক্ষণের পদ্ধতি
প্রতি মাসে মেয়েদের চার ধরনের সাদা স্রাব হয়।
১) প্রথম অবস্থা হল মাসিকের পরপরই যখন কোন সাদাস্রাব দেখা যায় না। যখন মাসিক চক্র খুব শুষ্ক বলে মনে হয়, তখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি, ডাক্টারদের মতে তখন 0.3 শতাংশ থাকে।
২) পরে মাসিকের রাস্তা কিছুটা ভেজা বলে মনে হয়, তবে আপনি যদি চোখে সাদা স্রাব দেখতে না পান বা হাতেও ধরে রাখতে পারেন না । ডাক্টারদের মতে তখন গর্ভাধারনের সম্ভাবনা ১ শতাংশের একটু বেশি অর্থাৎ ১.৩ শতাংশ থাকে।
প্রথমে এই দুটি অবস্থা সবার মধ্যে দেখা যায় না। বিশেষ করে যাদের মাসিক চক্র ছোট তাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় এই দুটি অবস্থা হতে পারে।
তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থা প্রায় সব নারীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
৩) তৃতীয় ক্ষেত্রে ঘন সাদা স্রাব আসে। এটি আঙ্গুলের সাথে লেগে থাকে। ডাক্টারদের মতে তখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে ২.৫ শতাংশে পৌছায়।
৪) চতুর্থ পর্যায়ে, সাদাস্রাব খুব পাতলা এবং পিচ্ছিল হয়। কাঁচা ডিমের সাদা অংশ যেমন মসৃণ ও পিচ্ছিল দেখতে এমন হয়। আর সেই সাদাস্রাব এত বেশি ঘন হয় যে দুই আঙ্গুল দিয়ে টেনে বড় করা যায়।
কয়েক ইঞ্চি বড় হলেও ছেড়ে যায় না। তাহলে বুঝবেন তখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ২৮.০৬ শতাংশ বা প্রায় 30 শতাংশ কাছাকাছি।
এই চতুর্থ অবস্থা শেষ হলে, সাদা স্রাব আবার ঘন হয়ে যায় বা সাদা স্রাব একেবারেই থাকে না। যাইহোক, অনেকের মাসিকের ঠিক আগে একটি পাতলা সাদা স্রাব হতে পারে, তবে এটি গর্ভাধারনের সাথে সম্পর্কিত নয়।
আমাদের আরও পোস্ট দেখুন:
- কিভাবে মেয়ে পটাতে হয়
- বেশি পর্নোগ্রাফি দেখে জানেন কত বড় নিজের ক্ষতি করছেন?
- কালা যাদু/জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক কি কিভাবে কাজ করে?
কিভাবে এই সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি ব্যবহার করবেন?
যেদিন সাদাস্রাব আপনার নজরে পরবে, সেদিন থেকে শুরু করে শেষ যেদিন পাতলা পিচ্ছিল সাদাস্রাব আসবে সেদিনটি সহ, তার পরের ৩ দিন মোট ৪দিন— এই সময়টা গর্ভাধারনের সঠিক সময় বা বাচ্চা নেয়ার জন্য চেষ্টা করার ভালো সময়। তাই এই সময়টাতে চেষ্ট করুন বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে।
ক্যালেন্ডারে হিসাব রেখে গর্ভধারণের উপায়
এই নম্বর পদ্ধতিটি বেশ ভাল কাজ করে যদিও আপনাকে একটু চেষ্টা করে হিসাব করতে হয়।
একটু আগেই আমরা দেখেছি কীভাবে মাসিকের কালচক্র হিসাব করতে হয়। এই নিয়মে অন্তত ছয় মাস ধরে মাসিকের হিসাব রাখতে হবে। এতে আপনি ৬-৭টা কালচক্রের দৈর্ঘ্য পেয়ে যাবেন। সবগুলোর দৈর্ঘ্য একই নাও হতে পারে।
কোনটার আসবে ৩৩ দিন, কোনটার ২৬ দিন। ৬টা মাসিকের কালচক্রের দৈর্ঘ্য পাওয়ার পরে, এদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা আর সবচেয়ে মাসিকের ছোট কালচক্র দুটো বেছে নিতে হবে।
সবচেয়ে ছোট মাসিকের কালচক্র থেকে ১৮ বিয়োগ করলে যেই সংখ্যাটা পাবেন, আপনার মাসিকের কালচক্র সেই দিন থেকে ফারটাইল উইন্ডোর শুরু। আর সবচেয়ে লম্বা মাসিকের কালচক্র থেকে ১১ বিয়োগ করলে যেই সংখ্যাটা আসবে, সেই দিনিট হল শেষ দিন আপনার ফারটাইল উইন্ডোর এর ।
ধরা যাক, আপনার সবচেয়ে ছোট মাসিকের কালচক্র হচ্ছে ২৬ দিনের। এখান থেকে ১৮ বিয়োগ করলে হল ৮। অর্থাৎ আপনার মাসিকের কালচক্রের অষ্টম দিন থেকে ফারটাইল উইন্ডোর শুরু। এরপর ধরা যাক আপনার সবচেয়ে লম্বা মাসিকের কালচক্র হচ্ছে ৩৩ দিনের। ১১ বিয়োগ করলে হয় ২২। অর্থাৎ আপনার মাসিকের কালচক্রের ২২ তম দিন হচ্ছে শেষ দিন।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর ৮ তম দিন থেকে 22 তম দিন আপনার ফারটাইল উইন্ডো। যে কোনো একদিন আপনার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সময়টাতে সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে গর্ভাধারনের সঠিক সময় নির্ণয়
এই পদ্ধতিটা হলো শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে গর্ভধারনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময় বোঝা।
তাপমাত্রা মাপার পদ্ধতি
ঋতুস্রাবের পর শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হওয়ার পর, অর্থাৎ যখন ডিম ফুটে, তখন একজন মহিলার শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
ভুলে যাবেন না যে এই পরিবর্তনটি পরিমাপ না করে সাধারণত কেউ বুঝতে পারে না, কারণ এটি খুবই সামান্য, যেমন 0.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 0.4 ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করেন, তবে কখন তা বেড়েছে তা আপনি ধরতে সক্ষম হবেন।
এই ক্ষেত্রে একটি নিয়ম মনে রাখবেন, ছয়ের পর তিন। নিম্ন তাপমাত্রার ৬ দিন পর, ৩ দিন একটানা উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োজন। কি পরিমান তাপমাত্রা থাকতে হবে?
কমপক্ষে 0.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা 0.4 ডিগ্রি ফারেনহাইট। একদিন তাপমাত্রা এসে আবার চলে গেলে তা হবে না। বিভিন্ন কারণে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ক্রমাগত উচ্চ তাপমাত্রা শুরু হওয়ার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত ফারটাইল উইন্ডো থাকবে। যতদিন এই উচ্চ তাপমাত্রা থাকবে, তার তিন দিন পর ফারটাইল উইন্ডো শেষ হবে যাবে।
সঠিকভাবে তাপমাত্রা মাপার নিয়ম
কখন পরিমাপ করতে হবে? ঘুম থেকে ওঠার পরে, কিছু করার আগে, বিছানায় থাকা অবস্থায় তাপমাত্রা পরিমাপ করা উচিত। প্রতিদিন একই সময়ে পরিমাপ করার চেষ্টা করুন। তার মানে আপনাকে নিয়মিত একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বিছানার কাছেই থার্মোমিটার রাখবেন।
কোথায় মাপতে হবে? আমরা অনেকেই বগলের নিচে তাপমাত্রা পরিমাপ করি। আপনাকে এখানে তা করতে হবে না। মুখের তাপমাত্রা পরিমাপ করা উচিত। জিহ্বার নীচে থার্মোমিটার রাখুন এবং মুখ বন্ধ করুন।
কোন ধরণের থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে? জ্বর মাপার সাধারণ পারদ থার্মোমিটার দিয়ে মাপলে এত সূক্ষ্ম পরিবর্তন বোঝা যায় না। ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে। বিভিন্ন ফার্মেসিতে অল্প খরচেই এটি কিনতে পাওয়া যায়। এই পদ্ধতিটি কখন ফারটাইল উইন্ডো শুরু হয় তা বোঝা উপায় থাকে না, কিন্তু কখন এটি শেষ হয় তা বোঝা যায়।
এই পদ্ধতি কীভাবে কাজে লাগাবেন?
আমি কিছুক্ষণ আগে যে সাদা স্রাব পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করেছি তা ব্যবহার করে, আপনি যেদিন থেকে সাদা স্রাব শুরু করবেন সেদিন থেকে আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা শুরু করবেন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির তৃতীয় দিন পর্যন্ত আপনি এই পদ্ধতিটি চালিয়ে যাবেন। এরই মধ্যে গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময়টা ব্যবহার করা হয়ে যাবে।
শরীরের তাপমাত্রা কখন পরিবর্তন হতে পারে?
আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন বা ঘুম কম হয় তবে শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে পারে। আবার যেকোনো ধরনের অসুস্থতায় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে উর্বর উইন্ডোটি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য, একটি চার্টে দৈনিক তাপমাত্রা নোট করতে হবে। যদি তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায়, আপনি এই বৃদ্ধির কারণটি নোট করতে পারেন।
কিভাবে সহবাস করলে সন্তান জন্ম হয়
যারা বাচ্চা গ্রহণ করতে চান, তারা ঠিক উপরের নিয়মে হিসাব-নিকাশ করে ডেঞ্জার পিরিয়ডে সহবাস করবেন। এতে ফলাফল ভাল হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি থাকে।
স্ত্রীর জরায়ুতে ওভুলেশন হওয়ার পর ডিম্বাণু সাধারণত ২৪ ঘন্টা জীবত থাকে। আবার পরুষের শুক্রাণু ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত নারীর যোনিপথে জীবিত থাকতে পারে। তাই ডেঞ্জার পিরিয়ডে প্রতিদিন সহবাস করতে হবে, এমন ধারণা করাটাও ভুল। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে, বাচ্চা নিতে চাইলে ডেঞ্জার পিরিয়ডে একদিন পর পর সহবাস করলেই চলবে।
আমাদের আরও পোস্ট দেখুন:
- আপনি কি জানেন সুন্দরী মেয়ে পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ?
- কথা গুলো আমি মেয়ে হয়ে বলছি সবার একবার পড়া উচিৎ
কিভাবে মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়
মেলামেশার মাধ্যমে পুত্র সন্তান জন্ম নেয় কি না এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে যা নিচে তুলে ধরা হল।
১। লন্ডনের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার সাজিয়া মালেক জানান ছেলে কিংবা মেয়ে সন্তানের জন্য গর্ভধারণের বিষয়টি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত বিষয় এর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় বা পন্থা নেই।
২। বিজ্ঞানীরা বলছেন পুরুষের বীর্যপাত হওয়ার সাথে পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই তবুও বিশ্বের অনেক মানুষের মনে এটি রয়েছে যে এলাকা ভেদে বিভিন্ন ভাবে সহবাস করলে পুত্র সন্তান লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যা সম্পুর্ন ভূল ধারনা।
৩। আরেকটি জরিপে বলা হয় মা হতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হল তারা অবশ্যই সকালে নাস্তা করতে হবে এবং সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে যৌন মিলন করতে হবে যখন পুরুষের বীর্য প্রবল হয়।
৪। ভারতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, একটি পুত্র সন্তানের জন্য, মহিলাদের বেশি খাওয়া এবং ঘুমাতে হবে এবং পশ্চিম দিকে মুখ করে ঘুমাতে হবে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এর কোন ভিত্তি নেই। (যদিও কেরালায় প্রকাশিত নিবন্ধটি নিয়ে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে ভারতীয় লেখকের গীতা আরাভামুদান এ বিষয়টিকে হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন বলে মনে করেন ।)
৫। আরেকটি জরিপে বলা হয় মেয়ে সন্তান হওয়ার জন্য মেয়েদের দোষ দেওয়া হলেও, মেয়ে হওয়ার জন্য মূলত ছেলেরাই দায়ী।
৬। একটি পুত্র সন্তানের জন্য, পুরুষের বীর্যের শক্তিশালী অবস্থানের সময় সঙ্গম করা উচিত কারণ এতে পুত্রের জন্ম নিতে পারে।
কন্যা বা পুত্র সন্তান নির্ধারন করবে বাবা মা
ছেলে চাই না মেয়ে চাই সেটা নির্ধারণ করেন একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তবে বিজ্ঞানীরা গর্ভস্থ সন্তান ছেলে কি মেয়ে তা আল্ট্রাসোনিক শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে জেনে নিতে পেরেছে মাত্র। কিন্তু যদি মা-বাবা নিজেরাই নির্ধারণ করে নেন যে তাদের সন্তান পুত্র নাকি কন্যা হবে তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? তেমনটাই দাবি করছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।
যদিও তারা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার উপায় খুঁজে পাননি, ব্রিটিশ গবেষকরা তাদের প্রতিবেদনে একটি প্রাকৃতিক কৌশল নিয়ে এসেছেন।
সন্তান ছেলে বা মেয়ে হওয়ার কারণ
ভ্রূণবিদ্যা অনুসারে, X ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয় এবং Y ক্রোমোজোমের কারণে ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়।
প্রতিবেদনটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলনের সময়কে কেন্দ্র করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মায়ের শরীরে ডিম্বস্ফোটন প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে এবং বাবার শরীরের শুক্রাণু কীভাবে প্রভাবিত করে তা নির্ধারণ করবে শিশুটি ছেলে না মেয়ে হবে।
সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল হচ্ছে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমায় মাতৃ দেহের ডিম্বাপাত ঘটে। এ ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা ডিম্ব জীবিত বা কার্যকরীতা থাকে । কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত জীবিত বা কার্যকরীতা থাকতে পারে।
এভাবে জেনে নেয়া যেতে পারে নারীর গর্ভধারণের সম্ভাব্য সময়। এবার প্রয়োজন শুধু এ সময়ের মাতৃ দেহের X ক্রোমোজোমটি পুরুষ দেহের Y দ্বারা নিষিক্ত হবে নাকি X ক্রোমোজোম দ্বারা সেটি নিয়ন্ত্রন করা।
বিজ্ঞান বলে, Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। এ দিকে X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা Y এর তুলনায় দীর্ঘজীবি।
এবার সন্তান হিসেবে ছেলে চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে এর জন্য মাতৃ দেহের যেদিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। না হলে শুক্রানুটি আর তেমন কার্যকরী থাকবে না।
দম্পত্তি কন্যা সন্তান চাইলে ডিম্বস্ফোটনের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত করিয়ে দিতে হবে। এটি ডিম্বস্ফোটনের আগে সমস্ত Y শুক্রাণুকে মরে যাবে, যে কারনে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।
শুধুমাত্র X শুক্রাণু বেঁচে থাকবে। ফলে কন্যা সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
কিন্তু ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মতে, এটা নিছকই একটা চালাকি। এটি একটি আবিষ্কার নয়. তারা যোগ করেছে যে প্রতিবেদনটি কোনভাবেই কন্যা বা পুত্রের স্বেচ্ছায় জন্মকে উত্সাহিত করার উদ্দেশ্যে নয়। এটি একটি গবেষণামূলক তত্ত্ব।
কিভাবে সহবাস করলে যমজ সন্তান হয়
কেন যমজ হয়? এ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই এর রহস্য জানতে চান। তবে যমজ সন্তান নিয়ে কোনো রহস্য বা গবেষণা নেই। গর্ভে একাধিক সন্তান থাকা অস্বাভাবিক নয়। অনেক ক্ষেত্রে এটি বংশগত কারণে হতে পারে, যেমন মা বা দাদি, যদি তারা ইতিমধ্যে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকে। এছাড়া সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তা ঘটে। এখানে কারো হাত নেই। আর সহবাসের কারনে যমজ সন্তানের কোন সম্ভবনাই নেই।
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আফরোজা খানমও একই কথা বলেন, তিনি বলেন, যমজ সন্তানের জন্মের পেছনে কোনো রহস্য নেই।
ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মধ্যে একটি জিনিস মিল রয়েছে। উপরন্তু, যদি মা বা দাদি আগে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। নিঃসন্তান মায়েরা যখন চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভবতী হলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটাও হয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়। এখানে কারো হাত নেই।
তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বা কোনো চিকিৎসার মাধ্যমে কখনোই যমজ সন্তান জন্মানো সম্ভব নয়।
আমাদের কথা
আশা করি এই তথ্যটি বিবাহিত জীবনে কাজে লাগবে। যৌনতা উপভোগ করা দাম্পত্য জীবনে সুখের অন্যতম শর্ত। এসব বাদ দিলে সংসারে অশান্তি বিরাজ করবে। তাই নিয়মিত মিলন করুন আর সংসারকে সাজান ভালোবাসার চাঁদরে। আপনি প্রয়োজন মনে করলে আপনার ওয়ালে আজকের লেখাটি শেয়ার করুন, যাতে প্রয়োজনের সময় আপনি সহজেই আপনার ওয়াল থেকে এটি খুঁজে পেতে পারেন।
বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ হয় এমন কিওয়ার্ড সমুহ
১। কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
২। কিভাবে করলে সন্তান হয় না
৩। কিভাবে করলে পুত্র সন্তান হয়
৪। কিভাবে মেলামেশা করলে সন্তান হয়
৫। কিভাবে সহবাস করলে সন্তান জন্ম হয়
৬। কিভাবে মেলামেশা করলে ছেলে সন্তান হয়
৭। স্বামী স্ত্রী কিভাবে মিলন করলে সন্তান হয়
৮। kivabe sohobas korle sontan hoy
৯। কিভাবে সহবাস করলে যমজ সন্তান হয়
১০। কিভাবে করলে সন্তান
১১। কিভাবে করলে সন্তান হবে
১২। কিভাবে সহবাস করলে কন্যা সন্তান হয়
১৩। কি করলে সন্তান হয়
১৪। কিভাবে করলে ছেলে সন্তান হয়
১৫। কিভাবে সহবাস করলে পুত্র সন্তান জন্ম হয়
১৬। কিভাবে সহবাস করলে পুত্র সন্তান লাভ হয়
১৭। কি ভাবে করলে সন্তান হয়
১৮। কিভাবে করলে সন্তান হয় না
১৯। কি করলে সন্তান হয়
২০। কী করলে সন্তান হয়
২১। কিভাবে করলে সন্তান
২২। কি করলে সন্তান হয় না
২৩। কিভাবে করলে সন্তান হবে
২৪। কি ভাবে করলে সন্তান হয়
FAQs
চতুর্থ পর্যায়ে, সাদাস্রাব খুব পাতলা এবং পিচ্ছিল হয়। কাঁচা ডিমের সাদা অংশ যেমন মসৃণ ও পিচ্ছিল দেখতে এমন হয়। আর সেই সাদাস্রাব এত বেশি ঘন হয় যে দুই আঙ্গুল দিয়ে টেনে বড় করা যায়।
কয়েক ইঞ্চি বড় হলেও ছেড়ে যায় না। তাহলে বুঝবেন তখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ২৮.০৬ শতাংশ বা প্রায় 30 শতাংশ কাছাকাছি।
এই চতুর্থ অবস্থা শেষ হলে, সাদা স্রাব আবার ঘন হয়ে যায় বা সাদা স্রাব একেবারেই থাকে না। যাইহোক, অনেকের মাসিকের ঠিক আগে একটি পাতলা সাদা স্রাব হতে পারে, তবে এটি গর্ভাধারনের সাথে সম্পর্কিত নয়।
বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
সাদাস্রাব এত বেশি ঘন হয় যে দুই আঙ্গুল দিয়ে টেনে বড় করা যায়।
কয়েক ইঞ্চি বড় হলেও ছেড়ে যায় না। তাহলে বুঝবেন তখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ২৮.০৬ শতাংশ বা প্রায় 30 শতাংশ কাছাকাছি। বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
যারা বাচ্চা গ্রহণ করতে ডেঞ্জার পিরিয়ডে সহবাস করবেন। এতে ফলাফল ভাল হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি থাকে। স্ত্রীর জরায়ুতে ওভুলেশন হওয়ার পর ডিম্বাণু সাধারণত ২৪ ঘন্টা জীবত থাকে। আবার পরুষের শুক্রাণু ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত নারীর যোনিপথে জীবিত থাকতে পারে। তাই ডেঞ্জার পিরিয়ডে প্রতিদিন সহবাস করতে হবে, এমন ধারণা করাটাও ভুল। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে, বাচ্চা নিতে চাইলে ডেঞ্জার পিরিয়ডে একদিন পর পর সহবাস করলেই চলবে। বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
যারা বাচ্চা গ্রহণ করতে চান, তারা ঠিক উপরের নিয়মে হিসাব-নিকাশ করে ডেঞ্জার পিরিয়ডে সহবাস করবেন। এতে ফলাফল ভাল হওয়ার সম্ভবনা সবথেকে বেশি থাকে।
স্ত্রীর জরায়ুতে ওভুলেশন হওয়ার পর ডিম্বাণু সাধারণত ২৪ ঘন্টা জীবত থাকে। আবার পরুষের শুক্রাণু ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত নারীর যোনিপথে জীবিত থাকতে পারে। তাই ডেঞ্জার পিরিয়ডে প্রতিদিন সহবাস করতে হবে, এমন ধারণা করাটাও ভুল। চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে, বাচ্চা নিতে চাইলে ডেঞ্জার পিরিয়ডে একদিন পর পর সহবাস করলেই চলবে। বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
বিজ্ঞানীরা বলছেন পুরুষের বীর্যপাত হওয়ার সাথে পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই তবুও বিশ্বের অনেক মানুষের মনে এটি রয়েছে যে এলাকা ভেদে বিভিন্ন ভাবে সহবাস করলে পুত্র সন্তান লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যা সম্পুর্ন ভূল ধারনা। বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
অনেক ক্ষেত্রে এটি বংশগত কারণে হতে পারে, যেমন মা বা দাদি, যদি তারা ইতিমধ্যে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকে। এছাড়া সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তা ঘটে। এখানে কারো হাত নেই। আর সহবাসের কারনে যমজ সন্তানের কোন সম্ভবনাই নেই। বিস্তারিত পড়ুনঃ কিভাবে করলে বাচ্চা হয়
Very nice write-up. I definitely appreciate this site. Thanks!