দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র-নমুনা চুক্তিপত্র- দোকান ভাড়া চুক্তিপত্র কিভাবে লিখতে হয় এই পোস্টে আমরা আপনাদের নতুনদের কথা মাথায় রেখে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা খুব সহজেই পোস্টটি বিস্তারিত পড়লে এখন থেকে সহজেই একটি দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে পারবেন।
পোস্ট ক্যাটাগরি | লেখাপড়া |
বিষয়বস্তু | দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র |
শুধু তাই নয় আপনি চাইলে এই পোস্টে শেয়ার করা ২টি নমুনা চুক্তিপত্র দেখে আপনার দোকান ভাড়া এবং ব্যবসার চুক্তিপত্র লিখতে পারেন।
মনে রাখবে দোকান ভাড়া দেওয়ার বা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করতে হয়। লিখিত চুক্তি ছাড়া কোনো আর্থিক লেনদেন করা উচিত নয়। এতে করে পরবর্তিতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই চুক্তিপত্র করা অত্যান্ত জরুরী বিষয়।

আরও পড়ুনঃ
- অংশীদারি ব্যবসার চুক্তিপত্র নমুনা pdf
- ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম PDF
- নগদ টাকা ধারের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম PDF
- অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা
আমরা সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান বা দোকান ঘর কত দিনের জন্য ভাড়া দেব, অগ্রিম জমার পরিমাণ কত হবে এবং মাসিক কত টাকা ভাড়া নির্ধারন হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে সেই চুক্তিপত্রে।
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কি?
কোন ব্যক্তি যদি মাসিক ভাড়া এবং কত বছর দোকান চালাবেন তার ভিত্তিতে চুক্তির বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে তার নিজের দোকান ঘর পরিচালনা করিতে দেন, তাকে দোকান ভাড়া চুক্তি বলে।
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কত টাকার স্ট্যাম্পে লিখতে হবে?
আপনি যদি দোকান ভাড়ার চুক্তি এবং ব্যবসায়িক চুক্তি লিখতে চান বা যে কোন বিষয়ে একটি চুক্তি করতে চান তবে আপনাকে কম পক্ষে ৩০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের স্ট্যাম্পে তা করতে হবে। তাহলেই আপনার চুক্তিপত্র যথাযথ কার্যকর হবে।
তাই ৩০০ টাকার কমে চু্ক্তিপত্র করাউচিৎ নয়।
দোকান ভাড়ার নমুনা চুক্তিপত্র
আমরা ১ম ও ২য় পক্ষ স্বাক্ষরকারীগন দোকান ঘর মাসিক ভাড়ায় ও ভাড়া গ্রহন করিয়া নিন্মে শর্তে সম্পাদন করিলামঃ-
১ম পক্ষ ২য় পক্ষ
নামঃ শ্রী রামকৃষ্ণ রায় নামঃ মোঃ মমিনুর রহমান
পিতার নামঃ শ্রী রমেশ চন্দ্র রায় পিতার নামঃ মৃত- নাছির উদ্দিন
ঠিকানাঃ হংসরাজ, ডাকঃ শেওটগাড়ী ঠিকানাঃ জামির বাড়ী, ডাকঃ সোনারায়
ডোমার, নীলফামারী। ডোমার, নীলফামারী।
২য় পক্ষ ১ম পক্ষের ধরণীগঞ্জ হাটে নির্মিত সকল প্রকার ব্যবসা করার জন্য রেডি দোকান ঘর ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে মাসিক ভাড়ায় লইতে ১ম পক্ষের নিকট প্রস্তাব করিলে উভয়ের মধ্যে আলোচনায় নিন্ম শর্তে উক্ত দোকান ঘর ২য় পক্ষের নিকট উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে মাসিক ৩০০ (তিন) শত টাকায় ভাড়া দেওয়া হইল।
দোকান ঘরের বর্ননা
দোকান ঘরের প্রস্থ ৮.৫” ফুট – দৈঘ্য ২৮” ফুট
শর্তাবলীঃ
১। দোকান ঘর দখলের তারিখ হইতে মাসিক ভাড়া ধার্য আরম্ভ হইবে এবং মাস শেষে পরবর্তি মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষকে গত মাসের ভাড়া অবশ্যই পরিশোধ করিবেন। কোন অবস্থাতেই ২য় মাসের ভাড়া বকেয়া রাখিবেন না।
২। দোকান চালাইতে অপারক হইলে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের নিকট দোকান ঘরে দখল ছাড়িয়া দিবেন। অন্য কাহারো নিকট দোকান ঘরের দখল প্রকাশ্য বা গোপনে ২য় পক্ষ কোন ক্রমে হস্তান্তর করিতে পারিবেন না। করিলে তাহা অবৈধ্য সাব্যস্ত হইবে। ফলে ১ম পক্ষ নিচ উদ্দেগ্যে দোকান ঘরের দখল লইতে পারিবেন।
৩। ইউনিয়ন কর, অন্য কর ধার্য হইলে ২য় পক্ষ তাহা পরিশোধ করিতে পারিবেন। ১ম পক্ষ জমির খাজনা পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন।
৪। দোকান ঘরের ছোট ধরনের মেরামত করার প্রয়োজন হইলে ২য় পক্ষ তাহা নিচ খরচে তাহা মেরামত করিয়া লইবে।
৫। দোকানে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের বিল সহ যাবতীয় খরচ ২য় পক্ষ বহন করিবেন।
৬। জামানত বাবদে ১ম পক্ষে নিকট ২য় পক্ষ কতৃর্ক প্রদেয় টাকা দোকান ঘরের দখল ছাড়িয়া দিলে ২য় পক্ষ তাহা দিতে বাধ্য থাকিবেন।
৭। বর্নিত শর্তের যে কোনটির খেলাব হইলে অত্র চুক্তি পত্র বাতিল হইয়া ১ম পক্ষ ২য় পক্ষে বাধা আপত্তি আগ্রাহ্য করিয়া দোকান ঘরের দখল হইতে পারিবেন।
৮।জামানত বাবদে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের নিকট ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকা জমা রাখিলেন।
৯। অত্র দোকান ঘরের জমির বিপরীতে ২য় পক্ষ কাহারো নিকট হইতে কোন রুপ ঋন গ্রহন করিতে পারিবেন না।
১০। অত্র চুক্তির ১ বৎসরে কোন পক্ষেই চুক্তি বাতিল করিতে পারিবেন না। ১ বৎসর গত হওয়ার পর কোন পক্ষ চুক্তি বাতিল করিতে চাইলে অপর পক্ষকে ৩ (তিন) মাস পূর্বে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবগত করিবেন।
১১। অত্র চুক্তি পত্রের মেয়াদ দোকান ঘর দখলের ০১/০৭/২০১৬ ইং হইতে শুরু করিয়া ০১/০৭/২০২১ইং তারিখ পর্যন্ত ৫ (পাঁচ) বৎসর বলবত থাকিবে। উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে মেয়াদ করা যাইতে পারে।
অত্র চুক্তি পত্রের উল্লিখিত যাবতীয় শর্তাদী যথা যথ ভাবে পালন করার অঙ্গিকারে স্বাক্ষরকারী স্বাক্ষীগনের মোকাবেলায় সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে স্বাক্ষর করিয়া অত্র চুক্তি পত্র সম্পাদন করিলাম।
স্বাক্ষীগনের স্বাক্ষর ২য় পক্ষের স্বাক্ষর ১ম পক্ষের স্বাক্ষর
১।
২।
৩।
৪।
৫।
এই নমুনা চুক্তিপত্র আপনি চাইলে পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফরমেটে ডাউনলোড করতে পারেন, ডাউনলোড করতে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।
এই ফরমেটটি সুটনিএমজে ফন্টে লেখা হয়েছে। আপনার কম্পিউটারে এই ফন্টটি না থাকলে ডাউনলোড করে নিতে হবে। গুগলে সার্চ করলেই ফন্টটি য়েয়ে যাবেন।
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা ২
দোকান ভাড়া চুক্তি
১ম পক্ষ/বাড়ি/ফ্ল্যাটের মালিক।
মোঃ আবুল কুদ্দুস খান, পিতাঃ সাকিব করিম, মাতা- আছিয়া খানম, এস.- ৭নং পল্লীবিদ্যুত, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা-১২১৫। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ২০৪৫৩৬……….৪৫৩৪। পেশা: ব্যবসা।
২য় পক্ষের ভাড়াটে
মোঃ খামাখা কবির, পিতাঃ হাকাউ মাহবুব, মাতাঃ নামনাই বেগম, সাং- পল্লীবিদ্যুৎ, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৫৬৪৬৫…………৫৬৫৬৫, পেশা-ব্যবসা।
পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিপত্রের লিখিত বয়ান শুরু করিলাম। যেহেতু তফসিল বর্ণিত দোকান ঘরটি অত্র চুক্তিপত্রের ১ম পক্ষের স্বত্ব খাস দখলীয় সম্পত্তি বটে। সেহেতু ১ম পক্ষ নিম্ন তফসিল বর্ণিত উক্ত দোকান ঘরটি মাসিক ভাড়া দেয়ার প্রস্তাব করলে ২য় পক্ষ তাতে শুধুমাত্র মুদির দোকান দেওয়ার জন্য ভাড়া নিতে ইচ্ছা পোষণ করেন।
সেহেতু উভয় পক্ষ আলাপ আলোচনা ক্রমে ৭নং, পল্লীবিদ্যুৎ, আশুলিয়া বাজারের হাজী পাড়া সোনা মিয়া রোডের সাহাজ্যবিডি বিল্ডিয়ের নীচ তলার পশ্চিম পার্শের ৪নং দোকান ঘরটি মাসিক ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ভাড়া ধার্য্য করে নিম্নক্তো শর্তাবলী পালন সাপেক্ষে স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষই চুক্তিপত্রটি সম্পাদন করলেন।
শর্তসমূহঃ-
১। দোকান ঘরটি ভাড়ার মেয়াদ এক বৎসর যাহার তারিখ ০১/০১/২০২৩ইং হইতে ০১/০১/২০২৪ইং পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। মেয়াদ শেষ হলে উভয় পক্ষই চাইলে পুনরায় ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াইতে পারিবেন অন্যথা দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।
২। দোকান ঘরটির মাসিক ভাড়া ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা
৩। প্রত্যেক মাসের ভাড়া পরবর্তি মাসের ১ম সপ্তাহের মধ্যে অত্র চুক্তিপত্রের ২য় পক্ষ কর্তৃক প্রথম পক্ষ অথবা তাহার মনোনীত প্রতিনিধির বরাবরে পরিশোধ করতে হবে। ১ম পক্ষ রশিদ প্রদানপূর্বক ভাড়া প্রাপ্তি স্বীকার করবেন।
৪। ২য় পক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে উৎসে কর কর্তন করে ভাড়ার সাথে সমন্বয় করবেন এবং করের চালানের কপিসহ ১ম পক্ষকে হস্তান্তর করবেন এবং ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের কাছে থেকে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকার রশিদ বুঝিয়া নিবেন। এছাড়া ২য় পক্ষ সরকার কর্তৃক মাসিক প্রদেয় ভাড়ার উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট পরিশোধ করিবেন।
৫। ২য় পক্ষ তসফিল বর্নিত দোকান ঘরটি কেবলমাত্র মুধির দোকানের ব্যবসায় ব্যবহার করবেন। অন্য কোন ব্যবসা করতে পারবেন না। যদি অন্য কোন ব্যবসা করেন, তাহলে চুক্তি ভঙ্গ হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং ১৫ দিনের নোটিশে ২য় পক্ষকে ১ম পক্ষ উচ্ছেদ করিয় দিতে পারিবেন।
৬। অত্র চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন শর্তে ও ১০% ভাড়া বৃদ্ধিক্রমে এর মেয়াদ যে কোন সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পক্ষদ্বয়কে অবশ্যই নতুন আরেকটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হইবে।
৭। ১ম পক্ষ দোকান ঘরের প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কার নিজ দায়িত্বে করিয়া নিবেন।
৮। ২য় পক্ষ তফসিলভুক্ত দোকানে সমাজ বা রাষ্ট্রবিরোধীন কোন কার্যকলাপ করতে পারবেন না। বাজারের অন্যান্য দোকানদারদের অসুবিধা, বিশৃঙ্খলা বা ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন কোন আচরণ করতে পারবেন না। কোন প্রকার নিষিদ্ধ মালামাল বা বিস্ফোরক বা এসিড জাতীয় দ্রব্য মজুদ করিতে বা বিক্রয় করতে পারবেন না। এ জাতীয় কোন ব্যবসা করিলে প্রথম পক্ষ ৭ দিনের নোটিশে ২য় পক্ষকে উচ্ছেদ করতে পারবেন।
৯। দ্বিতীয় পক্ষ তফসিলভুক্ত দোকান ঘর ১ নাগাড়ে দুই মাস বন্ধ রাখলে তাহা প্রথম পক্ষ ভাড়াটিয়াকে ৫ (পাঁচ) দিনের নোটিশে উচ্ছেদ করতে পারবেন।
১০। তফসিলভুক্ত দোকান ঘরের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত পৌর কর, সরকারি খাজনা ইত্যাদি প্রথম পক্ষ বহন করবেন। ২য় পক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় কর, ট্যাক্স, ভ্যাট, বিদ্যুৎ, পানি পয়:নিষ্কাশন বিল ইত্যাদি পরিশোধ করবেন।
১১। ২য় পক্ষ তফসিলভুক্ত দোকান ঘরে প্রথম পক্ষের লিখিত সম্মতি ব্যতীত কোনরূপ পরিবর্তন পরিমার্জন করতে পারবেন না।
১২। ২য় পক্ষ কোন অবস্থাতেই মাসিক ভাড়ার টাকা বাকি রাখিতে পারিবে না। প্রতি মাসের ০৮ তারিখের মধ্যে অবশ্যই ভাড়া পরিশোধ করিতে হবে। কোন কারণে যদি ২য় পক্ষ ভাড়া পরিশোধে অক্ষম হন তাহলে প্রথম পক্ষের কাছ থেকে ৭ দিনের সময় নিতে পারবেন এবং পরবর্তী ৭ (সাত) দিনে মধ্যে তিনি অবশ্যই ভাড়া পরিশোধ করবেন। যদি এক মাসের অধিক ভাড়া বাকি থাকে তাহলে প্রথম পক্ষ একটি লিখিত নোটিশ দ্বিতীয় পক্ষকে দিবেন এবং দ্বিতীয় পক্ষ সকল লেনদেন বুঝে নিয়ে দোকান গৃহ খালি করে দিতে বাধ্য থাকবেন।
১৩। দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ঘরের সরঞ্জামাদি, সাজ সজ্জা বা ডেকোরেশন ইত্যাদি নিজ দায়িত্বে করে নিবেন।
১৪। সরকারি বৈদ্যুতিক মিটারের রিডিং অনুযায়ি মাসিক যে বিল আসবে তা দ্বিতীয় পক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। বিল পরিশোধ শেষে বিলের কপি প্রথম পক্ষকে বুঝিয়ে দিবেন। কারেন্ট বিল পরিশোধে বিলম্ব হলে বা ঠিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল না পরিশোধ করিলে কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বিদ্যুতিক লাইন কেটে দিতে পারবেন এবং তার জন্য ২য় পক্ষ সকল দায়ভার বহন করিবেন। এখানে ১ম পক্ষ কোন ভাবেই এর দায়ভার বহন করিবে না।
১৫। সরকারি বিদ্যুৎ বিল ব্যাতিতেও অত্র এলাকায় স্থাপিত জেনারেটরের বা অন্যান্ মাসিক বিল পরিশোধে ২য় পক্ষ বাধ্য থাকিবেন।
১৬। দ্বিতীয় পক্ষ দোকান ঘরটি বা তার কোন অংশ কোনরূপ উপ-ভাড়া বা সাবলেট দিতে পারবেন না। যদি এমন প্রমান পাওয়া যায় যে, ঘরটি সাবলেট দিয়েছেন, তাহলে ১৫ দিনের নোটিশে প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষকে উচ্ছেদ করতে পারবেন।
১৭। অত্র চুক্তিপত্রের মেয়াদকালীন সময়ে ২য় পক্ষ তফসিল বর্নিত দোকান ঘর ছেড়ে দিতে চাইলে ১ম পক্ষের বরাবরে তা ছেড়ে দিবেন এবং অন্তত: ১ (এক) মাস পূর্বে প্রথম পক্ষকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানাবেন।
১৮। প্রথম পক্ষের দোকান ঘরটি প্রয়োজন হলে আইন অনুযায়ি ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশে দ্বিতীয় পক্ষকে পাঠাতে হবে এবং দ্বিতীয় পক্ষ তফসিলভুক্ত দোকান ঘর প্রথম পক্ষের ধার্য্যকৃত সময়ের মধ্যে খালি ও অক্ষত অবস্থায় বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন।
১৯। দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়া কোনভাবেই তফসিলভুক্ত দোকানটি কোন প্রতিষ্ঠান ও কাস্টম বা ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ করিতে পারবেন না। কোন কারণে তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তফসিলভুক্ত গৃহ ১ম পক্ষের বরাবরে বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবেন।
২০। যে কোন পক্ষ উক্ত শর্তসমূহের একটি ভঙ্গ করলে অত্র চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং শর্ত ভঙ্গকারী নিজেই এর জন্য দায়ি থাকবেন। প্রথম পক্ষের কারণে ২য় পক্ষের কোন ক্ষতি হলে তা ১ম পক্ষ যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্এয থাকিবেন এবঙ ২য় পক্ষ কোন ক্ষতি সাধন করিলে ১ম পক্ষকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন।
এতদ্বার্থে সুস্থ মস্তিস্কে, সেচ্ছায়, সজ্ঞানে এবং কারো বিনা প্ররোচনায় অত্র অস্থায়ী ভাড়ার চুক্তিপত্রটি এবং উহার শর্তসমূহ পড়ে এবং পড়িয়ে এবং ইহার মর্ম সম্যখ অবগত হয়ে পক্ষগণ অত্র চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে চুক্তিনামাটি সম্পাদন করলেন।
আরও পড়ুন:
- অঙ্গীকারনামা-চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে পালন করা হয়
- আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম
তফসিল বর্ননাঃ
৭নং, পল্লীবিদ্যুৎ, আশুলিয়া বাজারের হাজী পাড়া, সোনা মিয়া রোডের সাহাজ্যবিডি বিল্ডিয়ের নীচ তলার ৫নং দোকান আয়তন ৩৫০ বর্গফুট।
সাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ ১ম পক্ষের সাক্ষরঃ ২য় পক্ষের সাক্ষরঃ
১।………..
২।………
৩।…………
৪। …………..
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র pdf download
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র pdf download করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন এখানে আমরা আপনার সুবিধার্থে ওয়ার্ড ফাইল এবং পিডিএফ উভয় ফরমেটে দিয়েছি আপনি আপনার ইচ্ছা মত ডাউনলোড করতে পারবেন।
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রে যে শর্তাবলী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
চুক্তির নথিতে অবশ্যই অগ্রিম নিরাপত্তার পরিমাণ, সময়কাল বা সমযসীমা, মাসিক ভাড়ার পরিমাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এই শর্তাবলী ছাড়াও অন্যান্য শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিল বা দোকানের সার্ভিস চার্জ, দোকানের মেরামত ইত্যাদি শর্ত অবস্যই যুক্ত করতে হবে।
দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কত দিন বা মাস মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বা ভাড়াটিয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জায়গা খালি করতে চান তা চুক্তির নথিতে উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লিখিত শর্ত ব্যতীত, যদি অন্য কোন শর্ত থাকে, তবে সেগুলিও ভাড়া চুক্তির নথিতে উল্লেখ করতে হবে। শর্ত উল্লেখ করার পর স্ট্যাম্পে কমপক্ষে ৩ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকতে হবে।
এছাড়াও আপনি দেখেছেন আমাদের দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনায় কি কি শর্ত যোগ করেছি। আপনি চাই তাই যুক্ত করতে পাবেন। বা অন্য কোন শর্ত যোগ করার প্রয়োজন মনে করলে যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
আপনি যদি দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র লিখতে চান বা যে কোন বিষয়ে একটি চুক্তি করতে চান তবে আপনাকে কম পক্ষে ৩০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের স্ট্যাম্পে তা করতে হবে। তাহলেই আপনার চুক্তিপত্র যথাযথ কার্যকর হবে।
৩০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের স্ট্যাম্পে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র করতে হবে। তাহলেই আপনার চুক্তিপত্র যথাযথ কার্যকর হবে।
কোন ব্যক্তি যদি মাসিক ভাড়া এবং কত বছর দোকান চালাবেন তার ভিত্তিতে চুক্তির বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে তার নিজের দোকান ঘর পরিচালনা করিতে দেন, তাকে দোকান ভাড়া চুক্তি বলে।
5 thoughts on “দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র-নমুনা চুক্তিপত্র”