#সাহায্য_বিডির স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রসবের পরিকল্পনা কর কিভাবে কোথায় করলে ভালো হবে : ৭ মাস বর্গাবস্থায় বাচ্চা এখন চোখ খুলতে পারে এবং আলোর দিকে মাথা ঘোরাতে পারে, এমনকি গর্ভের অভ্যন্তর থেকে এখন সে শব্দ শোনতে পায় এবং জোরে শোরগোল শুনলে পেটে লাফিয়ে লাথি মারতে পারে , আর তুমি ওকে গান গেয়ে বা কোরআন তেলায়াত শোনালে বা ওর সঙ্গে কথা বললে শান্ত হয়ে যেতে পারে।
শীঘ্রই সে মাথা নীচে দিকে ঘুরিয়ে দেবে। তার মাথাটি প্রথমে বেরিয়ে আসবে, এখন সে মুখ ফিরিয়ে প্রসবের জন্য প্রস্তুত।
পোস্ট বিভাগ | স্বাস্থ্য |
বিষয়বস্তু | গর্ভাবস্থা |
![গর্ভবস্থার ৭ম মাসে শিশু শুনতে ও লাফতে পারে](https://i0.wp.com/sahajjobd.com/wp-content/uploads/2021/02/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%93-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87.jpg?resize=563%2C317&ssl=1)
ঘুমোতে অসুবিধে: বর্ভবতী নারীর পেট যত বড় হবে তত অস্বস্তি হবে এবং ঘুমোতে অসুবিধে হবে। পাশ ফিরে শোও আর দু পায়ের মাঝখানে একটা বালিশ যাতে তার উপরে পেটের ভারটা রাখা যায়। বর্ভবতী নারীর হয়তো কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে কারণ কোমর আর তলপেটের মধ্যেকার স্থিতিস্থাপক কোষগুলো হয়তো ঢিলে হচ্ছে। এটা হল তোমার শরীরের প্রসবের জন্য তৈরি হওয়ার লক্ষন। তাই বর্ভবতী নারীরা হাতে এবং হাঁটুতর উপরে ওজন বসলে বা দিয়ে হাঁটু মাটিতে গেড়ে বসলে উপকার হতে পারে।কাজে যাওয়ার সময় আপনার সাথে কিছু খাবার নিন
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে ডাক্তারের কাছে যাওয়া: এবং যদি পেটে ব্যথা হয় তবে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার। এখনই সেখানে কী করে সেখানে যাওয়া যায় তা আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে সাহায্য পাওয়া যাবে কি কিনা তা নিয়ে কথা বলা উচিত। বাড়ির লোকদের ডেলিভারির বিষয়ে আলোচনা কর এবং নিশ্চিত করো যাতে তারা তোমাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা স্থির করতে পারে।
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে যাতে নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী বর্ভবতী নারীর ও সেই সঙ্গে বাচ্চাকেও পরীক্ষা করে দেখতে পারে। ওরা ই বলতে পারবে প্রসবের জন্য কী কী লাগবে এবং ব্যথা উঠলে কখন ক্লিনিকে যেতে হবে।
পা ফুলে যাওয়া কী স্বাভাবিক?
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে আপনার পা দুটি কী ফুলে গিয়েছে? হ্যাঁ, বিশেষত গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসের প্রায়শই এটি দেখা যায়। উষ্ণ আবহাওয়া এই সমস্যাটিকে আরও খারাপ করে দেবে ভয় বা আশঙ্কার কিছু নেই৷
গর্ভাবস্থায় বর্ভবতী নারীর শরীর বাড়তি তরল তৈরী করে এবং কখনও অতিরিক্ত তরল জমা করে রাখে৷ দিন এগিয়ে চলার সাথে সাথে আপনার পা এবং পায়ের পাতায় এই তরল জমা হওয়ার প্রবণতা দেখা যেতে পারে৷
বর্ভবতী নারী হয়ত দেখবেন ক্রমশ এই ফোলাভাব বাড়তে থাকে৷ বিছানায় শুয়ে থাকার পরে, সকালের দিকে এই সমস্যা একটু কমে যেতে থাকে৷
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে ফোলা ভাবের উপশম করতে, দিনের বেলায় কিছুক্ষণ পা উপরদিকে তুলে রেখে বিশ্রাম করুন৷ অনেকক্ষণ ধরে একভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে ফোলাভাব বেড়ে যাবে, তাই কিছু কাজ বসে করার চেষ্টা করুন৷
গর্ভাবস্থার শেষে, আপনার হাত দুটিও ক্রমশ ফুলে উঠতে পারে৷ হয়ত আপনার আংটি আঁটো মনে হতে পারে৷ ঐগুলি খুলে গলায় একটা চেন পরে নিতে পারেন৷
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে বিপদ সঙ্কেত কি?
যদি আপনার হঠাৎ ফোলাভাব বা ঝাপসা দৃষ্টি আসে বা ঝাপসা দেখেন তবে আপনার সাথে সাথেই একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত এটি কোনও গুরুতর রোগের অবস্থার লক্ষণ হতে পারে যা ফিট করে রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:- গর্ভাবস্থায় যে কাজ করা একেবারেই করা ঠিক নয়
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে কেন বিশ্রাম করা দরকার?
কারন শিশুকে গর্ভে বড় করে তুলতে গিয়ে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন৷ যতবার সম্ভব বিশ্রাম নিন৷ আপনার অফিসের বস এবং আপনার পরিবারের লোকেদের বুঝিয়ে বলুন যে আপনার শিশুকে বড় করে তোলার জন্য আপনার শরীর খুব পরিশ্রম করতে হচ্ছে৷ বাড়িতে শুধু সবচেয়ে জরুরি কাজগুলি করুন, এবং আপনার পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে নিন৷
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে শোয়া নিয়ম: হাঁটু দুটির মাঝখানে বালিশ বা কাপড়ের প্যাড রেখে বাঁ পাশ ফিরে ঘুমোন৷ এটা আপনাকে রাতে আরো স্বাচ্ছন্দ্য দিতে সাহায্য করতে পারে।
গর্ভবস্থার ৭ম মাসে সংকোচনের অভ্যাস কী?
সংকোচনের অভ্যাস শরীরের প্রসবের প্রস্তুতিপর্ব বলা যায়৷বর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থার প্রায় 2 মাস সময় থেকে বর্ভবতী নারীদের জরায়ু ধীরে ধীরে এর অভ্যাস করে আসছে৷ জরায়ু যত বড় হতে থাকে, ততই এই সংকোচনের সময় বর্ভবতী নারীরা এই শক্ত টানাটানভাব অনুভব করেন৷ প্রতিবারের এই টাবাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলোনটানভাব সাধারণত প্রায় ৩০ সেকেন্ড থাকতে পারে৷
বর্ভবতী নারীরা যদি টানটানভাব অনুভব করেন তাহলে আবরণহীন পেটের উপর হাত রাখুন৷ আপনার জরায়ু কত শক্ত হয়ে উঠেছে তা বুঝতে পারবেন৷ কারণ, এটা মাংসপেশী, আর মাংসপেশীতে টান পড়লে তা শক্ত হয়ে ওঠে৷ সংকোচনের এই অভ্যাস বন্ধ হয়ে গেলে এটা আবার নরম যাবে৷
আরও পড়ুনঃ