অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা

অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্র= দুটি একই জিনিষ। যে কোন বিষয়ে যে কোন চুক্তির লিখিত রুপ মূলত অঙ্গীকারনামা। যার মূল প্রতিপাদ্য হলো যেকোনো লেনদেন বা কার্যকলাপের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা জন্য যেই দলিল করা হয় সেটিই মূলত অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্র। মনে রাখতে হবে একটি চুক্তি পত্র বা অঙ্গীকার নামা উভয় পক্ষের অনুমতি নিয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে লেখা হয়। কারণ লেনদেনের পরে যদি ভবিষ্যত সমস্যার সৃষ্টি না হয়। আজকাল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্র লিখতে হয়। তাই আজকে আমরা জেনে নিব একটি অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্রে কী কী বিষয় উল্লেখ করা উচিত । এই বিষয়টি জানা প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট ক্যাটাগরিলেখাপড়া
বিষয়বস্তুঅঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র

অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্র কি?

অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা
অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা

চুক্তি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ বিচারিক প্রতিকার চাইতে পারে ক্ষতির জন্য প্রত্যাহার করার জন্য। চুক্তি আইন, চুক্তি পত্র সম্পর্কিত বাধ্যবাধকতার আইনের ক্ষেত্রে এই নীতির উপর ভিত্তি করে যে চুক্তিগুলি লিখিত হয়েছে সেই চুক্তিগুলি অবশ্যই আইনের চোখে সম্মানিত হয়।

আরও সহজ করে বললে বলা যায় একটি অঙ্গীকার নামা হল দুই পক্ষের মধ্যে এক ধরনের চুক্তি বা স্ট্যাম্প। ব্যবসা সাধারণত দুই অংশীদারের মধ্যে হয়, যে অবস্থানে উভয় পক্ষই সমান। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে, উভয় পক্ষের অবস্থান সমান নয়, উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষাক্ষেত্রে, এটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রদের মধ্যে এবং জাতীয় ক্ষেত্রে, এটি সরকার ও জনগণের মধ্যে। এটি বাংলাদেশের আইনের অধীনে একটি লিখিত বিধান বা ধাঁরা। এটি যেকোনো কাজে সার্টিফিকেট হিসেবে কাজ করে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলা না হয়।

এই প্রতিশ্রুতিতে দুটি পক্ষের পরিচয় রয়েছে, কে এটি দিয়ে কী করতে যাচ্ছে তার একটি বিবরণ, একটি স্বাক্ষর এবং যদি অর্থ জড়িত থাকে তবে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করতে হয়। আজকের নিবন্ধে অঙ্গীকার নামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব যাতে যে কেউ এটি সহজে করতে পারেন।

অঙ্গীকার নামা বা চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

ত্রুটিপূর্ণ যেকোনো জিনিসই ক্ষতিকর। তাই চুক্তি সম্পাদনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে চুক্তিতে কোনো ভূলত্রুটি না থাকে। এমনকি চুক্তি পত্রে ছোট ছোট জিনিসও উল্লেখ করা উচিত।

আপনার ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কাজ ছোট হোক বা বড়, আপনি কার সঙ্গে চুক্তি করবেন, কার দায়িত্ব কী তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। কোনো ফাকা রাখা যাবে না। যদি কোনও ফাঁকা থাকে তবে আপনি ভবিষ্যতে বড় জটিলতায় পড়তে পারেন।

প্রথমত, চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষের নাম ও ঠিকানা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। আর যদি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। কার সাথে চুক্তি করছেন, চুক্তি অনুযায়ী কার কোন অংশ বা ভূমিকা থাকবে, কোন বিষয় বা কাজ চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে বিস্তারত উল্লেখ করতে হবে সেই সাথে চুক্তি শুরুর তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এবং যদি চুক্তিটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয় তবে চুক্তি কখন শুরু হবে এবং কখন চুক্তি শেষ হবে তা সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে।

অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মূলধন বিনিয়োগ করা হলে চুক্তিতে মূলধনের পরিমাণ, কে কতটা অবদান রেখেছে, কীভাবে লভ্যাংশ সংগ্রহ করা হবে, ব্যবসা কীভাবে পরিচালিত হবে ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোনো কারণে সমস্যা হলে , কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে তাও চুক্তিতে উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ করে বিরোধ দেখা দিলে আলোচনা বা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ থাকবে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।

বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই সালিশির মাধ্যমে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকে উৎসাহিত করা হয়। অতএব, চুক্তির একটি অনুচ্ছেদে এই শর্তটি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তিনামায় সালিস আইন ২০০১-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তির বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

যারা চুক্তিতে আবদ্ধ তাদের অবশ্যই চুক্তির শেষে সকল পক্ষের স্বাক্ষর এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, পাগল, দেউলিয়া ব্যক্তি, সরকারী কর্মচারী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বিদেশী রাষ্ট্রদূত, বিদেশী শত্রু এবং বিশ্বাসঘাতকের সাথে কোন চুক্তি করা যাবে না।

আরও পড়ুন

অঙ্গিকার নামা নমুনা

(প্রথম পাতা এখান থেকে শুরু)

অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা
অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা

বরাবর,
মোঃ মিজানুর রহমান, পিতা ঃ মোঃ ইমরান ইসলাম, জাতিঃ মুসলমান,পেশা ঃ ব্যবসা, গ্রাম ঃ বড়গাছা (দড়গা পাড়া), ডাকঘর ঃ সোনারায়, উপজেলা ঃ ডোমার, জেলা ঃ নীলফামারী।

হাওলাদী টকার পরিমাণ
১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা।

লিখিতং আমি মোঃ ফারুক হক, পিতাঃ মৃত: আফিজুল ইসলাম, জাতিঃ মুসলমান, পেশাঃ কৃষি, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৫৪৮৬৪৪৫৬৯, গ্রামঃ বড়বাশা (দগা পাড়া),ডাকঘরঃ সোনারায়, উপজেলাঃ ডোমার, জেলাঃ নীলফামারী। আমার সাংসারিক বিশেষ প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে, আপনার নিকট টাকা হাওলাদ চাইলে, আপনি আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে মোট ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা হাওলাদ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এবং অদ্য ১০/০৫/২০১৯ ইং তারিখে মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় হাওলাদ দিয়ে বাধিত করেন। আমি আপনার দেওয়া উক্ত হাওলাদী টাকা আগামী ১০/০৫/২০২১ ইং তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব। আমি আপনার দেওয়া উক্ত হাওলাদী টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ করিতে কোনো প্রকার অযুহাত/তালবাহানা প্রকাশ করিলে, আপনি আপনার দেওয়া টাকা আইনের মাধ্যমে বা গ্রাম্য শালিশে তুলিয়া লইতে পারিবেন।ইহার যাবতীয় ব্যায় আমি বহন করিতে বাধ্য থাকিবো। আমার অবর্তমানে উক্ত হাওলাদী টাকা আমার ওয়ারিশগন পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন।


চলমান পাতাঃ- ০২

(দ্বিতীয় পাতা এখান থেকে শুরু)

অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা
অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা

আমি আরো দৃঢ় ভাবে অঙ্গিকার করিতেছি যে, আপনার দেওয়া উক্ত ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকার ক্ষতিপূরণের জন্য আমার নিজ নামীয় মোট ৩৩ (তেত্রিশ) শতাংশ জমির ভোগ দখল আপনার বরাবরে ছাড়িয়া দিলাম। আমি যতদিন আপনার টাকা পরিশোধ করিতে পারিবো না ততদিন আপনি আমার ৩৩ (তেত্রিশ) শতাংশ জোতের ভোগ দখল করিতে থাকিবেন। আমি উক্ত অঙ্গিকার নামা পড়িয়া বুঝিয়া মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা স্ব-জ্ঞানে বুঝিয়া লইয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সম্মূখে নিজ নাম সহি/স্বাক্ষর করিলাম।

উপস্থিত স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষরঃ-                                                         

অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর

১।

২।

৩।

এই ফাইল টি PDF ফরমেটে ডাউনলোড করুন এখান থেকে

অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র নমুনা ডাউনলোড

অঙ্গীকারীর ব্যক্তির যোগ্যতা ও আইনি শর্তাবলী

১। চুক্তিতে অঙ্গীকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে, সুস্থ এবং নাবালক হতে হবে।

২। অঙ্গীকারীর ব্যক্তিকে অবশ্যই উক্ত দেশের নাগরীক হতে হবে।

৩। প্রতিটি চুক্তিতে, একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই অন্যকে একটি প্রস্তাব দিতে হবে এবং অন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে এবং বিনিময়ে শর্ত অনুয়ায়ী তা দিতে সম্মত হতে হবে।
প্রতিদান ছাড়া কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না।

৪। মনে রাখবেন প্রতিটি অঙ্গীকার বা চুক্তিতে একজন অন্যকে প্রস্তাব করবে অন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে।

এখানে বলা ভালো যে ক্ষতিপূরণ উল্লেখ্য না করলে অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র টি কার্যকর হবে না।

নমুনা কপিরাইট অঙ্গীকারনামা

আমি…..নিম্নস্বাক্ষরিত…..বয়স…মাতা……..পিতা…..ঠিকানা……ধর্ম……জাতীয়তা বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং……. আমি এতদ্বারা আন্তরিকভাবে ঘোষণা করছি যে কাজের নাম… কপিরাইট ধারক।

আমি আরও ঘোষণা করছি যে উক্ত কাজটি অন্য কোন কাজের অনুকরণে রচিত নয়। উক্ত কর্মকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত বা কোন ট্রাইব্যুনালে কোন মামলা বিচারাধীন নেই। আমি কপিরাইট নিয়ম মেনে এই আবেদন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহিত করেছি।

আমি আরও ঘোষণা করছি যে, ভবিষ্যতে কোন মোকদ্দমা বা উল্লিখিত পদক্ষেপের ফলে উদ্ভূত জটিলতার ক্ষেত্রে, আমি আবদ্ধ হব।

আমিও আইন অনুযায়ী মোকাবিলা ও সমাধান করতে বাধ্য থাকব। আমি আরও ঘোষণা করছি যে আমার জমা দেওয়া আবেদনে উল্লিখিত সমস্ত তথ্য সঠিক, ভবিষ্যতে যদি কোন অসত্য প্রকাশ পায়, তাহলে আমি কপিরাইট আইন 2000 এর ধারা 87 এবং 88 এ উল্লিখিত আইনে নির্ধারিত শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।

আমি আরও ঘোষণা করছি যে আমার দ্বারা দায়েরকৃত পদক্ষেপের বিষয়ে শুনানির যে কোনো পর্যায়ে আমি সংশ্লিষ্ট আদালতে ব্যক্তিগতভাবে/নিযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে/বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বাধ্য থাকব।

আমি আরও ঘোষণা করছি যে আমি এই অঙ্গীকারে সম্পূর্ণ সচেতনতা, সুস্থ মন এবং কোনো প্রলোভন ছাড়াই স্বাক্ষর করেছি।

তারিখ:
প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর
নাম……
ঠিকানা..
মোবাইল নাম্বার……
ই-মেইল……

আরও পড়ুনঃ

আমাদের কথা

আজকের নিবন্ধটিতে যথা সম্ভব অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তিারীত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র সম্পর্কে একটি মটামটি ধারনা পেয়েছেন। অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্রের আসল গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেেন।

অঙ্গীকারনামা কখন ব্যবহার করা হয়?

আপনি একটি সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে একটি নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে একটি আর্থিক লেনদেন বা একটি পরিকল্পনার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। হয়তো কখনো কখনো আপনি এই প্ল্যানে বেশি শেয়ার বা মূলধন ব্যবহার করেন। তাই আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট গ্যারান্টির জন্য অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করতে হবে। আপনার মুখোমুখি চুক্তির কোন ভবিষ্যৎ বা আইনি মূল্য নেই। আপনার মুখের কথায় আপনি কখনই আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা করে থাকেন তবে এই অঙ্গীকারের মাধ্যমে আপনাকে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।

অঙ্গীকারনামা কি ?

অঙ্গীকার নামা বা চুক্তি পত্র হলো একটি দলিল একটি আইনগতভাবে প্রয়োগযোগ্য লিখিত চুক্তি যা তার পক্ষদের মধ্যে পারস্পরিক অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা তৈরি করে, সংজ্ঞায়িত করে এবং পরিচালনা করে।

অঙ্গীকারনামা ফরম pdf

অঙ্গীকারনামা ফাইল টি PDF ফরমেটে ডাউনলোড করুন এখান থেকে অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র নমুনা ডাউনলোড

Sharing Is Caring:

আমি জিয়ারুল কবির লিটন, একজন বহুমুখী ব্লগার, স্বাস্থ্য, খেলাধুলা, জীবনধারা এবং ইসলামিক বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির প্রতি অনুরাগী। আমি কঠোর অন্বেষণ, অনুসন্ধান, তত্ত্বানুসন্ধান ও অনলাইনের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে আমার আকর্ষক লেখার এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগের মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং ইতিবাচকতা দিক গুলো নির্ভুল ভাবে সবার সাথে ভাগ করে চলার চেষ্ট করছি।

Leave a Comment