প্রতেক মুসলিম নর-নারীর জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নামাজ মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে। পবিত্রতা অর্জনে সাহায্য করে। মানুষ দিনে ৫ বার ওজু করার মাধ্যমে যেমন শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করে তেমনি বিভিন্ন ভাইরাস থেকে মুক্তি পায়। বিনীতভাবে নামাজের মাধ্যমে কমপক্ষে পাঁচবার আল্লাহকে স্মরণ করা হয়।
আমরা প্রতি ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করে আসছি. আজকের আলোচনা আসরের নামাজ নিয়ে-
আসরের নামাজ
আসরের ৪ রাকাত ফরজ নামাজ সকল প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীর আদায় করা উচিত। আবু মালিহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- এক যুদ্ধে আমরা বুরাইদাহ (রা.)- এর সঙ্গে ছিলাম। দিনটি ছিল মেঘলা। তাই বুরাইদাহ (রা.) বলেন, শিগগির আসরের নামাজ আদায় করে নাও। কারণ নবী (সা.) বলেছেন—
‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয়, তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৩)
আসরের নামাজের সময় শুরু ও শেষ
আসল ছায়া থেকে ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার পর আসরের নামাজ সময় শুরু হয়। অর্থাৎ কোন কিছুর ছায়া যখন ওই জিনিষটির দ্বিগুণ হয়ে যায় তখন থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়।
আর আসরের নামাজের শেষ সময় সূর্যাস্ত আর্থাৎ সূর্য ক্ষাণিকক্ষন হলদে রং ধারণ করে থাকে। ওই সময়ের আগ পর্যন্ত আসরের নামাজের সময় বাকি থাকে। এরপর যখন হলদে রং ধারণ করে, তখন হারাম ওয়াক্ত শুরু হয়। তাই হলদে রং ধারণ করলে সেই সময় নামাজ পড়া যায় না।
আর্থাৎ ৪.৩০ মিনিট থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে। তবে জেলা ভেদে কয়েক মিনিটের ব্যবধান রয়েছে।
আসরের নামাজ কত রাকাত ও কি কি
আসরের নামাজ মোট ৮ রাকাত অর্থাৎ চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ। তবে চার রাকাত সুন্নত বাধ্যতামূলক নয় অর্থাৎ আদায় আমল নামায় সওয়াব লেখা হবে, আদায় না পাপ হবে না, যে কারনে অনেকেই ৪ রাকাত সুন্নত আদায় করেন না।
প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নত করতে হয় এবং এরপর ৪ রাকাত ফরজ আদায় করার নিয়ম রয়েছে। এভাবে মোট ৮ রাকাত আসরের নামাজ আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ
আসরের কাজা নামাজ কখন পড়তে হয়
জেনে রাখা ভালো যে, সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে সূর্য ক্ষাণিকক্ষন হলদে রং ধারণ করে থাকে। ওই সময়ের আগ পর্যন্ত আসরের নামাজের সময় বাকি থাকে। এরপর যখন হলদে রং ধারণ করে, তখন হারাম ওয়াক্ত শুরু হয়। তাই হলদে রং ধারণ করলে সেই সময় নামাজ পড়া যায় না।
তথ্যসূত্র : মাজমাউল আনহুর : ০১/১১০), হিদায়া : ০১/৮৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ০২/১৭, ১৫২৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়্যা : ০১/৫৩;
আসরের কাজা নামাজ কখন পড়তে হয়
আসরের নাজাম আদায় করার পর সূর্য হলদেভাব ধারণ করার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করা যাবে। এমনকি কারো সিজদায়ে তেলাওয়াত থাকলে (যেটা কোরআনের সিজাদর আয়াত তেলাওয়াত করলে ওয়াজিব হয়), সেটাও এই সময়ে আদায় করা যাবে। তবে হলুদবর্ণ ধারণ করলে, আর কাজা নামাজ আদায় করার সময় থাকে অর্থাৎ আর কাজা নামাজ পড়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
FAQs
কোন কিছুর ছায়া যখন ওই জিনিষটির দ্বিগুণ হয়ে যায় তখন থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয়। আর আসরের নামাজের শেষ সময় সূর্যাস্ত যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে।
আর্থাৎ ৪.৩০ মিনিট থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে।
বিস্তারিত পড়ুনঃ আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষকোন কিছুর ছায়া যখন ওই জিনিষটির দ্বিগুণ হয়ে যায় তখন থেকে আসরের নামাজের সময় শুরু হয। আর আসরের নামাজের শেষ সময় সূর্যাস্ত যাওয়ার আগ মুহুর্তে সূর্য হলদে রং ধারন করা পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে। বিস্তারিত পড়ুনঃ আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ
আসরের নামাজ মোট ৮ রাকাত এর মধ্যে চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ।
আসরের নামাজ সর্বমোট ৮ রাকাত, এর মধ্যে চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ।
আসরের পর কাজা নামাজ: আসরের নাজাম আদায় করার পর সূর্য হলদেভাব ধারণ করার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করা যাবে। এমনকি কারো সিজদায়ে তেলাওয়াত থাকলে (যেটা কোরআনের সিজাদর আয়াত তেলাওয়াত করলে ওয়াজিব হয়), সেটাও এই সময়ে আদায় করা যাবে। তবে হলুদবর্ণ ধারণ করলে, আর কাজা নামাজ আদায় করার সময় থাকে অর্থাৎ আর কাজা নামাজ পড়া যাবে না।
2 thoughts on “আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ”